Tvs Raider 125 মালিকানা রিভিউ - ছোট সমস্যা । আশিক মাহমুদ

This page was last updated on 31-Jul-2024 08:32am , By Ashik Mahmud Bangla

Tvs Raider 125 এই সময়ের ১২৫ সিসি সেগমেন্টের সবচেয়ে আলোচিত একটা বাইক। আর এই বাইকটি নিয়ে অনেকের মধ্যে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কেউ বলে বাইকটা ভালো আবার কেউ বলে খারাপ , আসলে কি ? আমি আমার Raider 125 বাইকটি ১২০০ কি.মি ব্যবহার করেছি , আর এই ১২০০ কি.মি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার অভিজ্ঞতা বলার আগে এই বাইকটি সম্পর্কে কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক।

Tvs-Raider-125-মালিকানা-রিভিউ

Bike Information

Bike Name:TVS Raider 125Brand:TVS
CC:125Regular Price:152900
Bike Type:CommuterDistributor/Seller:
Model Year:N/ABrand Origin:N/A
Made In:N/AAssemble In:N/A


Engine

Engine TypeAir & Oil-Cooled 3V EngineDisplacement124.76cc
Maximum Power12.7 Bhp @ 8000 RPMMaximum Torque11.5 NM @ 6500 RPM
Bore53.5 MmStroke55.5 Mm
Compression RatioN/AValvesN/A
Fuel SupplyCarburetorNo Of Cylinders1
Engine CoolingAir & Oil CooledStarting MethodElectric


Transmission

Transmission TypeManualNo Of Gears5
Clutch TypeWet-MultiplateDrive TypeN/A


Mileage & Top Speed

Mileage50 Kmpl (Approx)Top Speed110 Kmph (Approx)


Chassis & Suspension

Chassis TypeN/AFront SuspensionHydraulic Telescopic
Rear Suspension5 Step Adjustable Monoshock, Gas Charged


Brakes

Front Brake TypeDisc BrakeRear Brake TypeDrum Brake
Front Brake Diameter240 MmRear Brake Diameter130 Mm
Anti-Lock Braking System (ABS)NoBraking SystemSyncronised Braking Technology


Wheels & Tires
Front Tire Size80/100 - 17Rear Tire Size100/90 - 17
Tire TypeTubelessWheel TypeAlloy


Dimensions

Overall Length2080 MmOverall Width767 Mm
Height1028 MmGround Clearance180 Mm
Weight120 KgFuel Tank Capacity10L
Wheelbase1326 MmSeat Height790 Mm


Electricals

Battery TypeMfBattery Voltage12V 4Ah
Head LightLEDTail LightLed
IndicatorsHalogen


Features

SpeedometerDigitalOdometerDigital
RPM MeterDigitalHandle TypePipe Handle Bar
Seat TypeSplit-SeatPassenger Grab RailYes
Engine Kill SwitchYesAdditional FeatureLCD Display, I-Touch


TVS-Raider-125-ইঞ্জিন-থেকে-বাজে-শব্দ

কেন আমি Tvs Raider 125 বাইকটি কিনলাম ?

Tvs Raider বাইকটি যখন ইন্ডিয়াতে লঞ্চ করা হলো তখন আমি বাইকটি প্রথম দেখাতেই বাইকটির উপর আমার অন্য রকম একটা ভালোলাগা সৃষ্টি হয়। আর অসুস্থ থাকার কারনে আমি প্রায় ৭ মাস বাইক ব্যবহার করতে পারি নি। আমার এমন একটি বাইক প্রয়োজন ছিলো যে বাইকটিতে বসে কম্ফোর্ট পাওয়া যাবে , রাইডিং পজিশন হবে অনেক আরামদায়ক।কিন্তু বাইকের লুকস ও প্রয়োজন ছিলো আমার জন্য , সাথে যদি রেডি পিকাপ ভালো থাকে তাহলে একটু সুবিধা হতো।

সব দিক বিবেচনা করে ঢাকা শহরে চলাচল করার জন্য ১২৫ সিসি সেগমেন্ট আমার কাছে সেরা মনে হয়েছে। আমার বাইকটি আমি ১২০০ কি.মি ব্যবহার করেছি , তাই বাইকটি এখনো নতুন। আর নতুন বাইকে অনেক কিছুই এতো অল্প সময়ে বোঝা যায় না। তবে এর মধ্যে আমার বেশ কিছু ভালো এবং অল্প কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে সেগুলোই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

