Suzuki Gixxer 155cc SD ৫০০০ কিলোমিটার রাইড – আল মামুন
This page was last updated on 31-Jul-2024 01:47am , By Shuvo Bangla
আমি আল মামুন। আমি বর্তমানে Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি ব্যবহার করছি। আমার বাইকটি ৫০০০ কিলোমিটার চলছে । আজ আমি আমার Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি নিয়ে আমার কিছু রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
Suzuki Gixxer 155cc SD ৫০০০ কিমি রাইড
আমার জীবনের প্রথম বাইকটি Bajaj Pulsar 150cc ২০১২ মডেল । বর্তমানে আমি Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি ব্যবহার করছি । আমার বাসা ঢাকা জেলার, নবাবগঞ্জ উপজেলায়। বর্তমানে আমি উত্তরা থাকি । আমি পেশায় একজন ছাত্র এবং ফ্রিল্যান্সার (গ্রাফিক ডিজাইনার)।
বাইক অনেক আগে থেকেই ভালো লাগে আমার। যখন নবম শ্রেণিতে ছাত্র ছিলাম তখন জীবনের প্রথম বাইক চালাই এবং সেই বাইকটা আমার এক বন্ধু একটা বাইকের গ্যরেজ থেকে নিয়ে এসেছিল। আমি মুলত ইন্টারমিডিয়েট পড়াশুনা করার সময় বন্ধুদের বাইক দিয়ে চালানো শিখেছি। এটা আমার দ্বিতীয় বাইক। এই বাইক কখনো আমায় নিরাশ করেনি।
বাইকটি নিয়ে আমি বিভিন্ন স্থানে ট্যুর ও নানা রকম যাতায়াত কাজের জন্য ব্যবহার করি। আমি ২০২০ সালে ২০ জুলাই আমার জন্মদিনে নিজেকে নিজে বাইকটি উপহার দেই এবং সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বাইকটি কিনি। আমার টার্গেট ছিল জন্মদিনের দিন বাইকটি নেয়া সেই জন্য আগে থাকে খোঁজ শুরু করেছিলাম কোন শো-রুমে বাইকটি পাবো কারন সেই সময় Suzuki Gixxer এর নুতন মডেল বাজারে আসার কারনে পুরাতন মডেল পাওয়া যাচ্ছিল না।
অনেক গুলো শো-রুমে আমার ফোন নাম্বার দিয়ে রাখি যাতে বাইক আসলে তারা আমাকে ইনফরম করে। ১৮ বা ১৯ জুলাই Suzuki Moto Zone থেকে আমায় ফোন দিয়ে জানায় তাদের শো-রুমে বাইক এসেছে, তার পরে ২০ জুলাই আমি এবং আমার বন্ধু Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি কিনতে যাই।
আমার কালো কালারের বাইক পছন্দ ছিল কিন্তু কালো কালার তখন কোথাও পাইনি আর টার্গেট ছিল হয়তো জন্মদিনের দিন বাইক নিব না হয় পরে আর নিব না তাই গ্রে কালারটি নিয়ে নেই কারণ কালোর পর গ্রে কালার আমার পছন্দ ছিল। যখন Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি কিনি তখন এর মূল্য ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। আমার বাইকটি উত্তরা Suzuki Moto Zone থেকে নেয়া।
Suzuki Gixxer 155cc Test Ride Review In Bangla – Team BikeBD
আমার Bajaj Pulsar 150 থাকা অবস্তায় আমি আমার বন্ধুর Suzuki Gixxer 155cc SD চালাই, তার পর থেকেই এই বাইকটা আমার পছন্দের তালিকায় আছে। মুলত এই বাইকের লুক, পাওয়ার, ব্রেকিং আমার খুব পছন্দ। আমি আমার বাইকের ১৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্রেকিং পিরিয়ড মেনে চালাই। আমি ৩০০ কিলোমিটারে প্রথম বার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি, তারপর থেকে প্রতি ৫০০ কিলোমিটারে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি ১৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত।১৭০০ কিলোমিটারের পর থেকে প্রতি ৭০০ কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। আমার বাইকের মাইলেজ আমি সঠিক ভাবে চেক করিনি কিন্তু প্রতি লিটার মাইলেজ পাচ্ছি প্রায় ৩৮ থেকে ৪০+ । আমি নিয়মিত ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার সময় অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করি। বাইটি ৭০০ কিলোমিটারে প্রথম সার্ভিসিং করতে দেই। দ্বিতীয় সার্ভিসিং ১৮০০ কিলোমিটারে করতে দেই, এবং তৃতীয় সার্ভিসিং ৪৫০০ কিলোমিটারে করতে দেই।
আমি আমার বাইকে Shell 20w40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। এটি ভালো একটি ইঞ্জিন অয়েল। আমি আমার বাইকে শুধু ফগ লাইট এবং টায়ার গার্ড লাগিয়েছি। আমি আমার বাইকে টপ স্পীড চেক করিনি কিন্তু হাইওয়েতে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত তুলেছি পিলিওন সহ। আমি আমার বাইকটি নিয়ে লং ট্যুরে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম , কুমিল্লা, টাংগাইল এবং নিকলী হাওর, কিশোরগঞ্জ গিয়েছি।
Suzuki Gixxer 155 SD বাইকটির কিছু ভালো দিক-
- ব্রেকিং সিস্টেম খুবই ভাল
- খুব সহজেই কন্ট্রোল করা যায়
- টায়ার টিউবলেস থাকায় নিশ্চিতে রাইড করা যায়
- লং রাইডে ব্যাক পেইন এবং হাত ব্যাথা হয়না
- পার্টস খুব সহজেই পাওয়া যায়
- সিটিং পজিশন ভালো
- খুব দ্রুত গতি তুলতে পারে
- মাইলেজ যথেষ্ট ভালো
Suzuki Gixxer 155 SD বাইকটির কিছু খারাপ দিক-
- পিলিয়ন সিট কম্ফোর্ট না
- পিছনের ব্রেক কম কাজ করে
- হেড লাইটের আলো একদম অল্প, হাইওয়েতে ব্যবহারের অনুপযোগী
Suzuki Gixxer 155cc SD বাইকটি আমি নিজেই ব্যবহার করে থাকি। Suzuki Gixxer 155cc SD কম বাজেটে ১৫৫ সিসি সেগমেন্ট এর ভিতর ভালো একটা বাইক । এই ৫০০০ কিলোমিটারে চালানোর মধ্যে বাইকের কোন পার্টস পরিবর্তন করার প্রয়োজন পরেনি এবং কোন সমস্যাও হয়নি। এটার সার্ভিসে আমি সন্তুষ্ট । খুব ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। ধন্যবাদ।
সুজুকির সব বাইকের দাম এবং সুজুকির শো-রুম সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ঘুরে আসুন। নতুন নতুন মোটরসাইকেল এর বিষয়ে খবর জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ সবাইকে।
লিখেছেনঃ আল মামুন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।