Honda এর নতুন কারখানা তৈরি হচ্ছে মুন্সিগঞ্জে

This page was last updated on 28-Jul-2024 10:03am , By Saleh Bangla

বিশ্ববিখ্যাত জাপানিজ অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান Honda  নভেম্বর থেকে ঢাকার পাশে মুন্সিগঞ্জে নতুন কারখানা তৈরী করতে যাচ্ছে। এ কারখানায় শুধু মোটরসাইকেল উৎপাদন ও অ্যাসেম্বল করা হবে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন আবদুল মোমেন ইকোনমিক জোনে জায়গা নির্বাচন করেছে এবং নভেম্বর থেকেই যাতে নির্মান কাজ শুরু হতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

honda

 কিন্তু এ কারখানার পেছনে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হচ্ছে, তা জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি। তবে কারখানা নির্মানের জন্য তারা ইকোনমকি জোনে ২৫ একর জায়গা নিয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেছেন, দেশের ইকোনমিক জোনগুলোর মধ্যে  এটি তাদের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ একটি বিনিয়োগ।

Also Read: MASMINU MOTORS in Uttara, Dhaka

নভেম্বরের ৫ তারিখ থেকে কারখানার নির্মান কাজ শুরু হবে বলে আশা করছে Honda। বর্তমানে গাজীপুরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্টিল এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন(বিএসইসি)র সাথে যৌথভাবে একটি অ্যাসেম্বলিং কারখানা আছে হোন্ডার। বর্তমানে বাংলাদেশে ভারতীয় এবং অন্যান্য যেসব মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলো রয়েছে। তারা  তাদের কারখানা বাংলাদেশে স্থাপনের চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে হিরো যশোরে তাদের প্লান্ট স্থাপন করেছে। আশা করা যায় আরো যেসব মোটরসাইকেল কোম্পানি রয়েছে তারাও তাদের কারখানা খুব শীঘ্রই স্থাপন করবে। 

repsol honda price in bd

 জাপান সরকারকে দেওয়া বাংলাদেশ সরকারের এক প্রতিশ্রুতি অনুসারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা ইকোনমকি জোন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে বেজা। ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শুধুমাত্র জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫০০ একর জমি নির্বাচন করেছে বেজা। এখন আশা করা যায় যে যেহেতু Honda এখানেই তাদের প্লান্ট স্থাপন করছে তাদের মোটরসাইকেলের দাম অনেক খানি কমে যাবে। বলা যায় যে, এখন আর আমদানী শুল্ক দিতে হবে না। যার ফলে কম দামে ভালো মানের মোটরসাইকেল পাওয়া যাবে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে Honda এর যেসকল বাইকের স্বপ্ন বাংলাদেশি বাইকারা দেখে হয়ত অনেকেই দামের কারনে সেগুলো কিনতে পারেছেন না। হয়ত এবার তাদের স্বপ্ন পূরন হবে। 

honda bikes

 সর্বোপরি এটা বলা চলে Honda এর এই পদক্ষেপ বাংলাদেশ সহ অন্যান্য  বাইক কোম্পানি গুলোকে আরও উতসাহী করে তুলবে। এছাড়া বাংলাদেশী বাইক কোম্পানি গুলোও তাদের বাইকের মান ও পারফর্মেন্সের দিকে থেকেও আরও সচেতন হবে। এতে করে প্রতিযোগিতা বাড়বে। আশা করা যায় অন্যান্য কোম্পানি গুলো তাদের অনুসর করবে। তথ্যসূত্রঃ প্রিয় ডট কম