সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত
This page was last updated on 08-Jul-2024 08:07pm , By Saleh Bangla
অনেক কারনেই আমরা সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কিনে থাকি । এই বিষয়টি সচরাচর ঘটে থাকে আমাদের দেশে । যেই কারনই হোক না কেনো সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার আগে কিছু বিষয় মাথায় রাখা উচিত । সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে আজকে আমরা আপনাদের সাথে সেকেন্ড হ্যান্ড বাইক কেনার সময় কি কি লক্ষ্য রাখা উচিত - সে বিষয়ে আলোচনা করব । সেই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে আমরা এই বিষয়ের কিছু গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল – মোটরসাইকেল কন্ডিশন
যখন আপনি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কিনতে উদ্যোগ নেবেন সর্বপ্রথম যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন তা হল মোটরসাইকেলের কন্ডিশন কেমন আছে ? এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল মেকানিক্যাল কন্ডিশন এর উপর নির্ভর করে মোটরসাইকেলের ব্যবহারের সময়, কতদিন চলবে এবং এর কন্ডিশন এখন কেমন ? এই বিষয়গুলোর মাধ্যমে মোটরসাইকেলের দাম নির্ধারিত করা যায় ।
[su_button url="https://www.bikebd.com/bike-price-in-bd/" target="blank" style="stroked" background="#3ca539" size="8" center="yes" text_shadow="0px 0px 0px #000000"]আরও পড়ুন > বাংলাদেশের সব বাইকের বর্তমান দাম[/su_button]
মোটরসাইকেলেরে কন্ডিশন এবং বাইকটির অবস্থা কেমন তা বোঝার জন্য সব থেকে ভাল আপনি বাইকটির টেস্ট রাইড করে দেখুন । তাই সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে সব সময় বাইকটির টেস্ট রাইড করে দেখুন । নিরাপত্তার জন্য টেস্ট রাইড করার আগে বাইকের মালিককে পিলিয়ন সিটে বসার জন্য বলবেন যাতে করে মালিক কোন বিভ্রান্তির শিকার না হয় । এছাড়াও একজন দক্ষ এসিস্টেন্স এবং অবজারভেশনও খুব জরুরী । এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে বাইকের এক্সটার্নাল বা ইন্টার্নাল কোন সমস্যা আছে কি না । এছাড়া একজন দক্ষ কেউ থাকলে বাইক কেনার সময় আপনাকে অনেক বিষয় সাহায্য করতে পারবে ।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল – রেস্টোরেশন বা রিপেয়ার কস্ট
প্রতিটি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল বা ইউজড মোটরসাইকেলে কিছুটা হলেও রিপেয়ার খরচ বা রেস্টোরেশন এর কাজ লাগে । অনেক সময় মোটরসাইকেল মডিফিকেশন এর জন্য অনেক খরচ পড়ে যায় । কিন্তু আসলে ইউজড এবং পুরাতন মেশিন হওয়ার কারনে কিছুটা হলেও খরচ করা লাগে । তাই টেস্ট রাইড বা ইন্সপেকশন করার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত । ইন্সপেকশন এর সময় দেখে নেবেন কোন পার্টস রিপেয়ার বা রেস্টোরেশন করা লাগবে । এসময়ের মধ্যে আপনার হিসাব করা উচিত যে রিপেয়ার, রেস্টোরেশন, মেইনটেন্স কস্ট এবং কাস্টমাইজেশন কস্ট মিলে কত খরচ পড়বে । এই চিন্তার মাধ্যেম আপনার বাজেট সর্ম্পকে আপনি হিসাব রাখতে পারবেন । অতএব এই সব বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনি মোটরসাইকেলের দামাদামি করতে পারবেন ।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল – মোটরসাইকেল ডকুমেন্ট স্ট্যাটাস
