TVS Wego 110 মালিকানা রিভিউ - খন্দকার নাজমুল হোসাইন
This page was last updated on 08-Jul-2024 11:29pm , By Saleh Bangla
আমি খন্দকার নাজমুল হোসাইন, আজ আপনাদের সামনে TVS Wego 110 স্কুটারের ইউজার রিভিউ নিয়ে এসেছি। প্রথমেই আমি বলব, স্কুটার কি এবং কাদের জন্য। স্কুটার ও সাধারন বাইকের পাথর্ক্য হল, স্কুটার অটোমেটিক গিয়ার, এর কোনো গিয়ার লিভার ও ক্লাস নাই, এর গিয়ার বক্স আছে, কিন্তু সেটা স্বয়ংক্রিয়, যেমনটা কারগুলোতে আছে। স্কুটারের ডান হাতে এক্সিলারেটর ও ফ্রন্ট ব্রেক, বাম হাতে রিয়ার ব্রেক। স্কুটার স্টার্ট দিয়ে আইডল আরপিএমে রাখলে রান করে না, আরপিএম বাড়ালে রান করে। আরপিএম বাড়ালে গিয়ার বক্স স্বয়ংক্রিয় ভাবে লোড অনুযায়ী চাকাতে শক্তি ও গতি সরবরাহ করে। একইভাবে আরপিএম কমিয়ে আইডল পজিশনে আনলে ইন্জিন চাকাতে কোনো শক্তি সরবরাহ করে না।
>>TVS Wego 110 এর বর্তমান মূল্য জানতে এখানে এখানে ক্লিক করুন<<
বাংলাদেশে স্কুটার খুব কম হলেও, ভারত সহ অন্যান্য দেশে রাস্তায় প্রচুর স্কুটার দেখা যায়। সাধারনত ছোট রাইডের জন্য স্কুটার ব্যবহার হয়, তাছাড়া মহিলা, কিশোর/কিশোরী, বয়স্ক এবং নতুনদের জন্য স্কুটার উপযোগী। স্কুটার চালানো খুবই সহজ এবং ঝামেলাহীন। সমক্ষমতায় বাইকের চেয়ে স্কুটারের রেডি পিকাপ বেশি, এবং স্কুটারের তেল খরচ বেশি। আমি যে স্কুটারের রিভিউ দিচ্ছি, এটা আমার বাবার জন্য কেনা হয়েছে। উনি সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সরকারী চাকুরিজীবী। উনি পূর্বে কখনও বাইক চালান নাই, তাই উনার জন্য আমরা স্কুটারকেই উপযোগী মনে করেছি।
TVS Wego 110 সিসির শক্তিশালী ইন্জিন, স্কুটারটি দেখতে খুবই স্টাইলিশ, সেমি-ডিজিটাল মিটার, টিউবলেস টায়ার, সিঙ্ক ব্রেকিং সিস্টেম(SBS/CBS), টিউবলেস টায়ার, এ্যালয় হুইল, সেল্ফ ও কিক স্টার্ট, টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট, সাসপেনশন , গ্যাস ফিল্ড হাইড্রোলিক রিয়ার সাসপেনশন। কিন্তু আমার কাছে ওভার অল সাসপেনশন কোয়ালিটি বাইকের তুলনায় খারাপ মনে হয়েছে। হেডলাইট এসি কিন্তু যথেষ্ট আলো দেয়। ব্রেকিং যথেষ্ট ভাল, বাম হাতের ব্রেক করলে ২ চাকাতেই ব্রেক হয়, স্কিড করে না। স্কুটারে ৭৫০ মিলি 10w30 গ্রেডের ইন্জিন অয়েল লাগে, এবং ১২০ মিলি একই গ্রেডের ট্রান্সমিশন/গিয়ার অয়েল লাগে। প্রতিবার ইন্জিন অয়েল চেন্জ করার সময় গিয়ার অয়েলও চেন্জ করতে হয়।
>>TVS মোটরসাইকেলের শোরুমের ঠিকানা জানতে এখানে ক্লিক করুন<<
প্রথম ৫০০ কিলোতে আমি মাইলেজ পাইছি ৫০। ১২০০ কিলোর পর থেকে ৫২ পাচ্ছি, কোম্পানি ৬২ বলে। সর্বোচ্চ গতি কোম্পানি বলে ৯০, আমি এখনও পুরো গতিতে চালাই নাই (ব্রেকিং ইন পিরিয়ড) তবে নিমিষেই ৬০-৭০ গতি চলে আসে, এবং ভাইব্রেশন পাই নাই। স্কুটারের ওজন ১০৮ কেজি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫০ মিমি, ফুয়েল ক্যাপাসিটি ৫ লিটার।
ভাল দিক বলতে মোটামুটি সবই আমার ভাল লেগেছে, তবে স্কুটারের সাসপেনশন বাইকের থেকে দুর্বল, অন্য স্কুটারের কেমন তা অবশ্য আমার জানা নাই। লোকাল রাস্তা, ব্যস্ত রাস্তা এবং ভাঙ্গা রাস্তার জন্য স্কুটার সেরা, এসব রাস্তায় বাইক স্কুটারের সাথে টেনে পারে না। একটি ১১০ সিসির বাইকের টপ স্পিড উইগোর চেয়ে বেশি হতে পারে, কিন্তু স্কুটারের সাথে রেসে বাইকের জেতা মুস্কিল, কারন স্কুটারের রেডি পিকাপ অনেক বেশি। সব সময় হেলমেট পরিধান করুন, গতিসীমা মেনে চলুন, নিরাপদ থাকুন। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ খন্দকার নাজমুল হোসাইন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।