Suzuki Gixxer SF FI 155cc ২০০০ কিলোমিটার রাইড - পলাশ রাব্বি
This page was last updated on 27-Jul-2024 08:54pm , By Raihan Opu Bangla
আমি পলাশ রাব্বি। আমি যে বাইকটি রাইড করছি সেটি হচ্ছে Suzuki Gixxer SF Fi 155cc । আমার বাইকটি প্রায় ২০০০ কিলোমিটার এর বেশি রাইড করা হয়েছে। আমি থাকি আগারগাও তলতলা , ঢাকা -১২০৭, এবং Suzuki Gixxer SF Fi আমার প্রথম বাইক। বাইকটি নিয়ে কিছু ভাল খারাপ অভিজ্ঞতা আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
Suzuki Gixxer SF FI 155cc ২০০০ কি.মি. রাইড অভিজ্ঞতা
Suzuki Gixxer SF Fi 155cc বাইকটি প্রথম দেখায় পছন্দ হয়। সামনে থেকে দেখে আমার দারুণ লাগে। বাইকটি রাইড করতে আরামদায়ক। Gixxer SF Fi ডিজাইন স্পোর্টি, তাই দেখতে অনেক আকর্ষণীয়। এটি যখন চলে তখন যথেষ্ট শক্তি দেয়। পুরানো মডেল গুলোর তুলনায় এই মডেলে ভাইব্রেশন কম। বাইকটিতে দেয়া হয়েছে ১৫৫সিসি ফুয়েল ইনজেক্টেড (এফআই) ইঞ্জিন এবং ইঞ্জিনটি এয়ার-কুল্ড।
পুরানো মডেলের তুলনায় এটির সিট হাইট একটু বেশি (৭৯৫ মিমি) যা খাটো রাইডারদের জন্য কিছুটা হতাশাজনক । সুজুকি বাইকটির ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের এবিএস বা সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম দেয়নি। যদি এবিএস বা সিবিএস থাকত তবে ব্রেকিং ভাল হবার সাথে সাথে দাম কিছুটা বেড়ে যেত। বাইকটি থেকে প্রায় ৪০ - ৪৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ দেয়। এটির দাম ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা (শো-রুম) এবং দামের দিক বিবেচনা করলে বাইকটি বেশ ভালো।
আপনি যদি নতুন রাইডার হন এবং একটি নতুন বাইক নেওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে আমি আপনাকে এটি কিনতে পরামর্শ দিচ্ছি। আসলে আমি ছোটবেলা থেকেই বাইক পছন্দ করতাম। আমি মনে করি বাইকটি পাখির মতো, যখন আমি বাইক রাইড করি আমি মনে করি আমি আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছি। বাইক কেনার সময় অনুভূতি ছিল অসাধারণ। আমি লিখে আমার সেই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি না। এই বাইকটি দাম এর দিক বিবেচনা করলে ভাল বলা যায়। বাইকটির ডিজাইন ও লুকস অনেক আকর্ষণীয়। এই বাইকটি আমার সাথে খুব ভালভাবে এডজাস্ট হয়েছে ।
Suzuki Gixxer SF Fi 155cc বাইকটির মূল জিনিস এটির রেসিং DNA, যা এসেছে সুজুকি হায়াবুসা থেকে এসেছে । বাইকটি ভাল সার্ভিস এবং ভাল মাইলেজ এর সাথে আরামদায়ক ভাবে রাইড করা যায়। এজন্যই আমি এই বাইকটি বেছে নিয়েছি। আমি এই বাইকটি কিনেছিলাম ২ লাখ ১৯ হাজার ৯৯০ টাকা দিয়ে। আমি এই বাইকটি MABS Auto থেকে কিনেছিলাম। যখন আমি আমার স্বপ্নের বাইকটি কিনেছিলাম তখন এই অনুভূতিটি ছিল আশ্চর্যজনক । আমি যখন প্রথমবার আমার জিক্সার এসএফ চালাচ্ছিলাম তখন অন্য রকম একটি ফিল হয়েছিল যেটি আমি কখনই ভুলতে পারবো না।
এটি আমার হৃদয় ও মনকে সতেজ রাখে । এটা আমার স্বপ্ন আমার ভালোবাসা অন্যদিকে এটি আমার সময়কে কমিয়ে দেয় এবং নিরাপদ যাত্রা দেয় । বাইকটি আমার কাজকে সহজ করে তোলে এবং আমাকে একটি আরামদায়ক যাত্রা উপহার দেয়। এটিতে ১৫৫সিসি একটি ইঞ্জিন রয়েছে যা প্রচুর পাওয়ার আউটপুট দেয়। এটি আমাকে আরও কনফিডেন্স দেয় যা আমাকে বাইক চালাতে আরো আগ্রহী করে তুলে। ব্রেকিং সিস্টেম যথেষ্ট ভাল। আমি আমার বাইক প্রতিদিন রাইড করা হয় এবং এটি আমাকে আনন্দদায়ক অনুভূতি দেয় এবং আমার মনকে সতেজ করে।
এর মধ্যে আমি আমার বাইকের প্রথম সার্ভিসটি সম্পন্ন করেছি। কয়েক দিনের মধ্যে আমি ২য় সার্ভিস করবো। আমি ডিলার থেকে আমার বাইকটির সার্ভিস করেছি যা আমাকে ভাল এবং সন্তোষজনক সার্ভিস সরবরাহ করেছে। আমি প্রায় ২০০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেছি তবে আমি কোনও বড় সমস্যার মুখোমুখি হইনি । আমি প্রতি লিটার অকটেন ৩৫ - ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ পেয়েছি। বাইকের মেইন্টেনেন্স কোন বড় বিষয় নয়, কেবল ব্যবহারিক ম্যানুয়ালটি অনুসরণ করুন এবং ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ দিন। কখনও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাবেন না। আমি মটুল 20w40 ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করছি।
আমার বাইকটি প্রায় নতুন আমি কোনও অংশ পরিবর্তন করিনি । আমি আমার বাইকটিতে এলইডি হেডলাইট, উইন্ডশীল্ড, হ্যান্ডেল গার্ড লাগিয়েছি । আমি অতিরিক্ত ঝুকি নিয়ে রাইড করিনা। তবে আমার সর্বোচ্চ গতি ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ভাল মাইলেজ
- ব্রেকিং সিস্টেম
- একটি শক্তিশালী ইঞ্জিন
- কন্ট্রোলিং
- থ্রটল রেস্পন্স
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- পিলিয়ন সিট তেমন আরামদায়ক নয়
- হেডলাইট এর আলো কম
এখন পর্যন্ত আমি কোন লং ট্যুরে যাইনি । সব মিলিয়ে বলা যায় স্বল্প বাজেটে এটি একটি ভাল বাইক। আমি সবাইকে এই বাইকটি কিনতে পরামর্শ দিচ্ছি । ধন্যবাদ
লিখেছেনঃ পলাশ রাব্বি
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।