মোটরসাইকেলের মেকানিক্যাল কন্ডিশন এবং রেস্টোরিং কস্ট এর পরে আপনার যে বিষয়টি খোজ নিতে হবে তা হল মোটরসাইকেলের ডকুমেন্ট । সর্বপ্রথম যে বিষয়টি হল মোটরসাইকেলটি রেজিষ্টার করা কি করা না । যদি রেজিষ্টার করা থাকে তাহলে ঠিকভাবে করা হয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষন করা । আর একটি বিষয় শিউর হতে হবে যে আপনার গভমেন্ট ফি এবং চার্জ দেওয়া হয়েছে কিনা এবং কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা । যদি মোটরসাইকেলটি রেজিষ্টার করা না থাকে তাহলে কতদূর করা হয়েছে এই বিষয় পর্যবেক্ষন করা । যদি বাইকটি রেজিষ্ট্রেশন করার মত ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বিষয়টি অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যপার । সেই ক্ষেত্রে বাইকের বিষয় সব ধরনের রেজিষ্ট্রেশনের ডকুমেন্টস কাগজপত্র দেখা এবং এটি করা উচিত কোন দক্ষ কারোর মাধ্যেম । সেই ক্ষেত্রে এই বিষয়টি বেশ বিপদজনক কারন মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন করা হয় নি । যার কারনে রেজিষ্ট্রেশন করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এবং কাজটি এত সহজও না ।
রেজিষ্ট্রার বা রেজিষ্ট্রার না করা বাইক বিষয় সর্বশেষ কথা হল বাইকের সব ধরনের ডকুমেন্ট ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা । এছাড়াও বাইকের ইঞ্জিন এবং চেসিস নাম্বার ঠিক আছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা । মনে রাখবেন যদি বাইকের রেজিষ্ট্রেশন না করা থাকে বা বাইকের নাম ট্রান্সফার করা সম্ভব না হয় তাহলে বাইকটি না কেনায় শ্রেয় ।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল – রিসেল ভ্যালু
যখন আপনি ১০০% শিউর যে মোটরসাইকেলটির ওউনারশিপ, রেজিষ্ট্রেশন এবং মোটরসাইকেল বিষয়ক অন্যান্য ডকুমেন্টসগুলো সবগুলো ঠিক আছে তখন আপনার আর একটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত হল মোটরসাইকেলটির দাম কেমন । এছাড়াও যখন আপনি সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক কিনবেন তখন আর একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে সেই মডেলের বাইকের রিসেল ভ্যালু কেমন । এটি আপনাকে বাইকটির বর্তমান মূল্য কেমন তার সর্ম্পকে ধারনা দেবে ।
সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল – প্রাইস
অতএব পাঠকেরা সবশেষে যে বিষয়টি হল বাইকটির দাম । অবশ্যই স্পেসিফিক মডেল এবং ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের দাম বর্তমানের মোটরসাইকেলের বাজারে যে দাম আছে তেমন হবে । এছাড়া যখন বায়ার সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার সময় যখন বাইকটির কন্ডিশন, রিপেয়ার কস্ট এবং ডকুমেন্ট স্ট্যাটাস সর্ম্পকে বুঝবে তখন দামাদামি করা সহজ হবে । আপনি যখন বাইকটি কিনবেন তখন কোন উইটনেস রাখবেন এবং সেখানে গর্ভমেন্ট ফর্মালিটিগুলো পূরন করে নেবেন । অতএব পাঠকেরা এই ছিল সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক কেনার আগে পাচটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় । যখন আপনি একটার পর একটা তথ্য জোগাড় করবেন বাইকটির বিষয় তখন সহজ হবে আপনার জন্য বাইকটি কেনার জন্য ।
আশা করি সেকেন্ডহ্যান্ড মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব রাখতে হবে সে বিষয়গুলো আপনারা পরিষ্কারভাবে বুঝেছেন । ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য এবং শুভকামনা রইল । অতএব সাবধানে রাইড করুন এবং নিরাপদ থাকুন । আবারো ধন্যবাদ সবাইকে ।