Lifan KPR 165R ৯০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা - হারুন
This page was last updated on 29-Jul-2024 11:25am , By Shuvo Bangla
আমি মোঃ হারুন । আমার বর্তমান বাইকের নাম Lifan KPR 165R বাইকটি কার্বুরেটর এডিশন। বর্তমানে বাইকটি আমি ৯০০০ কিলোমিটার + রাইড করেছি। এই ৯০০০ কিলোমিটার এর রাইডিং অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
Lifan KPR 165R ৯০০০ কিলোমিটার রাইডিং অভিজ্ঞতা - হারুন
আমি চট্টগ্রাম শহরে পাহাড়তলী এলাকায় বসবাস করছি। আমার সর্বপ্রথম বাইক ছিল ডিসকভার 125 যেটি আমি ২০১৭ সালে ক্রয় করেছি ।
ছোটবেলা থেকে বাইকের প্রতি একটা ভালোবাসা ছিল পরবর্তীতে ক্লাস ৬ এ যখন পড়ি তখন আমি বাইক চালানো শিখি । মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলে হওয়াতে ইন্টারের পর থেকে চাকরি করে সেলারি থেকে টাকা জমিয়ে আমি প্রথম বাইক ক্রয় করেছিলাম।
বাইকের সবচেয়ে বড় যে আগ্রহের কারণ, আমার ছোটবেলা থেকে অনেক বেশি ভালো লাগতো বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যাওয়ার, আর ঘুরার এই মন মানসিকতা থেকে বাইকের প্রতি আমার ভালোবাসা আরো বেশি তৈরি হয় , কারন আমি মনে করি বাইক দিয়ে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়ানো যায় ।
আমার প্রথম বাইকটা আমি চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করি বাইকটি ছিল Bajaj Discover 125। আর বর্তমান যে বাইকটা ব্যবহার করি সেটা হচ্ছে Lifan KPR 165R এটি ঢাকার লিফান এর শোরুম GearX থেকে ক্রয় করেছিলাম ।
আসলে বাইক কিনতে যাওয়ার ফিলিংস সত্যিই অসাধারন এবং এটা যে কতটা ভালোলাগা কাজ করে এটা আসলে বলতে গেলে অনেক বড় একটা সময়ের প্রয়োজন। তবে আমি প্রথম যে বাইকটা ক্রয় করেছিলাম ওই বাইকটা ক্রয় করারা জন্য মনে হয়, আমি চার থেকে পাঁচ মাসের মতো শুধু বিভিন্ন বাইকের শোরুমে যেতাম বাইক গুলো দেখতাম এবং পছন্দ করতাম।
ফাইনালি যখন আমি বাইকটি ক্রয় করতে যাই, তখন আমার খেয়াল আছে আমার মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলতেছিল, আমার বাইকের প্রতি এত আগ্রহ ছিল, যে আমি পরীক্ষা দিয়ে শুরুমে চলে যেতাম বাইক দেখার জন্য এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে কোন বাইকটি কিনব এই অনুভুতি কাজ করতো।
আমি দুইটি সেগমেন্টের বাইকে চালিয়েছি, দুটি সেগমেন্টের বাইকই আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কেপিআর বাইকের অনেক ফিচার আমার কাছে ভালো লাগে সর্বপ্রথম হচ্ছে এর আউটলুক রিজেনেবল প্রাইস এবং বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেম খুবই ভালো।
আমি চট্টগ্রামের লিফান এর সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস করাই । বাইকটিতে এখন পর্যন্ত তিনটা সার্ভিস করিয়েছি । ব্রেক ইন পিরিয়ড এর সময় বাইকটি থেকে মাইলেজ পেয়েছি ৩০ কিন্তু এখন আমি সিটিতে রাইড করে ৩৫ এর মত এবং হাইওয়েতে ৩৮ এর মত মাইলেজ পাচ্ছি ।
আমি সবসময় বাইকটা পরিষ্কার রাখতে পছন্দ করি এবং সব সময় বাইকটার সঠিক যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করি । বাইকের যে মেইনটেনেন্স গুলো থাকে রেগুলার চেইন লুব করা , ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা রেগুলার কাজগুলোই আমি করে ফেলি।
আমি বাইকটিতে Motul 7100 10w40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি । এটি ১১00 টাকা দিয়ে আমি ক্রয় করি । আমার ভাইকে সবকিছু এখন ও স্টক অবস্থায় আছে , কিছুই পরিবর্তন করিনি। শুধুমাত্র ক্লাস লিভার পরিবর্তন করেছিলাম গিয়ার সিফট স্মুথ হওয়ার জন্য।
আমার গাড়িতে ব্রেক ইন পিরিয়ডের পরে, সর্বোচ্চ ১২০ টপ স্পিড তুলেছিলাম। বাইকটি খুব সুন্দর , রিজেনেবল প্রাইস, ব্রেকিং সিস্টেম ভালো, রাইডিং পজিশন এবং পিলিয়ন সিট দুইটি ভালো লাগে, স্ট্রোক হেড লাইটের আলো অনেক ভালো।
তবে বাইকটির মনশক সাসপেনশন আরো একটু ভালো দিতে পারতো, আমার মতে বাইকটির কালারে একটু সমস্যা আছে কালার কোয়ালিটি ভালো না, সুইচ গুলো একটু দুর্বল।
আমি একটি কোম্পানির মার্কেটিং এ আছি , আমাকে প্রায়ই আমার বাইকটা নিয়ে লং ড্রাইভে যেতে হয়। খাগড়াছড়ি , সিন্দুকছড়ি , রাঙ্গামাটি ট্যুর ছিল আমার লাইফের স্মরণীয় কিছু ট্যুর । বাইকটি নিয়ে আমি অনেক কনফিডেন্স পেয়েছি বাইকটির কর্নারিং, ব্যালেন্সিং ও ব্রেকিং সবকিছুই অসাধারণ ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ, কেপিআর বাইকটি সত্যিই আমাকে অনেক ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে, আমি এখন পর্যন্ত বাইকটি ব্যবহার করে এর প্রতি অনেক বেশি স্যাটিসফাই। বাইকটি আসলে এক কথায় অসাধারন । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ মোঃ হারুন
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।