Kawasaki Ninja 125 ৩৫০০ কিলোমিটার রাইড - আশিকুল ইসলাম শোভন
This page was last updated on 13-Jul-2024 10:12pm , By Ashik Mahmud Bangla
আমি আশিকুল ইসলাম শোভন, আমি ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা এলাকায় বসবাস করি। আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিলো Bajaj Pulsar 150 । বর্তমানে Kawasaki Ninja 125 বাইকটি রাইড করছি। Kawasaki Ninja 125 বাইকটি আমি ৩৫০০ কিলোমিটার এর মত রাইড করেছি। সেই রাইডের মধ্য থেকে কিছু অভিজ্ঞতা আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ।
Kawasaki Ninja 125 ৩৫০০ কিলোমিটার রাইড
ছোটবেলা থেকে দেখি বাবা Yamaha Rx চালায় এবং তখন থেকে বাইকের ট্যাংক এর উপর বসে ঘুরতাম আমি। সেই থেকে বাইকিং এবং বাইকের প্রতি ভালবাসা ও আগ্রহ তৈরি হয়। সেই আগ্রহ থেকেই আজ আমি Kawasaki Ninja 125 বাইকটির মালিক। বাইক কেনার উদ্দেশ্য শোরুম এ গিয়ে একটি বাইক পছন্দ ও করি। কিন্তু Kawasaki Ninja 125 বাইকটা দেখে ১ মিনিট ও দেরি হয়নি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে। একনজরে বাইকটির প্রেমে পড়ে যাই। বাইকটির দাম = ৪,৯৯,০০০ টাকা। আমি বাইকটি 277, Tejgaon I/A, Dhaka-1208, Asian Motorbikes Limited শো-রুম থেকে কিনি ।
গ্রাম থেকে আমি, সোহান, রোমান ও বড়ভাই চয়ন বাইকে ঢাকার কিছু শোরুম এ ঘুরি KTM RC ফাইনাল করি এবং একটা গোডাউন হতো একটা ফ্রেশ কপি দিতে বলি দাম ও ঠিক করে ফেলি। বাইকটা আনতে আনতে একটু সামনে হাটতে গিয়ে Kawasaki showroom এ Kawasaki Ninja 125 ২০২০ ভার্সনের বাইকটা দেখে মনে কোনো সন্দেহ ছাড়াই ডিসিশন নেই এই বাইকটাই নিবো।
বাইকটা প্রথমবার চালানোর অনুভুতি সত্যিই অসাধারণ ছিলো। রাস্তা দিয়ে আসার সময় এমন কেও নাই বাইকটার দিকে তাকায়নি। নতুন মডেল বাংলাদেশে আর সেই বাইকটার মালিক আমি, অসাধারন এক অনুভূতি । নিজের কাজের জন্য ও ছোট থেকে বাইকের প্রতি বিশেষ করে স্পোর্টস বাইকের প্রতি আলাদা একটা আগ্রহ থেকে বাইক কেনা । Kawasaki Ninja 125 বাইকটি ১২৫cc ইঞ্জিন এর একটি বাইক, ৬ টি গিয়ার, ডুয়েল চেনেল এবিএস, স্পোর্টস বাইক। প্রথম দেখায় বাইকটার প্রেমে পরে যাই, আর এখন প্রতিদিনের জীবনে বাইকটা ছাড়া নিজেকে অসম্পূর্ণ মনে হয়। বাইকটি এখন প্রযন্ত আমি ৩৫০০কিলোমিটার চালিয়ে ২ বার সার্ভিস করছি। Kawasaki Bike এর সার্ভিস সেন্টার থেকে। ইঞ্জিন অয়েল ৫ বার চেঞ্জ করছি। Kawasaki showroom এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। অয়েল ফিল্টার ৩টি পরিবর্তন করছি।
২৫০০ কিলোমিটার আগে মাইলেজ ৩২ - ৩৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পেতাম এবং এখন ৩৫ - ৩৭ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা মাইলেজ পাচ্ছি । আমার বাড়ি গ্রাম এ হওয়ায় সার্ভিস সেন্টার এ যাওয়ার সুযোগ খুব কম পাই। আমি ৫০০-৬০০কিলোমিটার পর পর ইঞ্জিন অয়েল চেইঞ্জ করি। চেইন এ লুব ব্যবহার করি।
Kawasaki showroom এর ১০w৪০ গ্রেডের সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। পার্ফরমেন্স বেশ ভালো পাচ্ছি । এখন পর্যন্ত বাইকের কোনো পার্টস পরিবর্তন করতে হয়নি। বাইকের কোন অংশ মোডিফাই করিনি ।বাইকটি দিয়ে আমি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি ১১৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা তুলতে পেরেছি ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- বইকটির লুকস
- অসাধারণ ব্রেক
- অসাধারণ কন্ট্রোল
- এগ্রেসিভ সাউন্ড
- সিটিং কমফোর্ট
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- ইনিশিয়াল পাওয়ার নেই
- পিলিয়ন সহ বাইকটি ভাড়ী মনে হয়
- মাইলেজ তুলনামুলক কম
- সাসপেনশন আরো ভালো হওয়া উচিত ছিলো
- বাইকের পারফরম্যান্স অনুযায়ী দামটা বেশি
করোনা ভাইরাসের কারনে এখনো ঢাকার বাইরে লং ট্যুরে যেতে পারিনি। তবে ইচ্ছে আছে এই বাইক নিয়ে অনেক ট্যুর করার। Kawasaki ninja 125 বাইকের জগতে এ একটি লিজেন্ড ব্রান্ড । আর আমাদের দেশে সিসি লিমিটের জন্য অনেক স্বপ্নের বাইক গুলো দেখার ও সুযোগ হয় না। তাই Kawasaki ninja 125 এর মালিক হতে পেরে সত্যিই প্রাউড ফিল করি। যারা Ninja এর প্রতি আগ্রহী তাদের জন্য বাইকটি পার্ফেক্ট তবে বাইকটার পারফরম্যান্স অনুযায়ী দামটা অনেক বেশি। যদি একমাত্র Kawasaki এবং Ninjar ভক্ত হন তাহলে Kawasaki Ninja 125 বাইকটি ক্রয় করতে পারেন। তবে এটা স্বীকার করতেই হবে Ninja Is Ninja। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ আশিকুল ইসলাম শোভন আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।