Yamaha Fazer Fi V2 ৫০,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - মারজান চৌধুরী
This page was last updated on 13-Jul-2024 02:27pm , By Ashik Mahmud Bangla
আমি মারজান চৌধুরী আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমার বাইকটি ৫০ হাজার কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা। আমার বাইকেটির নাম Yamaha Fazer Fi V2 । বর্তমানে ৫০,০০০ কিলোমিটার চলেছে । বর্তমান অবস্থান র্নিকুঞ্জ, খিলক্ষেত। এটিই আমার জীবনের প্রথম বাইক ।
Yamaha Fazer Fi V2 ৫০,০০০ কি.মি. চালানোর অভিজ্ঞতা।
বাইক মানে স্বাধীনতা তাই বাইক ভালোবাসি । আর স্বাধীনচেতা কিছু মানুষকে পেয়েছি বলে বাইকিং কে ভালবাসি। আমার কিটসহ বাইক পছন্দ ছিল আর আমার বড় ভাই এর Yamaha Fazer 1.0 এবং Yamaha Fazer Fi V2 এই দুটি দেখে প্রথম ভালোলাগা । এ কারণেই এটিকে বেছে নিয়েছি । Yamaha Fazer Fi V2 বাইকটি যখন কিনি তখন এর দাম ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার টাকা । কিনেছি হাফছা মার্ট, ঢাকা থেকে। বাইক কিনে সেই দিনই প্রায় ৫০,০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করে হয়তো বুঝানো সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয় যাতায়াত করা সহ ট্যুর দেয়া থেকে সব কিছু বাইক নিয়ে করে থাকি । বাইকটিতে ৭০০০ কিলোমিটার এর কিছু পরপর আমি ৭ বার ফুল সার্ভিসিং করিয়েছি । এছাড়া কোন কাজ জমতে দেই না । ২৫০০ কিলোমিটার এর আগে ৪৩ - ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি । এখনো সেম পাই । রাস্তা এবং বাইক এর এয়ার ফিল্টার অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে এর জন্য কখনো কম পাই । তবে সবসময় ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার এর কাছাকাছি থাকে ।
বাইকটিতে আমি মটুল ইন্জিন অয়েল ব্যবহার করি। গ্রেড ৭১০০ ১০w৪০ ফুল সিন্থেটিক। মটুল আমি ৩০০০ কিলোমিটার চালিয়ে পরিবর্তন করে থাকি সাথে ইঞ্জিন অয়েল ফিল্টার প্রতিবার । Yamaha Fazer Fi V2 ৪০০০ কিলোমিটার পর পর এয়ার ফিল্টার । চেইন লুব করি ৩০০ কিলোমিটার পরপর বা প্রয়োজন মত। বাইকটি আমি ময়লা অবস্থায় কখনো রাখিনা। বাইকটিতে আমি কাওয়াহারা রেসিং কয়েল এবং ডেনসো ইরিডিয়াম আই এক্স লাগিয়েছি ভালো পারফরমেন্স এর জন্য । চাকা ক্ষয় হবার কারণে টায়ার পরিবর্তন করেছি। প্রথম এ CEAT থাকলেও পরে MRF naylon zipper Fx সামনে এবং পেছনে Pirelli diablo rosso ll লাগিয়েছি । তবে চাকা ২০ থেকে ২৫ হাজার কিলোমিটার এর মধ্যে পরিবর্তন করা ভালো।
এখন পর্যন্ত আমি টপ স্পিড পেয়েছি ১২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যমুনা সেতু বা বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সাইড। এই বাইকের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সত্যি অসাধারণ । বাইকে দুই জন থাকলে কিছুটা ধীরে স্পীড উঠে আর পাওয়ার লস হয় ।
বাইকটির ভালো কিছু দিকঃ
- বাইকটির স্মুথনেস
- ব্যালেন্স খুব ভালো।
- বেশ কম্ফোর্টেবল একটি বাইক
- হাইওয়ে পার্ফমেন্স অনেক ভালো
- ব্রেকিং খুবই ভালো
- বিল্ড কোয়ালিটি ভালো
বাইকটির কিছু খারাপ দিকঃ
- এক্সেলেরেশন কম
- লং রাইডে সাউন্ড চেঞ্জ হয়
- ২,৭১,০০০ টাকা দামটি বেশি মনে হয়েছে
- উচু স্পীড ব্রেকার পিলিয়ন সহ রাইড করলে ঘষা লাগে
- ওভারটেকিং এ ভালো কনফিডেন্স পাওয়া যায়না
বাইকটি নিয়ে আমি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় গিয়েছি। তবে এর মধ্যে বান্দরবান থেকে কক্সবাজার হয়ে ঢাকা এটিই ছিল সব চেয়ে লম্বা দুরত্ব ভ্রমন । বাইকটি যখন কিনেছি তখন কিছু বুঝতাম না এতো কিছু শুধু ভালোলাগা থেকেই কিনেছি। এখন কিছুটা বুঝার পর মনে হচ্ছে ভুল করিনি । আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আরামদায়ক ভ্রমনের জন্য বাইক কিনতে চাইলে আপনি ফেজার আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মারজান চৌধুরী
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।