Keeway TXM 150 ওনারশীপ রিভিউ- লিখেছেন সৌরভ
This page was last updated on 07-Jul-2024 06:19pm , By Shuvo Bangla
বন্ধুরা আমি সৌরভ আচার্য্য, আজ আমি নিয়ে এসেছি আমার Keeway TXM 150 ওনারশীপ রিভিউ। প্রত্যেক মানুষের শুরুতে একটা্ গল্প থাকে..চলুন না হয় আমার সেই গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। শুরুটা হয়েছিলো ক্লাস এইটে থাকতে। হোন্ডা সিডিআই (Honda H100S), পা দিয়ে নাগাল পেতাম না, থামলে আস্তে করে বাইক ফেলে দিতাম।তবে রাস্তায় না, মাঠে। বছরখানেক পর একটু লম্বা চওড়া হলে স্বাধীনতা আসে, বাবার মোটরসাইকেল নিয়ে সোজা মাওয়া হাইওয়েতে।
Keeway TXM 150 ওনারশীপ রিভিউ
বাইকের খুবই স্মুথ এক্সেলেরেশন সাথে সদ্য কিশোর বয়সের উদ্দাম অনুভূতি। সুখ বেশিদিন সইলো না। তস্কর সাহেব বুঝলেন যে এই কিশোরের লেখাপড়া লাটে উঠেছে। উনি সুবিবেচক। বাইকখানা নিয়ে একরাতে চম্পট দিলেন। অতঃপর ইয়ামাহা ডিএক্স (Yamaha DX)। হালকা গাড়ি। কিন্তু হোণ্ডা সিডিআই এর মজা মিসিং। এসএসসির পরে লম্বা গ্যাপ। ঢাকা এলাম, কলেজ এবং ভার্সিটি শেষ করার পর পুরনো নেশার পুনর্জন্ম।
এবার ২০১০ সালে চল্লিশ হাজার দিয়ে একটি পুরনো বাজাজ বক্সার এটি (Bajaj AT) নিলাম। ১০০ সিসি। ভালোই টানে। বছরখানেক পরে এটা বিক্রি করে নিলাম Suzuki AX100। ছোট বাইক। আমার মতো ৫’-১০’’ এর জন্য না। তবে টু স্ট্রোক এর মজা আছে। এরপর Yamaha Gladiator আবারো পুরাতন বাইক কিনলাম, ওভারঅল ব্যালেন্সড বাইক। ভ্যালু ফর মানি। কিন্তু গতি দরকার গতি। নিলাম Apache RTR । শক্তিশালি, শক্তপোক্ত তাগড়া বাইক। দারুন এক্সেলেরেশন, কিন্তু কনফিডেন্স পাই না। চেসিসের ওয়েইট ডিস্ট্রিবিউশন ভারসাম্যপূর্ন না। চাকার স্কিড করার প্রবনতা আছে। গতি বাড়াতে ভয়। আবারো বিক্রি। নতুন নিবো কিন্তু টাকা কম। সাধ আর সাধ্যের হিসাব মিলে না। Lifan KP নিতে গেলাম। ছোট ছোট লাগে আর আমার আবার পুরো ঢাকা শহরটাকেই অফরোড লাগে। তাই লং সাসপেনশন আর প্রচুর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স দরকার। হিরো ইমপালস (Hero Impulse) এর অপেক্ষায় থাকি। আমাদের কন্ডিশনে পারফেক্ট বাইক। পৃথিবীর অন্যতম রহস্যময় ঘটনার মতোই আরেক রহস্য যে কেনো বাইকটা এলো না যদিও বাইকটি ১৫০ সিসি এবং বাংলাদেশে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠিত ডিলার আছে। হতাশ হয়ে বিকল্প খোজা। শেষমেষ প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড হিসেবে Keeway TXM 150 নিলাম। এবার এটিকে আবিষ্কারের পালা।
এ পর্যন্ত ৪২২০ কিলোমিটার চললো !
