TVS Apsche RTR 150 ১৭,০০০ কিলোমিটার রাইড - লুৎফুর রহমান রুবেল

This page was last updated on 27-Jul-2024 03:45pm , By Raihan Opu Bangla

আমি লুৎফুর রহমান রুবেল। বাইকের প্রতি আমার আগ্রহ অনেক। বাইক চালানো শিখি আমার এক বড় ভাইর Bajaj Boxer 100 দিয়ে ২০০৬। সেই শুরু। এরপর ২০১৩ সালে TVS Phoenix 125 ক্রয় করি। এরপর ২০১৭ সালে TVS Apache RTR 150। এখন আমি Yamaha FZS V3 রাইড করি। আজ আমি আমার ব্যবহার করা TVS Apsche RTR 150 বাইকটির ভালো খারাপ দিক গুলো বলার চেষ্টা করবো। আর আমার ১৭০০০ কিলোমিটার চালানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।

TVS Apsche RTR 150 ১৭,০০০ কি.মি. চালানোর অভিজ্ঞতা  

tvs apache rtr 150 user review

ফেনীর TVS শোরুম থেকে TVS Apache RTR 150 বাইকটি ১,৭৮,০০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছিলাম। বাইকটির লুকস আমাকে মুগ্ধ করে। বাইকটি প্রথম বার চালানোর পর মনে হলো আমি কোন খিপ্ত ষাঁড়ের উপর বসে ছিলাম। বাইকটিতে দেয়া সাসপেনশন কিছুটা হার্ড থাকলেও পরে সফট হয়ে যায়। ব্রেকিং সিস্টেম কমফোর্টেবল মনে হয়নি আমার কাছে। সিট পজিশন ভালো । টায়ার গ্রিপ কম। রেয়ার টায়ার কিছুটা চিকন। হ্যান্ডেলবার পজিশন কমফোর্টেবল। বাইকটির সৌন্দর্য আমাকে বাইকটির চালাতে আসক্ত করে।

বাইকের সামনে এবং পিছনের দেয়া সাসপেনশন অন রোডে এবং অফ রোডে অনেক কমফোর্টেবল রাইড করতে সাহায্য করে। এতে সামনের ৯০-৯০ সেকশন পিছনে ৮০-১১০ সেকশন টায়ার থাকায় আমি কর্নারিং সাপোর্ট কম পেতাম। এতে ব্যবহার করা সিগনাল লাইট, পার্কিং লাইট, ব্রেক লাইট অনেক পাওয়ারফুল হওয়ায় অনেক দুর থেকে যেকোন যানের নজরে আসে এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয়।

rtr tail light 

এতে দেয়া থ্রি পার্ট হ্যান্ডেলবার থাকায় টানা অনেক সময় রাইড করলে হাতে কোন ব্যাথা অনুভব করিনি কিন্তু কোমরে সামান্য ব্যাথা অনুভব করতাম। কার্বুরেটর ইঞ্জিন হওয়া সত্যেও এর মাইলেজ অনেক ভালো। ৪০-৪৬ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি । ২০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্রেকিং পিরিয়ড পালন করেছি। ২০-২৫ দিন পর কমপক্ষে ১ বার বাইক পরিষ্কার করি । ভালো গ্রেডের চেইন লুব, ইঞ্জিন লুব ইউজ করি। আমি আমার বাইকে Castrol 20W 40t গ্রেডের মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। শেষ পর্যন্ত কোন পার্টস পরিবর্তন করিনি। এয়ার ফিল্টার আর প্লাগ ছাড়া। আমি আমার বাইক দিয়ে সর্বোচ্চ ১০৯ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা স্পিড তুলেছি।

বাইকটি দিয়ে আমি সর্বোচ্চ ৩৯০ কিলোমিটার দুই দিনে রাইড করেছি পিলিয়ন সহ। ফেনী টু সাজেক ভ্যালি যাওয়া আসা। এই রাইডে আমি বাইকের কোন সমস্যা পাইনি হাল্কা পাওয়া লস ছাড়া। পাহাড়ী আকা বাকা উচু নিচু সড়কে ভালোই সাপোর্ট পেয়েছি। পিলিয়ন থাকায় চাকা তেমন স্কিড করে নাই। সিঙ্গেল থাকলে হার্ড ব্রেকে চাকা স্কিড করে। 

apache rtr front

বাইকটির কিছু ভালো দিক হলো –

  • সাসপেনশন
  • মাইলেজ
  • লুক
  • সিটিং পজিশন
  • ইঞ্জিন পাওয়ার
  • রেডি পিক-আপ
  • পিলিয়ন সিট কমফোর্টেবল

বাইকটির কিছু খারাপ দিক হলো –

  • হেড- লাইট এর AC সিস্টেম এর জন্য মোড়ে রাস্তা দেখতে অসুবিধা হয়
  • ব্রেকিং কমফোর্ট কম
  • ভাইব্রেশন করে বেশী

tvs apache rtr 150 front brake 

এই বাইকটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করে আবার অনেকেই এই বাইকটি খুব পছন্দ করে। সব বাইকেরই ভালো এবং খারাপ দিক থাকে। তবে TVS Apache RTR 150 চালানোর সময় খুব সতর্ক থাকা লাগে। কারণ এর রেডি পিকাপ এর তুলনায় ব্রেকিং ভালো না। আর কন্ট্রোল বাইকারের উপর নির্ভর করে। সব সময় হেলমেট পরে বাইক রাইড করবেন। সেফটি গিয়ার থাকলে খুব ভালো। ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ লুৎফুর রহমান রুবেল

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।