Suzuki Gixxer বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - রিফাত রহমান
This page was last updated on 30-Jul-2024 06:44am , By Shuvo Bangla
আমি রিফাত রহমান । আমি একটি Suzuki Gixxer বাইক ব্যবহার করি । বাইকটি নিয়ে আমি আজ আপনাদের সাথে আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
আমার বাসা মৌলভীবাজার কুলাউড়া , আমার জীবনের প্রথম বাইক Tvs Stryker 125 এই বাইকটা দিয়ে জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখেছি । বাইকটা কম সিসি কিন্তু এই ১২৫ সিসির মধ্যে কিপরিমান আনন্দ এটা বোঝানো সম্ভব নয় ।
আজ থেকে তিন চার বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন ভ্রমণ প্রেমিক। ভ্রমন করতে খুবই ভালো লাগে আর তা যদি হয় বাইকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই ।
জিক্সার খুব একটা কমন বাইক যার ফলে যে কোন জায়গায় সার্ভিস বা স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় । এইসব দিক চিন্তা করে আমি বাইকটি ক্রয় করি ।
বাইকটি যখন ক্রয় করি তখন বাইকটির দাম ছিল ১৯২,৯৫০ টাকা । বাইকটি আমি মৌলভীবাজার সুজুকি শোরুম থেকে কিনেছিলাম । বাইক কিনতে যাবার দিন বাইক কেনার কোন চিন্তা ছিল না । আমি শোরুমে যাই বাইক দেখতে কিন্তু গিয়ে বাইক পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই দিন বাইক কিনে নিয়ে আসি ।
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । এটা শুধু একজন বাইকারই বুঝবে । বাইক চালানোর পেছনের মূল কারণ পরিবারের বিভিন্ন কাজ এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করার ।
আমার বাইক কয়েক বার সার্ভিস করিয়েছি সুজুকি শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । সুজুকি সবসময় তাদের বেস্ট সার্ভিস দিয়ে থাকে । ২৫০০ কিলোমিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ পেয়েছি ৪০-৪৫ ।
আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম Shell Advance Ax Star 20W40 দাম ৫৫০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি খুবই ভালো, আমি অনেকদিন থেকে এটা ব্যবহার করছি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১২০ ।
বাইকের পার্টস পরিবর্তন করিনি , আমার বাইকের মডিফিকেশন তেমন একটা ভালো লাগে না । এছাড়াও মধ্যবিত্ত হওয়ার ফলে অনেক কষ্টে বাইক কিনেছি এরপর আর টাকা খরচ করা সম্ভব না । রেগুলার মেনটেনেন্স করতে একটু কষ্ট হয়ে যায় ।
Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ব্রেকিং সিস্টেম
- দেখতে সুন্দর
- টায়ারের গ্রিপ
- লং রাইডে পার্ফরমেন্স ধরে রাখে
- কম্ফোর্ট
Suzuki Gixxer বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- চেইন লুজ ইস্যু
- সিটি রাইডে হিটিং ইস্যু
- হেডলাইটের আলো কম
- লং রাইডে বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
- লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে
বাইকটি নিয়ে আমি অনেক ট্যুর দিয়েছি । আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি ।
সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । যত খারাপ দিক থাকুক না কেন । ওইগুলো আমার চোখে লাগে না । কারণ আমি তাকে ভালোবাসি । ধন্যবাদ ।