Keeway TXM 150 এর প্রস্তুতকারকের ইতিহাস
Keeway Bike ব্র্যান্ডের মালিকানা চীনের Qianjiang গ্রুপের। এই একই গ্রুপ ইটালির বিখ্যাত বাইক কোম্পানি Benelli এর মালিক। ৯০ এর দশকে Benelli দেউলিয়ার পথে গেলে Qianjiang গ্রুপ একে কিনে নেয়। ফলে এর সম্পদ ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা চলে যায় Qianjiang গ্রুপের হাতে। পৃথিবীর ৮০ টির বেশি দেশে Keeway বিক্রয় ও বাজারজাতকরন করা হয়। বাইকটি মিশরে Benelli VLX নামে পরিচিত।
Keeway TXM 150 এর আউটলুক
কথায় বলে আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারি। দিজ বাইক ইজ আ লুকার। বেশিরভাগ লোকই এটি দেখে বলেছে দারুন। কেউ কেউ আবার খেলনাও বলেছে। লং সাসপেনশন, সামনের উচু ফেন্ডার, ১৩০ মিমি সাইজের পেছনের মোটা টায়ার, উচু সিট, লম্বা চওড়া বডি একটি ম্যানলি ভাব এনে দেয়। তবে কমলা-কালো না হয়ে সাদা-কালো ভার্শনটি আমদানি করা হলে আরো ভালো দেখাতো।
Keeway TXM 150 এর বিল্ড কোয়ালিটি
বিল্ড কোয়ালিটি ভালো এবং সলিড। জয়েন্ট, ফিনিশিং, পেইন্ট জব, প্লাস্টিক কোয়ালিটি ভালো । চার মাস পরেও কোন অযাচিত সাউন্ড নাই (চেইনের এক্সট্রা বিয়ারিং এর সাউন্ড ছাড়া) ।পিছনের স্প্রোকেট বড় হওয়ায় চেইনের সাপোর্ট বিয়ারিং দরকার হয়, এই বিয়ারিংটি প্লাস্টিকের তাই ক্ষয় হয়ে ক্রমাগত চেইন থেকে টেকের টেকের মতো শব্দ করে যা বিরক্তিকর । গ্র্যাব রেইল ম্যাট ফিনিশড যা দেখতে ভালো দেখায়। এটার ওভারঅল কোয়ালিটি বেশী দামী ইন্ডিয়ান বাইক বা ভালো ব্র্যান্ডের চাইনিজ বাইকের সমমানের।
Keeway TXM 150 এর ইঞ্জিন
১৪৮ সিসির ইঞ্জিন। যদিও ১৪৮ সিসি, কাগজে কলমে এটি তেমন আকর্ষনীয় নয়। নিচের তূলনাটি দেখলেই বোঝা যাবে
মডেল | সর্বোচ্চ শক্তি | কত ঘূর্ননে এই সর্বোচ্চ শক্তি পাওয়া যায় | সর্বোচ্চ টর্ক | কত ঘূর্ননে এই সর্বোচ্চ টর্ক পাওয়া যায় |
Keeway TXM | ১২ HP | ৮৫০০ RPM | ১০.৮ NM | ৬৫০০ NM |
Lifan KP V2 | ১৩.৩০ HP | ৭৫০০ RPM | ১৩.০০ NM | ৫৫০০ NM |
Hero Xtreme | ১৫.৬০ HP | ৮৫০০ RPM | ১৩.৫০ NM | ৭০০০ NM |
Bajaj Discover 150F | ১৪.০২ HP | ৮৫০০ RPM | ১২.৭৫ NM | ৬৫০০ NM |
তবে এসব সংখ্যাই সব নয়। গিয়ার রেশিও, স্প্রোকেটিং , বাইকের ওজন, ক্লাচ এসেম্বলি, টায়ার সাইজ, এরো-ডাইনামিকস ডিজাইন রাস্তার চলার সময় প্রকৃত পারফর্মেন্সকে অনেকভাবে প্রভাবিত করে। আর আমার হিসাবে কাগজে কলমে ইন্ডিয়ান বাইকগুলো চায়না বাইকের চাইতে যতটা পাওয়ারফুল মনে হয় বাস্তবে পার্থক্য এতোটা না।
