TVS Apache RTR 310 – স্মার্ট বাইক নাকি ডিজিটাল মোটরসাইকেল?
This page was last updated on 18-Aug-2024 09:17am , By Badhan Roy
কখনো কি চিন্তা করে দেখেছেন, একটা অত্যাধুনিক স্পোর্টস কারে যুগোপযোগী যা যা ফিচার থাকে তা কি দুই চাকার মোটরবাইকেও থাকা সম্ভব? উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ, সম্ভব এবং রিজনেবল প্রাইসেই সম্ভব! TVS মোটর এর Racing Throtle Response বা RTR সিরিজের বাইকগুলো কুইক থ্রটল এবং টপস্পিড এর জন্য জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ড্র্যাগ রেস ইন্থুসিয়াস্ট, স্টান্ট রাইডার, এবং মর্ডান তরুন বাইকারদের আকাঙ্খা বিবেচনায় TVS Apache RTR 310 বাইকটি আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমাদৃত। যেমন এর এগ্রেসিভ লুক, তেমনই এর ট্র্যাক এবং স্ট্রিট পারফর্মেন্স।
আর অনেক আপডেটেড ফিচার এর কারনে RTR 310 তরুন প্রজন্মের কাছে The Freestyler নামে ব্যাপক জনপ্রিয়। বাংলাদেশে সিসি লিমিট বৃদ্ধি হওয়ার পর থেকে বাইক লাভার দের মধ্যে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন যিনি এই বাইকটি নিয়ে আলোচনা করেননি ও বাংলাদেশের রাস্তায় RTR 310 এর অভিজ্ঞতা নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন নি। সম্ভবত এই সেগমেন্টে সবচেয়ে পাওয়ারফুল ও আপডেটেড ফিচার সমৃদ্ধ বাইক এখন পর্যন্ত TVS Apache RTR 310 তা বলাই বাহুল্য। তো এক নজরে দেখে নেওয়া যাক TVS Apache RTR 310 এর বিস্তারিত বর্ণনা।
TVS Apache RTR 310 - ডিজাইন
ন্যাকেড স্পোর্টস সেগমেন্টের RTR 310 বাইকের ডিজাইন সাইবর্গ বা ভবিষ্যতের যন্ত্রমানব (human robot) থেকে অনুপ্রাণিত। বোঝাই যাচ্ছে, বাইকটির ইঞ্জিনিয়ারগণ সুদূরপ্রশারী চিন্তাভাবনা করে একটি ফিউচারস্টিক বাইক বাইকারদের জন্য উপস্থাপন করতে চেয়েছেন। বাইকের ডুয়াল হেডল্যাম্প এবং ডি আর এল এর প্লেসমেন্ট কিছুটা নিচের দিকে, এবং হ্যান্ডেলবার দেওয়া হয়েছে আপরাইট।
স্প্লিটেড সিটের সাথে র্যাকড হাই টেইল পিলিয়ন সিট হওয়ায় বাইকটির লুক বেশ এগ্রেসিভ। দূর থেকে এই স্পোর্টি লুক ও আকর্ষণীয় কালার কম্বিনেশন বাইকের দিকে নজর ফেরাতে বাধ্য। RTR 310 এর ডাইনামিক ডুয়াল টেইল ল্যাম্প পিছন থেকেও বাইকটিকে দেখতে যথেষ্ট আকর্ষনীয় করে তোলে। এছাড়াও বাইকের ওভারঅল শেপ যথেষ্ট অ্যারোডায়নামিক তা না বললেও চলে।
TVS Apache RTR 310 - ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
RTR 310 বাইকটিতে রয়েছে BS VI প্রযুক্তির ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড (FI) লিকুইড কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার, DOHC ৩১২.১২ সিসির ৪ ভাল্ভ ৪ স্ট্রোক স্পার্ক ইগনাইটেড ইঞ্জিন যা ৯৭০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ৩৫.৬ হর্সপাওয়ার শক্তি ও ২৮.৭ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন ৬৬৫০ আরপিএম এ। ৭ প্লেটের ওয়েট মাল্টিপ্লেট স্লিপার ক্লাচ এবং ৬ স্পিড গিয়ারবক্স পাওয়ারফুল, স্মুথ এবং প্রতি গিয়ারেই কুইক রেসপন্স দিতে সক্ষম।
