বাংলাদেশে বাইক ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
This page was last updated on 04-Jul-2024 12:02pm , By Shuvo Bangla
প্রত্যেক দেশেই একটি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ থাকে এবং সে কারণেই বাংলাদেশেও একটি সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। একজন বাংলাদেশি তার মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বি.আর.টি.এ (BRTA) এর উপর নির্ভরশীল, BRTA মানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ । লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে একজন লোককে বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং তাকে কতগুলো অবশ্যপালনীয় নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়।
বাংলাদেশে বাইক ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা
একটি লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন চালককে প্রথমে শিক্ষানবিশ চালকের লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা দিতে হয় কারণ এটা ছাড়া সে অরিজিনাল লাইসেন্স পাবে না। এই লাইসেন্সটির একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকবে যখন সে BRTA এর অধীনে পরীক্ষা দেবে। একটি শিক্ষানবিশ লাইসেন্সের ফরমে থাকে, নাম,বাবার নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ , ব্লাড গ্রুপ এবং সংস্থার নাম এবং ঠিকানা।
লাইসেন্স নাম্বার ও তারিখ কর্তৃপক্ষ পূরণ করবে এবং লাইসেন্সের ফরমের সাথে আপনাকে ফি জমা দেওয়ার কাগজ, বয়স প্রমাণের কাগজ এবং ঠিকানা প্রমাণের কাগজ যুক্ত করতে হবে। আপনাকে এটার সাথে একটি মেডিকেল রিপোর্টও যুক্ত করতে হবে যেখানে আপনার স্বাস্থ্য ও স্বভাব সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন থাকবে। উভয় ফরমেই আপনার ছবি ও স্বাক্ষর দিতে হবে।
Also Read: ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে কি করতে হবে । BRTA
আমরা যতটুকু জানি শিক্ষানবিশ লাইসেন্স পাওয়ার পর আপনাকে BRTA এর অধীনে পরীক্ষা দিতে হবে । এই পরীক্ষায় আপনাকে রাস্তার বিভিন্ন নিয়মনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে এবং একটি চিহ্নিত জায়গায় কোন ভুল ছাড়া আপনাকে বাইক চালাতে হবে। আপনাকে আরও চালাতে হতে পারে উঁচুনিচু কিংবা গর্তযুক্ত পথে যা একজন নতুনের পক্ষে কঠিন। প্রশিক্ষক দ্বারা একটি ফলাফল দেয়া হবে ,আপনি লাইসেন্স পাবেন কিনা তা সম্পূর্ণভাবে এ নাম্বারের উপর নির্ভর করবে। এই পরীক্ষায় পাশের পর আপনি একটি মোটরসাইকেল বৈধভাবে চালাতে পারবেন।
অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য কমপক্ষে ১৮ বছর এবং পেশাদার চালকদের জন্য ২০ বছর বয়স হওয়া প্রয়োজন। কারণ ১৮ বছরের পূর্বে কেউ বাংলাদেশের পূর্ন নাগরিক হিসেবে গন্য হয় না এবং কেউ মোটরসাইকেল চালানোর মত পরিণত হয় না।
উপরে আমরা কেবল লাইসেন্স পাওয়ার মূল প্রক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এছাড়াও একজন লোককে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আরও অনেক কিছু করতে হয় । উদাহারনস্বরূপ তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে । কারণ আমরা সকলেই জানি ড্রাইভিং অত সহজ নয় ।এটা আমাদের মানসিকভাবে চাপে রাখে এবং আমাদের শরীরে ব্যাথার সৃষ্টি করে । এছাড়াও ভালোভাবে দেখা ও শোনার ক্ষমতা থাকলেই কেবল সে ভালোভাবে দেখতে ও চালাতে পারবে এবং কোনকিছু শোনার মাধ্যমে সে নিজেকে দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে পারবে ।
Also Read: ১৫ মার্চ,২০১৫ থেকেই সারা দেশে চলতে পারবেনা লাইসেন্সবিহীন কোনো মোটরসাইকেল
আত্মবিশ্বাসী হলেই কেবলমাত্র একজন লোক ড্রাইভিং শিখতে পারবে। যদি কেউ অত্যন্ত মনযোগী হয় তাহলে সে ২ সপ্তাহে ড্রাইভিং শিখতে পারবে কিন্তু কারো যদি মনোযোগ না থাকে তাহলে সে ১ মাসেও ড্রাইভিং শিখতে পারবে না ।
একজন লোক লাইসেন্স পাবে কিনা এটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে তার পরীক্ষা,দক্ষতা এবং মনোযোগের উপর । এগুলো তাকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেবে এবং তারপর বি.আর.টি.এ সিদ্ধান্ত নেবে তাকে লাইসেন্স দেবে কিনা । তাই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন লোককে পরীক্ষাতেই তাদের মন জয় করে নিতে হবে ।
এখানে বাংলাদেশে কিভাবে মোটরসাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যাবে তার শুধুমাত্র সংক্ষিপ্ত বর্ণনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।