একটি বাইক যদি কম আরপিএম এ বেশি টর্ক উতপন্ন করতে পারে তবে কম গতিতে চালানোর সময় গিয়ার শিফটিং কম করতে হয় এবং যে কোন গিয়ার হতে তূলনামূলকভাবে দ্রুত গতি বাড়ানো যায়। ব্যাপারটা এমন যে Suzuki Gixxer এর হর্স পাওয়ার (১৪.৬) পালসার AS এর হর্স পাওয়ার (১৬.৭) এর চেয়ে কম কিন্তু টর্ক বেশি। Suzuki Gixxer কম গতিতে চলার সময় বা যে কোন গিয়ার থেকে দ্রুত এক্সেলেরেট করতে পারে কিন্তু অধিক আরপিএমে বা রোটেশনে পালসার এএস এর হর্স পাওয়ার বেশি বলে তার টপস্পীড বেশি হতে পারে।
একটি বাইকের চূড়ান্ত গতি নির্ভর করে হর্স পাওয়ারের ওপর আর এক্সেলেরেশন নির্ভর করে কত কম রোটেশনে বাইকটি কত বেশি টর্ক এর ওপর। স্পোর্টস বাইক থেকে ক্রুজার বা অফরোডের বাইকের প্রকৃতি আলাদা।একটি ডুয়েল পারপোস বাইক হিসেবে এটির টর্ক আরো বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। এতে অল্প গতিতে গিয়ার কম শিফট করে স্বাচ্ছন্দে চালানো যেতো। কিন্তু এটির টর্ক Keeway RKV, Keeway RKS Sports এর থেকেও দুর্বল। এটির ট্যাকোমিটার নেই কিন্তু আমার পূর্বতন অভিজ্ঞতায় এর আরপিএম তথা ইঞ্জিনের ঘূর্ননের প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। অল্প গতিতে এটির শক্তি কম কিন্তু আরপিএম ৩০০০/৩৫০০ এর উপরে উঠলে এটি ভালো পারফর্ম করে। টপ রেঞ্জ ও এটি মোটামুটি ভালো। তবে ৫০০০/৫৫০০ এর পর ইঞ্জিন ভাইব্রেট করে। ৭৫০০/৮০০০ আরপিএম এর পর মানে ৫ম গিয়ারে ৯০ কিমি এর পর ইঞ্জিন অতিরিক্ত শব্দ ও ভাইব্রেট করে। এটা দিয়ে ওভারটেকিং করতে হয় সময় নিয়ে, ইন্সট্যান্ট নয়। আপনি স্পিড পাবেন তবে তার জন্য বেশ ভালোই এক্সিলেরেটর ঘুরাতে হবে। টপ স্পীড ১০৩ কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত তুলেছি। এর পর ভাইব্রেশনের জন্য আর চেষ্টা করা যায় নাই। ইঞ্জিন যথেষ্ট রিফাইন্ড না। ক্লাচ এসেম্বলি লাইট ও ওয়েল সিঙ্ক্রোনাইজড। যেহেতু ডুয়াল পারপোস বাইক তাই এর পাদানি (ফুট পেগ) এবং গিয়ার এর স্থান ইঞ্জিনের সাথেই। নতুন অবস্থায়শহরে জ্যামের মধ্যে ও অল্প স্পীডে এতে পায়ে ইঞ্জিনের তাপ প্রচন্ডভাবে অনুভূত হয়। অবশ্য ৩০০০ কিমি চলার পরে তাপ অনেকটাই কমেছে। আমি ব্রেক ইন পিরিয়ডে ম্যানুয়ালের নিয়মমতোই চালানোর চেষ্টা করেছি ভবিষ্যতের কথা ভেবে। একটি অবাক করার মতো বিষয় যে এটি যদিও অন/অফরোড বাইক তবুও এতে কোন কিক স্টার্টার নেই।