TVS Motor থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইনক্লাইনড লেআউট, মাস সেন্ট্রালাইজেশন এবং অন্যান্য বাইকের তুলনায় ৫% লাইট পিস্টন হওয়ার ফলে বাইকটি সহজেই সর্বোচ্চ পাওয়ার আউটপুট হিট করতে পারে সেগমেন্টের অন্যান্য বাইকগুলোর তুলনায়। বাইকটির 0-60 টাইমিং মাত্র ২.৫২ সেকেন্ড এবং 0-100 টাইমিং মাত্র ৬.১৯ সেকেন্ড, সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ২১০-২১৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। এর সাথে ৫ টি ভিন্ন ভিন্ন রাইডিং মোড এবং লিমিটার অনুযায়ী বাইকের পাওয়ার আউটপুট সেট ও লক এর ফাংশন তো থাকছেই। তাই বলা যায় RTR 310 এর হৃৎপিন্ড বা ইঞ্জিন যে যথেষ্ট শক্তিশালী এই বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই।
TVS Apache RTR 310 - ফিচারস
TVS Apache RTR 310 এর ফিচারের ব্যাপারে বর্ণনা করার আগে একটা প্রশ্ন অবশ্যই আসে, সেটা হচ্ছে প্রচলিত এবং অপ্রচলিত কোন ফিচারটি আসলে বাইকের সাথে সংযুক্ত নয়! যেন টাইম মেশিন থেকে ভবিষ্যতের কোন বাইক বর্তমান সময়ে চলে এসেছে ভেবে নেওয়া টাও অস্বাভাবিক নয়।
RTR 310 এর ফিচারগুলো হলো:
সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ১১৫৪ মি.মি এর সিট হাইটের সাথে ১৮০ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে বাইকটিতে। ১৬৯ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট হওয়া স্বত্বেও বাইকটির ওয়েট ব্যালান্স খুবই চমৎকার।
ইগনিশন সিস্টেম: সেলফ ইলেক্ট্রিক ইগনিশন।
ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: ৫ ইঞ্চির বিশাল স্মার্ট টিএফটি স্ক্রিন টি দেখে প্রথম দেখায় একটি স্মার্টফোন মনে হতে পারে। TVS Motor এই ক্লাস্টারটির নাম দিয়েছে Race Computer. আদতেই কম্পিউটারের মত অত্যান্ত চমৎকার এই ডিজিটাল ক্লাস্টারটি আসলেও একটি স্মার্ট ডিভাইসের থেকে কোন অংশে কম নয়। ক্লাস্টারটিতে রাইডার নিজের পছন্দ মত স্ক্রিন থিম সেট করতে পারবেন।
বিভিন্ন সাধারণ তথ্যের পাশাপাশি এটা আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন করে যেমন তাপমাত্রা, ম্যাপ নেভিগেশন, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, এবিএস ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, টায়ার প্রেশার মনিটরিং, ল্যাপ রেকর্ডার, টিসিএস স্ট্যাটাস, রাইডিং মোড, হেডল্যাম্প ব্রাইটনেস এডজাস্টার, টপ স্পিড রেকর্ডার, ঘড়ি ইত্যাদি। এর সাথে থাকছে ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি যা TVS Xconnect অ্যাপ দ্বারা সহজেই বিভিন্ন তথ্য বাইকার তার নিজের স্মার্টফোনে দেখতে যেমন পারবেন তেমনই ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে সিংক করতে পারবেন।
৫ টি রাইডিং মোড: রাইডার তার পছন্দমত ট্র্যাক, রেইন, স্পোর্ট, সুপারমোট এবং আরবান মোডে বাইকটি সেট করে তার নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার আউটপুট নিতে পারবেন, যা সাধারণত আধুনিক গাড়িগুলোর ক্ষেত্রে দেখা যায়। মোড গুলোর কারনে নির্দিষ্ট আরপিএম এ যথাযথ টর্ক আউটপুট এবং সর্বোচ্চ স্পিড অটোমেটিক লক হয়ে যায়, যা বিভিন্ন রোড কন্ডিশনে যথেষ্ট হেল্পফুল এবং দরকারি। নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যাধুনিক ফিচার বটে।
XConnect অ্যাপ কানেক্টিভিটি: রাইডার তার স্মার্টফোনের অ্যাপ দ্বারা সহজেই বাইকের মাইলেজ, সার্ভিস ও অয়েল চেঞ্জ এর দরকারি তথ্য, ব্যাটারি ভোল্টেজ, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন সিস্টেম, কল এন্ড এসএমএস নোটিফিকেশন সহজেই বাইকের ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সাথে সিংক করিয়ে নিতে পারবেন। এতে বেটার রাইডিং ও মেইনটেইনেন্স এক্সপিরিয়েন্স পাওয়া সম্ভব।
টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ- সামনের টায়ার 110/70-17, পিছনের টায়ার: 150/60-17. টিউবলেস Michelin Road 5 পারফর্মেন্স টায়ার বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে যা বিশ্বমানের, সহজে পাংচার বা লিক হওয়ার ঝুঁকি কম।
ব্রেক: RTR 310 বাইকটিতে ৩০০ মি.মি এর ফ্রন্ট ও ২৪০ মি.মি এর রিয়ার ডিস্ক ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। বাইকটির মাস্টার সিলিন্ডারে DOT 4 টাইপ অয়েল ব্যাবহার করা হয়েছে। TVS এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে RTR 310 বাইকে ডুয়াল চ্যানেল সুপারমটো এবিএস ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এবিএস এর সাথে RLP বা রিয়ার হুইল লিফট-অফ প্রটেকশন ব্যাবহার করা হয়েছে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য। স্টান্ট রাইডারদের জন্য এবিএস অন অফ এবং এবিএস এর ইন্টেনসিটি কমানো বাড়ানোর অপশন ও থাকছে বাইকটিতে। তাই বুঝতেই পারছেন বাইকের ব্রেকিং সিস্টেম কতটা উন্নত করা হয়েছে যা সচরাচর বাইকে দেখা যায় না।
সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে ও পিছনে KYB ব্র্যান্ডের আপসাইড ডাউন (USD) ও পিছনে মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে এবং উভয়েই মাল্টি এডজাস্টেবল। সুপারবাইকে ব্যাবহৃত এই একই সাসপেনশন রাইডিং কে অনেক আরামদায়ক করবে বলে ধারণা করা যায়।
এডজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার: ৩ স্টেপের এটজাস্টেবল ক্লাচ ও ব্রেক লিভার বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে রাইডার তার সুবিধা অনুযায়ী ক্লাচ ও ব্রেক লিভারের পজিশন এডজাস্ট করে নিতে পারেন।
ট্র্যাকশন কন্ট্রোল ও কুইক শিফটার: প্রতিকূল রাস্তার জন্য ট্র্যাকশন কন্ট্রোল এবং বেটার ইনিশিয়াল রেস্পন্স এর জন্য কুইক শিফটার দেওয়া হয়েছে বাইকটিতে।
ক্লাইমেট কন্ট্রোল সিট: RTR 310 এর সবথেকে ইউনিক ফিচার বলা যেতে পারে এটিকে যা অন্যান্য বাইকের থেকে একে আলাদা করে তোলে। এই বাইকের উভয় সিট ই হিটেড এন্ড কুলড। রাইডার আবহাওয়া অনুযায়ী সিট গরম অথবা ঠান্ডা করে রাইডিং কমফোর্ট বহুগুণে বাড়িয়ে তুলতে পারবেন নিজের ইচ্ছা মত। অত্যাধুনিক গাড়িগুলোতে সম্প্রতি এই ফিচার লক্ষ্য করা যায় যা একটা বাইকে আশা করা বিস্ময়কর বটে।
অটোমেটিক ক্রুজ কন্ট্রোল: গাড়ির মত RTR 310 বাইকেও অটোমেটিক ক্রুজ কন্ট্রোল দ্বারা বাইকের নির্দিষ্ট একটি স্পিড সেট করে নিতে পারবেন যার মাধ্যমে নির্ধারিত গতিসীমার রাস্তায় বাইক নিজে থেকেই তার গতি নিয়ন্ত্রিত রাখবে এবং রাইডিং প্রেশার কে কমিয়ে দিবে। অনেকে এই ফিচারটিকে বিমানের অটোপাইলট মোডের সাথেও তুলনা দিয়ে থাকেন।
টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম: বাইকের সঠিক টায়ার প্রেশার নিশ্চিত হয়েছে কিনা এবং বর্তমান টায়ার প্রেশার কত আছে তা নির্ণয়ে ফিচারটি যথেষ্ট কার্যকরি।
এডাপ্টিভ হেডল্যাম্প এডজাস্টার: রাইডার সহজেই বাইকের হেডলাইটের আলোর ঔজল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ফোনের ব্রাইটনেস কমানো বাড়ানোর মতই! এছাড়াও অটোমেটিক এডাপটিভ মোটে আবহাওয়া ও পরিবেশ অনুযায়ী লাইটের আলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে এডজাস্ট হবে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ফিউচারস্টিক টেকনলজি নয় কি?