-টায়ার-রাইডার

Tvs Raider 125 ভালো দিক সমূহঃ

১- আমাদের দেশের বাজারে ১২৫ সিসি সেগমেন্ট এর যতগুলো বাইক আছে এর মধ্যে Tvs Raider এর লুকস আমার কাছে সবচেয়ে এগ্রেসিভ এবং সুন্দর মনে হয়। আর যে কোন জিনিসের আউটলুক অনেক বড় ভূমিকা রাখে।

২- আমি ১২৫ সিসির বাইক এর আগে ব্যবহার করি নি , তবে শহরের মধ্যে এই বাইকটির রেডি পিকাপ আমাকে বিন্দুমাত্র হতাশ করে নি। আমি যখনই বাইকটা ব্যবহার করি এর পাওয়ারের কারনে আমার একটা বারের জন্যও মনে হয় নি আমি ১২৫ সিসির কোন বাইক চালাচ্ছি।

৩- বাইকটির রাইডিং সিট এবং পিলিয়ন সিট অনেক কম্ফোর্টেবল। সব বয়সী মানুষ এই বাইকের পিলিয়ন সিটে অনেক সহজেই বসতে পারে। যেহেতু আমি প্রায় আমার পরিবার নিয়ে বের হই তাই আমার জন্য এটা অনেক বড় একটা প্লাস পয়েন্ট।

৪- বাইকটির সাসপেনশন আসলেই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। রাস্তার অবস্থা যেমনই হউক এই বাইকটির সাসপেনশন আপনাকে দারুন সাপোর্ট দিবে। আমার ব্যাক পেইনের সমস্যা আছে , তবুও এই বাইকটি রাইড করের আমি দারুন মজা পাই।

৫- আমি লাউড সাউণ্ড অনেক বেশি পছন্দ করি , তাই রাইডার বাইকের সাউন্ড আমার কাছে অসাধারণ লাগে। আপনি যখন বাইকটি চালাবেন এর সাউন্ড একটা বারও আপনাকে এই ফিল দিবে না যে আপনি একটা লো সিসির বাইক চালাচ্ছেন।

৬- হাইওয়ে অথবা সিটি বাইকটি অনেক স্টাবল থাকে , ১২৫ সিসির আর কোন বাইক এতটা স্টাবল থাকে সেটা আমার জানা নেই।

৭- Tvs Raider 125 বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে Syncronised Braking Technology , যা এই বাইকের ব্রেকিং অনেক বেশি ইম্প্রুভ করেছে। ভালো ব্যালেন্স সাথে Syncronised Braking Technology মিলে বাইকটিকে একটা পারফেক্ট প্যাকেজ করে তুলেছে। 

Tvs-Raider-125-খারাপ-দিকগুলো

 Tvs Raider 125 বাইকটিতে যে সমস্যাগুলো আমি পেয়েছিঃ

১- আমার বাইকটি যখন ৩০০ কি.মি তখন বাইকের ইঞ্জিন থেকে একটা বাজে শব্দ আসা শুরু করে। কিন্তু এটা আমার কাছে বড় কোন সমস্যা মনে হয় নি, আমি বাইক অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যায় সেখান গিয়ে টাইমিং চেইন এবং ট্যাপেড এডজাস্ট করিয়ে নেয়। এতে করে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

২- যেহেতু বাইকটি মাত্র ১২০০ চলেছে তাই এই মূহুর্তে আমি বাইক থেকে মাইলেজ খুব কম পাচ্ছি। তবে আমি আশাকরি ২য় সার্ভিসিং এর পর বাইকের মাইলেজ ঠিক হয়ে যাবে। যে কোন বাইক নতুন অবস্থায় মাইলেজ কিছুটা কম দেয় , সময়ের সাথে সাথে নিয়মিত সার্ভিসিং করালে এই সমস্যা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়।

৩- আমার মনে হয় বাইকটির পাওয়ার , ব্যালেন্স সব দিক বিবেচনা করে বাইকের টায়ার আরেকটু মোটা সাইজের হলে ভালো হতো। একটা বাইক মাত্র ১২০০ কি.মি ব্যবহার করে অনেক কিছুই বলা যায় না। তবে আমি বাইকটা ৫০০০ কি.মি ব্যবহার করার পর আপনাদের সামনে বিস্তারিত মালিকানা রিভিউ তুলে ধরবো।

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।