Honda Livo 110 ১২,০০০ কিলোমিটার রাইড - মিজান পারভেজ
This page was last updated on 29-Jul-2024 07:18am , By Raihan Opu Bangla
আমি মিজান পারভেজ। আমি মৌলভীবাজরে (কমলগঞ্জ, শমসেরনগর) বসবাস করি। আমি অনার্স ৩য় বর্ষের একজন ছাত্র। আমার জীবনের প্রথম বাইক Honda Livo 110 । আজ আপনাদের Livo 110 নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব।
Honda Livo 110 ১২,০০০ কিলোমিটার রাইড - মিজান পারভেজ
ছোটবেলা থেকেই বাইক দেখতে দেখতে বাইকের প্রতি অন্যরকম এক ভালো লাগা কাজ করে । বাইক দেখলেই মনের ভিতর আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করে। বাইক কেনার স্বপ্ন অবশেষে ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পূরন হয় । টিউশনির জমানো টাকায় কিনে ফেলি Honda Livo 110 Disc মোটরসাইকেল। বাইকটি ক্রয় করেছি বাইক বিডি অফিশিয়াল গ্রুপের কিছু অভিজ্ঞ ভাইদের পরামর্শে। আমার চাহিদা ছিল বাজেট, মাইলেজ, লুকস এই সকল দিক বিবেচনায় Honda Livo 110 নেওয়া সাজেষ্ট করেন অধিকাংশ ভাই । তারপর Livo নিয়ে ইউটিউব+ইউজার ভাইদের রিভিও দেখে Honda Livo 110 বাইকটি নিয়ে নেই। আমার বাজেট ছিলো ১ লক্ষ টাকা। চাহিদা ছিলো ১০০-১১০ সিসি বাইকের । মাইলেজ, লুকস, লং লাষ্টিং, সব মিলিয়ে Honda Livo বাইকটি নেওয়া। আমি বাইকটি মৌলভীবাজার শেখ মটরস থেকে ১,১০,০০০/- টাকা দিয়ে ক্রয় করি।
আমি বাইকটি ক্রয় করি ২০১৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর। যে দিন বাইকটি ক্রয় এর কিছুদিন আগে থেকে টাকা ম্যানেজ করতে শুরু করি । টাকা ম্যানেজ করার পর যে দিন বাইক কিনতে যাবো ওই দিন একজন ১০,০০০ টাকা ধার দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ওই দিন সকালে এই টাকা নিতে গেলে বলেন যে তিনি টাকা দিতে পারবেন না। হতাশ হয়ে তখন চিন্তা করছিলাম ড্রাম ব্রেক ভার্সনটা কিনে ফেলবো তার কিছুক্ষন পর আমার মামা কল দিয়ে বলেন বাইক কখন আনতে যাবা।তখন আমি মামাকে বলি টাকা ম্যানেজ করতে পারিনি। তখন মামা বলেন আজকে যেহেতু বাইক কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছো তাহলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে আজই বাইক নিয়ে আসো। তারপর আমার দুইজন কাজিনকে নিয়ে যাই বাইক কিনতে যাই। সন্ধ্যার পর বাইক নিয়ে বাড়িতে আসি। আমি বাইক কিনার আগে বাইক চালানো পারতাম না আমার খুব কাছের এক বন্ধুর বাইক নিয়ে একদিন ১ ঘন্টার মতো ট্রাই করি। তারপর আমার বাইক কেনার পর ৩-৪ দিন সকালবেলা বাইক নিয়ে বের হই এভাবেই শুরু হয় বাইক নিয়ে পথ চলা । এ পর্যন্ত বাইকটি ৩ বার শো-রুম থেকে সার্ভির্সিং করিয়েছি। এখন পর্যন্ত বাইকটির প্লাগ ১ বার, এয়ার ফিল্টার ১ বার পরিবর্তন করেছি । এছাড়া আর কিছু পরিবর্তন করার দরকার হয়নি ।
আমি হোন্ডার রিকমেন্ড ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি । ইঞ্জিন অয়েল এর গ্রেড 10W30 । আমি বাইকটি মূলত কিনি কোচিং করানো এবং টিউশনি করানোর জন্য এবং সাথে কলেজে যাওয়ার জন্য। আমার বাড়ি থেকে কলেজের দূরত্ব ২২ কিলোমিটার এবং কোচিং এর দূরত্ব ১০ কিলোমিটার তো প্রতি দিন প্রায় ২০ - ২৫ কিলোমিটার বাইক রাইড করতে হয়। এজন্য আমার অন্যতম চাহিদা ছিল মাইলেজ। ব্রেকিং পিরিয়ডে মাইলেজ হিসাব করা হয় নাই। বর্তমানে বাইকে মাইলেজ পাচ্ছি ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার। বাইক সাধারনত বাড়িতে নিজে ওয়াশ করি। মাসে একবার করে বাইরে প্রেসার দিয়ে ওয়াশ করাই। বাইকে আমি সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা টপ স্পিড তুলেছি। এর বেশি চেষ্টা করিনি।
বাইকের কিছু ভালো দিক হলো -
- মাইলেজ
- লুকিং
- মেইনটেন্যান্স খরচ কম
- ব্রেকিং
- কম্ফোর্ট
বাইকটির কিছু খারাপ দিক হলো -
- রেয়ার টায়ার চিকন
- হেডলাইটের আলো কম
- হর্নের আওয়াজ কম
- টপ স্পিডে ভাইব্রেশন ফিল করি
১১০ সিসি বাইকের মধ্যে যা কিছু আশা করা যায় মোটামুটি সবকিছুই এই বাইকে আছে। বাইক নিয়ে আমি পুরাপুরি সন্তুষ্ট । আমার লেখাটি এতক্ষন ধরে কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন নিরাপদে রাইড করতে পারি । চলুন দেখে আসি Honda Bike Price in Bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত।
লিখেছেনঃ মিজান পারভেজ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।