Suzuki Gixxer কম্ফোর্ট মাইলেজ সব দিক দিয়েই ভালো - তসফি
This page was last updated on 01-Apr-2023 01:23am , By Shuvo Bangla
আমি তাসফি উদ্দিন । আমার লাইফের ফাস্ট বাইক Suzuki Gixxer নিয়ে আমি আমার রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।বাইক আমার ছোট বেলার ভালবাসা। আমি যখন ছোট ৭/৮ বছর বয়স তখন থেকেই বাইকের প্রতি আকৃষ্ট আমি। বাইকিং কেন ভালোবাসি তা আসলে বলতে পারব না ।
বাইকটি বেছে নিয়েছিলাম কম বাজেটের মাঝে স্টাইলিস , কম্ফোর্ট , মাইলেজ সব দিক দিয়েই আমার ভালো লাগে। বেশি ভালো লাগে বাইকের লুকস দেখে। আমি বাইকটি কিনেছিলাম ২৭ এপ্রিল ২০২২ খান অটোস সিলেট সুবানিঘাট থেকে। সে সময় আমি বাইকটি সুজুকির শোরুম থেকে ১,৭৪,৭৫০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম।
বাইকটি আমাকে সারপ্রাইজ দেওয়া হয়। আমার আব্বু আম্মু, চাচা চাচিরা ভাই বোনেরা , ৫ জন বন্ধু সবাই আমাকে সারপ্রাইজ দেয়। আমাকে একদিন আমার কাকা বলেন যে ইফতার পার্টি আছে উনার সাথে যাওয়ার জন্য। আমি রেডি হই। আব্বু তখন ইতেকাফে ছিলেন। বাইক আনতে যাই আমি কাকা আর বন্ধু নাবিল, তায়েফ।
কাকার বাইক সার্ভিসিং এ ছিল। নিচে এসে দেখি বন্ধুরা আসছে।আমি আমার ফ্রেন্ডের বাইকে উঠি কাকা আর আরেক বন্ধু রিস্কায় আসেন শোরুমে আমাকে আমার বন্ধু বলে কুশিয়ারা সেন্টারে দাওয়াত। অরাও যাবে কিছু পথ ঘুরিয়া শোরুমের সামনে এনে আমাকে সারপ্রাইজ দেয় সবাই। খুশিতে আমার চোখে জল চলে এসেগিয়েছিল।
আমার পার্সোনাল বাইক হওয়ার আগে আমার চাচার বাইক চালাতাম। সব সময় আমার সাথে থাকত। সে বাইকের নাম হল হোন্ডা লিভো ১১০। তাই আমার বাইক উদ্বোধন করি কাকার হাত দিয়ে। উনি চালিয়ে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসেন। আর এইদিন রাতে খুশিতে আমার ঘুম হয় নি। এই ছিল কাহিনি।
প্রথম যেদিন আমার বাইকটি চালাই তার অনুভূতি বলে বুঝানোর মতো নয়। আপনি একজন বাইকার আপনি আমার সেই দিনের ফিলিংস একটু হলেও উপলব্ধি করতে পারছেন। ডিক্স ব্রেক এর বাইক, কম্ফোর্ট, মাইলেজ প্রথম থেকে অনেক ভালো পেয়েছি কখনোই নিরাস করেনি আমাকে
৫টা সার্ভিস ফ্রি পাই। ৩ টা শোরোমের সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে করিয়েছি। আমার বাইক এখন ৪৩৫৭ কিলোমিটার চলেছে। ১০০০ কিলোমিটার পার হবার পর যখন লং ট্যুরে যেতাম তখন আনুমানিক ৫০+ মাইলেজ পেতাম আর সিটিতে ৪৫ মতো, আবার ২৫০০ কিলোমিটার পার হবার পর এই পর্যন্ত এভারেজে ৪৫ পেয়েছি।
বাইক নিয়ে এখনো এত দূরে কোথাও যাওয়া হয় নি। কিছুদিন পর কলেজের এক্সাম শেষ হলে যাব ইনশাআল্লাহ। সিটির ভিতরে চালানো হয় বেশিরভাগ। লং ট্যুর বলতে যেমন সিলেটের ভিতরে যাওয়া আসায় ২০০-২৫০ কিলোমিটার । সিলেটের বিভিন্ন পার্ক, রিসোর্ট , সুন্দর এলাকা অনেক যায়গায় আছে অই যায়গা গুলোতে যাওয়া। সিলেট এরিয়ার বাইরে এখনো যাওয়া হয় নি।
বাইক ক্রয় করার ৩০০ কিলোমিটার হওয়ার পর আমি ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি। আমি মটুল মিনারেল 10w-40 ইউজ করি তার পর আবার ৬০০ কিলোমিটারে পরিবর্তন করি। ২০০০ কিলোমিটারে মটুল হাফ সিন্থেটিক ব্যবহার করি। 4000 কিলোমিটার যাওয়ার পরে এইবার আমি মটুল ফুল সিন্থেটিক ব্যবহার করি। এক বার পর পর অয়েল ফিল্টার পরিবর্তন করি।
এখনো বাইকের কোন পার্টস পরিবর্তন করেনি । শুধু এলিডি লাইট লাগিয়েছি। বাইকের সর্বোচ্চ স্পিড পেয়েছি ১২৭।
Suzuki Gixxer বাইকের কিছু ভালো দিক -
- মাইলেজ
- কন্ট্রোলিং
- মোটা টায়ার
- স্পীড
- ব্যালেন্সিং
Suzuki Gixxer বাইকের খারাপ দিক -
- হেডলাইটের আলো কম
- কম গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স
- হার্ড ক্লাচ ও গিয়ার
আমি বাইকটি খুব যত্নে রাখি।যত্ন করে চালাই। তাই বাইকটি আমাকে খুব ভালো পার্ফরমেন্স দিচ্ছে । আমি সুজুকি ব্রান্ডের বাইক রাইড করে সন্তুষ্ঠ । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ তাসফি উদ্দিন