Crash Alert: সম্ভাব্য দূর্ঘটনা প্রতিরোধে ক্র্যাশ অ্যালার্ট ফিচার অবশ্যই অতি জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও অ্যাপ কানেক্টিভিটি এর দ্বারা দূর্ঘটনার শিকার হলে জরুরী কনট্যাক্ট নাম্বারে অটোমেটিক মেসেজিং সিস্টেম ও অ্যাপের মাধ্যমে সিংক করে নেওয়া সম্ভব।
Digi Docs ও GoPro connectivity: বাইকার সহজেই তার ফোনের মাধ্যমে স্ক্যান করে বাইকের রেজিস্ট্রেশন ডকুমেন্ট ও লাইসেন্স ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে সেভ করে রাখতে পারবেন, এতে সাথে করে ডকুমেন্ট বহনের প্রয়োজন নেই। GoPro connectivity মটোভ্লগারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এর দ্বারা বাইকের স্পিড, আবহাওয়া ও অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী বেটার ফোকাসিং ও ফুটেজ ক্যাপচারিং সম্ভব।
মাইলেজঃ ১১ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ২৫-৩০ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। উচ্চ সিসি বিবেচনায় যথেষ্ট ভাল মাইলেজ তা কিন্তু বলাই যায়, তবে জ্বালানীর মান ও রাইডিং স্টাইলের উপরে মাইলেজ কম বেশি হতে পারে।
TVS Apache RTR 310 এর অসুবিধা:
এত এত সুবিধা ও আকর্ষনীয় ফিচারের মধ্যে এই বাইকটির অন্যতম অসুবিধা হচ্ছে এর মেইনটেইনেন্স। বাইকটি অত্যান্ত সাবধানে এবং যত্নের সহিত চালানো উচিৎ কারন কোন সমস্যা হলে তা সমাধান করা মোটেও সহজ কাজ নয়। এত রকমের সেন্সর এবং উন্নত টেকনলজির মেইন্টেইনেন্স একটু কঠিন এবং যথেষ্ট ব্যয়বহুল। দক্ষ ও আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক জ্ঞান সম্পন্ন টেকনিশিয়ান ব্যাতিত বাইকটি মেইনটেইনেন্স করাতে গেলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই ছিল এক নজরে TVS Apache RTR 310 এর এক নজরে বিস্তারিত। বাইকারদের পছন্দে শীর্ষে থাকা RTR সিরিজের বাইকটির হায়ার সিসির টপ ভেরিয়েন্ট হওয়া এবং এতগুলো আকর্ষণীয় ফিচারস এর কারনে RTR 310 বাংলাদেশে আসলে দেশের বাজারে অন্যতম হাইপ তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য। TVS বাংলাদেশ বাইকারদের কথা মাথায় রেখে বরাবরের মতই স্পেয়ার পার্টসের সহজলভ্যতা এবং টেকনিশিয়ানদের যথাযথ ট্রেনিং প্রদান সাপেক্ষে বিক্রোয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করে বাইকটি রিজনেবল প্রাইসে অতিদ্রুত বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং, বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।