TVS Apache RTR 160 এর ফিচার রিভিউ - বাংলাদেশে আপকামিং ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল
This page was last updated on 07-Jul-2024 09:37pm , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বাইক গুলোর মধ্যে এপাচি আরটিআর অন্যতম। যেহেতু সরকার সিসি লিমেটেশন ১৬৫সিসি পর্যন্ত বাড়িয়েছে, তাই আশা করা যায় যে খুব শীঘ্রই TVS Apache RTR 160 বাংলাদেশে লঞ্চ হবে। অনেক বাইকাররা আরটিআর ১৫০সিসি এর বাইকটি দিয়ে তাদের মনের সুপ্ত ইচ্ছাকে পূরন করেছেন। তাই আমরা আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম TVS Apache RTR 160 এর ফিচার রিভিউ।
TVS Apache RTR 160 এর ফিচার রিভিউ বিস্তারিত
TVS Apache RTR 160 এপাচি আরটিআর সিরিজ এর অন্যতম সংযোজন। এই বাইকটি ২০০৭ সালে ইন্ডিয়াতে লঞ্চ করা হয়। বাংলাদেশের বাজারে আসার আগেই এই বাইকটি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
যেহেতু আরটিআর ১৫০ বাংলাদেশে বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় বাইক গুলোর একটি, তাই আশা করা যায় যে আরটিআর ১৬০ এর জনপ্রিয়তা আরটিআর ১৫০ কে ছাড়িয়ে যাবে। অনেকই মনে করে থাকেন যে আরটিআর ১৫০এর আড়ালে এটি আসলে আরটিআর ১৬০। তাই আরটিআর ১৬০ বাজারে আসলে এই কনফিউশন ও দূর হয়ে যাবে। যেহেতু ফাইনালি বাংলাদেশ ১৬০সিসি ভার্সনটি আসছে। তাই আমরা আপনাদের জন্য TVS Apache RTR 160 এর ফিচার রিভিউ নিয়ে এসেছি।
TVS Apache RTR 160 - আউটলুক, ডিজাইন ও এপিয়ারেন্স
আরটিআর মানে হচ্ছে “রেসিং থ্রটল রেসপন্স”। এ থেকেই বোঝা যায় যে এর আক্রমনাত্মক লুক এবং তীক্ষ্ণ ডিজাইন কেন করা হয়েছে। বাইকটির স্টাইলিং হেডলাইট লুকের ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনে দিয়েছে, যা একে অন্যান্য বাইক থেকে আলাদা করেছে। চোখে পরার মত সেভাবে লুক এবং ডিজাইন এর ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়নি। তাই আরটিআর ১৬০ এর লুক আগের আরটিআর ১৫০ মতই আক্রমনাত্মক।
TVS Apache RTR 160 - চাকা, ব্রেক এবং সাসপেনশন
আরটিআর ১৬০ ফ্রন্ট এবং রেয়ার প্রায় একই রকম। ফ্রন্ট হচ্ছে ৯০/৯০-১৭ এবং রেয়ার ১১০/৮০/১৭। উভয় টায়ারই টিউবলেস টায়ার। যেহেতু উভয় টায়ার টিউবলেস তাই এর ১৭ ইঞ্চি রিমের ক্ষেত্রে উপযুক্ত।
আরটিআর ১৬০ ব্রেকিং সিস্টেম অনেক উন্নত করা হয়েছে। ফ্রন্ট এ ২৭০মিমি পেটাল ডিস্ক ব্রেক এবং রেয়ার ২০০মিমি রেয়ার ডিস্ক ব্রেক। তবে আপনি যদি চান ড্রাম ব্রেকের অপশন ও আছে। তবে ড্রাম ব্রেক হচ্ছে ১৩০মিমি। যদিও পুরোন ভার্সন আরটিআর ১৫০ এর সাথে তেমন পার্থক্য নেই। যেহেতু রেসিং থ্রটল বাইক তাই এর সামনের সাসপেশন টেলিস্কোপিক ফর্ক ১০৫মিমি এবং মনোটিউব আর রেয়ার সাসপেশন হচ্ছে ডুয়েল নিট্রোক্স শক্স।
TVS Apache RTR 160 - কন্ট্রোলিং এবং রাইডিং
আরটিআর ১৬০ এর হ্যান্ডলিং পজিশন একটু স্পোর্টি করে তৈরি করা। হ্যান্ডেল এর কারনে একটু নিচুতে আসতে হয়। যার জন্য রাইডার রেসিং এর স্বাদ পাবেন। শহর এবং হাইওয়েতে আরটিআর ১৬০ থ্রটল এর আক্রমনাত্মক ভাব একে অন্যস্বাদ এনে দেয়।
TVS Apache RTR 160 - ইঞ্জিন
আরটিআর ১৬০ এর ইঞ্জিন ফোর স্ট্রোক, এয়ার কুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ১৫৯.৭সিসি। এর ইঞ্জিন ১৫.২ বিএইচপি তে ৮৫০০ আরপিএম এবং ১৩.১ এনএম টর্ক এ ৪০০০আরপিএম শক্তি সমৃদ্ধ। বাইক প্রায় আরটিআর ১৫০ এর মতই ইঞ্জিন কোয়ালিটি। তাই বাইকটি কম সময়ে অনেক বেশি থ্রটল এবং স্পিড উৎপন্ন করতে পারে। আরটিআর ১৬০ তে কিক এবং ইলেক্ট্রিক উভয় স্টার্ট রয়েছে সাথে আছে ডিজিটাল ইগনিশোন। বাইকটিতে ৫ স্পিড গিয়ার ট্রান্সমিশন এবং কার্বুরেটর ইঞ্জিন সমৃদ্ধ। এই বাইকটি এই সেগমেন্টের অন্যতম পাওয়ার বুস্টার বাইক।
ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন
Type | 4 stroke |
Displacement | 159.7cc |
Cylinder arrangement | Single |
Maximum power | 15.2 BHP @ 8500 RPM |
Maximum torque | 13.1 NM @ 4000 RPM |
Bore x Stroke | 62 mm x 52.9 mm |
Compression Ratio | 9.5 : 1 |
Carburetor | UCAL BS-26 |
Starting | Electric & Kick Start |
Idle speed | 1400+/-200 RPM |
Ignition | IDI- Dual mode digital ignition |
Power to weight ratio | 81.7 kW per 1000kg |
TVS Apache RTR 160 - ফিচারসমূহ
চলুন দেখি আরটিআর ১৬০ এর কিছু মেইন ফিচারঃ
- আক্রমনাত্মক এবং তীক্ষ্ম লুক
- রেসিং এবং স্পোর্টি সিটিং পজিশন
- ১৫৯.৭ সিসি পাওয়ার বুস্টার ইঞ্জিন
- আকর্ষনীয় এলএইডি লাইট এবং স্টাইলিশ টেল লাইট
- ডুয়েল মোড ডিজিটাল ইগনিশান সিস্টেম
- মনোটিউব ইভার্টেড গ্যাস – সাথে সসক্স(এমআইজি) স্প্রিং আইডি।
- ডাবল ক্রেডেল স্টিফ
- টিউবলেস টায়ার
- হাই গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স
- অনেক বেশি ক্ষমতা এবং টর্ক সমৃদ্ধ
- এক্সেলারেশন এবং স্পিড রেকর্ডার
এই ছিল আজকের TVS Apache RTR 160 ফিচার রিভিউ। আশা করা যায় বাংলাদেশে আসার পর বাইকটি হোন্ডা সিবি হর্নেট এবং বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ এর সাথে ভালই প্রতিযোগিতা করবে।