উল্লেখ্য যে আন্তর্জাতিক বাজারে Benelli (Keeway এর সিস্টার কনসার্ন ব্র্যান্ড) এর অনেক অত্যাধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তির বাইক আছে। Benelli Cafeniro নামে একটি ১৫৫ সিসির স্কুটার আছে যার ইঞ্জিন ওয়াটার কুলড ও ইঞ্জিন ব্যালেন্সার সহ যেটি অল্প আরপিএম এ দারুন টর্ক ও শক্তি প্রদান করতে পারে। অবশ্য তা দামী ও বটে। কিন্তু আরো ভালো ও উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিন দিলে গ্রাহকও দাম কিছু বেশি দিতে রাজি থাকে। যেহেতু আমাদের দেশে ১৫৫ সিসির উপর চালানো যায় না তাই উন্নত প্রযুক্তির ভালো ইঞ্জিনই কাম্য।
Keeway TXM 150 এর সুইচ গিয়ার ও অন্যান্য পার্টস
বাইকের লুকিং গ্লাস , ক্লাচ লিভার, হ্যান্ডেল, সুইচ গিয়ার সবই আধুনিক ও উন্নতমানের তবে খুচরো পার্টসের দাম একটু বেশি আর যত্রতত্র সহজলভ্য নয়। লুকিং গ্লাস ইউনিক তবে ৬০ কিমি এর অধিক গতিতে লুকিং গ্লাসের কার্যকারীতা তেমন থাকে না অতিরিক্ত ভাইব্রেশনের জন্য।
গিয়ার
৫ টি গিয়ার। গিয়ার শিফট খুবই স্মুথ এবং চমতকার। তৃতীয় এবং চতুর্থ গিয়ার এ বাইক দারুন রেসপন্স করে।
Keeway TXM 150 এর কমফোর্ট
বসার সিট অনেক উচু, ৮২৫ মিলিমিটার। এই বাইকটি কিন্তু ৫’-৭’’ এর চেয়ে খাটোদের জন্য নয়। সিট নরম, প্রশস্থ এবং কমফোর্টেবল। হ্যান্ডেল উচু এবং চালকের সিট হতে দুরত্ব কম ( ডুয়েল পারপোস বাইক তাই ) । আমি হ্যান্ডেল সেট করেছি এবং আরো নিচু হ্যান্ডেল খুজছি এতে অনরোড হ্যান্ডলিং ভালো হবে। পিলিয়ন সিট ও প্রশস্থ। সামনের শক এবজর্ভার অনেক লম্বা ও নরম। খারাপ রাস্তার জন্য আরামদায়ক কিন্তু পেছনেরটি শক্ত, ঝাকি মারে বেশি। পেছনেরটি অবশ্য খুব সফট হলে তা হাইস্পীডে বাইকের স্ট্যাবিলিটি/স্থিরতা কমিয়ে দেয় (আমি hero Impulse এর পিছনের শক এবজর্ভার আনানোর জন্য বংশালে অর্ডার করেছি) । এটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স মানে ইঞ্জিনের নিচ হতে ভূমির গ্যাপ অনেক। দুনিয়ার কোন স্পীড ব্রেকারে টেনশন নাই। শুকনো বিল বা মাঠেও নামিয়ে দিতে পারেন।
Keeway TXM 150 এর ব্রেকিং
দুইটাই ডিস্ক ব্রেক। সামনেরটি অনেক বড়। সামনের তূলনায় পেছনের ব্রেক দুর্বল যদিও এমনটাই হওয়া নিয়ম। মোটা টায়ারের সাথে ব্রেকিং পারফর্মেন্স ও ভালো।
Keeway TXM 150 এর ড্রাইভ কোয়ালিটি ব্যালেন্স
