Lifan KPR 165R বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ - বাবলু
This page was last updated on 07-Jan-2025 05:46pm , By Shuvo Bangla
আমি বাবলু কুমার নাথ, আপনাদের সাথে শেয়ার করবো Lifan KPR 165R বাইকের মালিকানা রিভিউ । বর্তমানে এই বাইকটি ব্যবহার করতেছি আমার এই বাইক নেওয়ার অনেক কারন ছিলো যেটা আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো ।
Lifan KPR 165R বাইক নিয়ে মালিকানা রিভিউ
কেন বাইকিং ভালোবাসি -
ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম যে আমার একটি বাইক থাকবে। আর সেই স্বপ্ন থেকেই বাইকিং এর প্রতি ভালবাসাটা তৈরি হয়েছে আর আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে খুব পছন্দ করি আর বাইক হচ্ছে এমন একটি বাহন যার দ্বারা স্বাধীনভাবে যেখানে খুশি সেখানে যাওয়া যায়।
মন খারাপ হলে বাইক রাইড করলে মন ভালো হয়ে যায়। তারপর বাইক একটা আবেগের জিনিস।। সে জন্য আমি বাইকিং ভালোবাসি। বাইকের প্রতি ছোটবেলা থেকে কেন জানি একটু আলাদা দুর্বলতা কাজ করতো ভালোবাসা ছিল বাইকের প্রতি।
পাঁচ-ছয়টা দিক বিবেচনা করে আমি আমার বাইক টি বেছে নিয়েছি -
- বাজেট
- স্পোর্টি লুকস
- পাওয়ার
- ব্রেকিং
- কন্ট্রোলিং
- মাইলেজ
বাইকটি বেছে নেওয়ার পিছনে বিস্তারিত বলতে গেলে ২ লক্ষ টাকা বাজেটে কেপিআর হচ্ছে একমাত্র বেস্ট স্পোর্টস বাইক। এই বাইকটির লুকস, ব্রেকিং, পাওয়ার,কন্ট্রোলিং,মাইলেজ এবং অন্যান্য দিক বিবেচনা করে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
অন্যান্য বাইকের তুলনায় কেপিআরের পাওয়ার এবং ব্রেকিং অনেক বেটার লেগেছে। এই বাইকটি এফ আই ইঞ্জিন হওয়াতে ভালো মাইলেজ দিবে এইজন্য আমি বাইকটি বেছে নিয়েছি। সিবিএস ব্রেকিং সিস্টেম দেওয়ার কারণে কন্ট্রোলিং এ ভালো সাপোর্ট দিবে আমাকে । এইসব চিন্তা ভাবনা করে আমি এই বাইকটি বেছে নিয়েছি।
Lifan KPR 165R বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- বাইকের লুকস, যার জন্য যে কোন জায়গায় বাইকটি সবার নজর কাড়ে।
- বাইকটির পাওয়ার ও টর্ক ভালো থাকাতে হাইওয়েতে ওভারটেকিং এর সময় কনফিডেন্স পাওয়া যায় বেশি।
- কন্ট্রোলিং ব্রেকিং খুবই ভালো , ব্রেকিং এ CBS ব্রেক হওয়াতে খুব ভালো কনফিডেন্স পাওয়া যায়।
- লিকুইড কুল ইঞ্জিন হওয়াতে লং টাইম রাইড করলে পাওয়ার লস করবে না এবং দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করবে। Carburettor ইঞ্জিন হওয়াতে স্পোর্টস বাইক হওয়া সত্বেও মাইলেজ খুবই ভালো পাওয়া যায়।
Lifan KPR 165R বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- হিটিং ইস্যু জ্যামের মধ্যে বাইক চালালে ইঞ্জিন গরম হয়ে যায়।
- বাইক ঘোরাতে জায়গা লাগে প্রচুর।
- সাসপেনশন খুবই শক্ত।
- গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স খুব কম হওয়াতে পিলিয়ন নিয়ে চালালে নিচে স্পিডব্রেকারে বেজে যায়।
- কবাইকের ক্লাস খুব হার্ড মনে হয়েছে।
বাইকটি নিয়ে আমি একবার খাগড়াছড়ি ট্যুর দিয়েছি। সারাদিনব্যাপী বাইকটি চালিয়েও আমার কোন ক্লান্তি আসেনি এবং বাইকটি আমাকে নিরাশ করেনি। বাইকটি এই বাজেটে খুব ভালো একটা প্যাকেজ। যারা স্পোর্টস বাইক চালাতে ইচ্ছুক এবং বাজেট ২ লক্ষ টাকার আশেপাশে তাদের জন্য বেস্ট একটা চয়েজ হবে।
আমি আমার এই বাইকটি নিয়ে খুবই স্যাটিস্ফাইড। আমি এই বাইকটির মালিক হয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করি। বাইকটি যতই চালাচ্ছি ততই বাইকটির প্রেমে পড়ে যাচ্ছি। বাইকটি নিয়ে আমার একটাই পরামর্শ থাকবে যে প্রত্যেক জেলাতেই যেন লিফানের সার্ভিস সেন্টার হয় এবং পার্টস এভেলিটি থাকে, তাহলে আমরা যারা কেপিআর ইউজার আছি তারা খুবই উপকৃত হবো । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ বাবলু কুমার নাথ