Runner Knight Rider নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছেন সৌরভ
This page was last updated on 08-Jul-2024 10:53pm , By Shuvo Bangla
আমি সৌরভ, আজ আপনাদের সাথে আমার Runner Knight Rider নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। Runner Knight Rider বাইকটি কেনার সময়ই ভেবেছিলাম বাইকটি দিয়ে একটা ট্যুর দিবো, এবং তখনই সবরকম টেস্ট করবো বাইকটি নিয়ে । তাই প্রথম সুযোগ পাবামাত্রই চলে গেলাম কক্সবাজার।
Runner Knight Rider নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা লিখেছেন সৌরভ
Runner Knight Rider – কন্ট্রোলিং এবং হ্যান্ডলিং
বাইকটার কন্ট্রোলিং মোটামুটি। এই হ্যান্ডেল এর কারনে আমার কাছে হাই ওয়েতে সামান্য অসুবিধা বোধ করেছি, পাইপ হ্যান্ডেল হলে হয়তো সবচাইতে ভালো হতো। শহরের ট্রাফিকে হ্যান্ডেল করতে খুব বেশি সমস্যা না হলেও হাইওয়েতে কর্নারিং করতে খুব বেশি সস্ময়া হয়েছে। বড় বাকগুলোতে স্পীড সামান্য বেশি থাকলেই কর্নারিং করতে সমস্যা হচ্ছিলো।
Runner Knight Rider – ব্রেকিং
বাইক এর স্টক ব্রেক শু গুলো একেবারেই ভালো না, ষহরের জন্য সামনের হাইড্রলিকটা মোটামুটি চলনসই হলেও হাইওয়েতে হাইড্রলিকটা একেবারেই কাজের নয়, এছাড়াও পেছনের ড্রাম ব্রেকটাও একেবারেই বাজে। ব্রেক শু পরিবর্তন করে অন্যব্র্যান্ড এর ব্রেক শু লাগালে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হবে। পেছনের টায়ারড়টা মোটামুটি গ্রিপ দিলেও সামনের টায়ারটা ভালো গ্রিপ দেয় না।
Runner Knight Rider - এক্সেলেরেশন
বাইকটির এক্সেলেরেশন অসাধারন, শহরের জন্য তো বটেই, হাইওয়েতে বাস-ট্রাক ওভারটেক করার সময়েও অসাধারন এক্সেলেরেট করেছে বাইকটি।চেইন স্প্রল্কেট আর চেইনটা আরো ভালোমানের হলে হয়তো এক্সেলেরেশনটা আরো বেশি অসাধারন হতো। বাইকের চেইন স্প্রকেট এবং চেইনটা খুবই নিন্মমানের, তাই ইঞ্জিন এর সম্পূর্ন শক্তি কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এই সমস্যাটুকু বাদ দিলে বাইকের এক্সেলেরেশন নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
Runner Knight Rider – লাইট এবং হর্ণ
যাদের নাইট রাইডার আছে তারা সকলেই জানেন যে এর লাইট আর হর্ন ঠিক কেমন , আমি অলরেডী হর্ন পরিবর্তন করে ভালোমানের হর্ন লাগিয়েছি এবং লাইটটি নিয়েও ভাবছি। কারন, বাইক
Runner Knight Rider – ইঞ্জিন এবং শক্তি
বাইকটার সবচাইতে ভালো দিক হচ্ছে এর ইঞ্জিন। এটা খুবই শক্তিশালী একটি ইঞ্জিন। ব্রেক ইন পিরিয়ড পার হবার পরে ইঞ্জিনটি কোণপ্রকার ওভারহীট হয়নি, এবং এই কক্সবাজার ট্যুরেও ইঞ্জিনটি কোনরকম হীট হয়নি। বাইক একটানা ৮০ কিলোমিটার চালানো হয়েছে, তারপর্ব ইঞ্জিন গরম হয়নি, এবং সাউন্ডও একদন সেমই ছিলো। ইঞ্জিনের স্মুথনেসটা ৬০ কিলোমিটার/ঘন্টা পর্যন্ত থাকে, এরপরে স্মুথনেসটা চলে যায় কিন্তু বাইকটি সম্পূর্ন দানবে পরিনত হয়। আমি বাইকটি দিয়ে টপ স্পীড তুলেছি একা ১২৩ কিমি/ঘন্টা, এবং পাইলিয়ন নিয়ে তুলেছি সর্বোচ্চ ১১৮ কিলোমিটার/ঘন্টা।
Runner Knight Rider – কমফোর্ট
বাইকটির কমফোর্ট নিয়ে কোন সন্দেহ নেই , বাইকটি খুবই কমফোর্টেবল একটি বাইক। বাইকটির সীট খুবই আরামদায়ক, এবং বাইকটি পেছনের মনোশক সাসপেনশনটি খুবই ভালো পারফর্মেন্স দিচ্ছে। বাইকটির সামনের সাসপেনশনটাও অসাধারন ... হ্যান্ডেল এর কন্ট্রোল ভালো না হলেও এই হ্যান্ডেল এ রাইড করলে কোনপ্রকার ব্যাকপেইন হয় না।
Runner Knight Rider – মাইলেজ
আমার বাইকটি সিটি রাইডে ৩৮-৪১ কিমি/লিটার মাইলেজ দেন, আর হাইওয়েতে ৫০-৫৫ কিমি/লিটার মাইলেজ পাই। তবে, আমার এই মাইলেজ পাবার জন্য আরপিএম এর নিয়মগুলো মেনে চলতে হয়। বাইক এর আরপিএম ৪-৫ এর মধ্যে থাকলেই ভালো মাইলেজ পাওয়া যায়। এর হাইওয়েতে এই মাইলেজ পাবার কারন হচ্ছে আমার আরপিএম আমি ৬-৮ এর মধ্যে রেখেছি। এই হচ্ছে Runner Knight Rider নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা। সবমিলিয়ে বাইকটা ভালোই, যত্ন করে চালালে ইনশা আল্লাহ অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাবেন।
লিখেছেনঃ সৌরভ -From Thunder Riderz