হালকা ক্লাচ ও স্মুথ গিয়ার শিফট করা যায় বলে ড্রাইভিং করা সহজ। হ্যান্ডেল উচু ও সহজে ডাইরেকশন পরিবর্তন করা যায়। ফুট পেগ সামনের দিকে বলে স্পোর্টি ড্রাইভিং এর ফিল আসে না। বাইকের চেসিস ভালো , ব্যালেন্স ভালো। চালিয়ে কনফিডেন্স পাওয়া যায়। হার্ড ব্রেক এ সহজে টাল খায় না। যদিও উচু বাইক কিন্তু কর্নারিং এ ভালো। যাত্রাবাড়ি ফ্লাইওভারে প্রচুর কর্নারিং করেছি (তবে বুঝেশুনে)
Keeway TXM 150 এর টায়ার ও রিম
আমি অনেক এলয় রিমযুক্ত বাইক টাল খাওয়া অবস্থায় দেখেছি যা মেরামত করা দুঃসাধ্য। এটার এলয় রিম, যথেষ্ট শক্তপোক্ত। রাফ ও ভাঙা রাস্তায় চালালেও রিম বাকা হবার সম্ভাবনা কম। মোটা টিউবলেস টায়ার। ভালো তবে কিছুটা অফরোড প্যাটার্নের (Semi Knobby) হলে ভালো হতো। হার্ড ব্রেক ও অফরোডে স্কিড কম করতো।
Keeway TXM 150 এর মাইলেজ
আমি শহরে চালাই। ব্রেক ইন পিরিয়ডে ২৫-২৭ প্রতি লিটারে। ২০০০ কিমি পরে ৩০-৩২। আর হাইওয়েতে ৩৫ এর ওপর।
Keeway TXM 150 এর ইলেকট্রিক্যালস
১২ ভোল্টের ব্যাটারী। অল ডিসি অর্থাৎ স্টার্ট ছাড়াই হেডলাইট চলে। ইন্ডিকেটর ও টেইললাইট ভালো। হেডলাইট (৩৫ ওয়াট) ও ভালো তবে এলইডি লাইট লাগালে আরো ভালো ও নিরাপদ হবে। হর্ন দুর্বল।
Keeway TXM 150 এর বিক্রয়োত্তর সেবা
এক কথায় সন্তুষ্ট। তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা ভালো এবং আন্তরিক। হাসি মুখে সেবা দেয় কোনপ্রকার বিরক্তি ছাড়াই। গ্রাহকের কথা মনযোগ দিয়ে শুনে ও সমাধানের চেষ্টা করে এটি প্রশংসার দাবী রাখে।
Keeway TXM 150 এর ভালো দিক
- সামনের লং সাসপেনশন ও হাই গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স
- স্মুথ গিয়ার ও ক্লাচ
- ভালো টায়ার ও রিম
- ভারসাম্যপূর্ন চ্যাসিস
- বিক্রোয়ত্তর সেবা
Keeway TXM 150 এর দুর্বল দিক
- ইঞ্জিন যথেষ্ট রিফাইন্ড না
- ইঞ্জিনের Low End Torque কম তাই অল্প গতিতে সক্ষমতা কম
- কিক স্টার্ট নাই
সমাপনী
আপনি Ducati Multistrada কিনতে পারেন আবার Runner Duronto কিনতে পারেন। কিন্তু কথা হচ্ছে আপনার বাজেট কেমন। ১.৬০-১.৭০ লাখের মধ্যে Keeway TXM 150 একটি ভালো বাইক। এর কিছু দুর্বল দিক থাকলেও এর চ্যাসিস, বডি পার্টসের কোয়ালিটি ও সর্বোপরি Speedoz এর বিক্রয়োতর সেবা ও এর অফরোডে চলার সক্ষমতা বিবেচনায় এটি কিনতে পারেন। এটি খুব দ্রুত বা পাওয়ারফুল নয় কিন্তু আরামদায়ক, নির্ভরযোগ্য এবং আমাদের কন্ডিশনে প্র্যাকটিক্যাল বাইক।
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com - এই ইমেইল এড্রেসে।