Honda Hornet 160R ABS ১০,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ – দীপ
This page was last updated on 07-Jan-2025 08:00pm , By Shuvo Bangla
আমি সামিউল হক দীপ । আমি ঢাকার খিলগাও এলাকায় বসবাস করি । আজ আমি আপনাদের সাথে আমার প্রিয় Honda Hornet 160R ABS Special Edition বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Also Read: Dhaka Bike Show 2019 highlights a thrilling Trial Bike Demonstration by Bangladesh honda
Honda Hornet 160R ABS ১০,০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ – দীপ
বাইক মানেই ভালোবাসা , আর এই ভালোবাসা নিয়ে কিছু লিখতে পারার মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ পাওয়া যায় । আমার জীবনের প্রথম বাইক Runner CD80 । মা বাবার বড় ছেলে বলে বাইক কেনা নিষেধ ছিল । তবুও বাসায় মা বাবা কে রাজী করিয়ে ৪৫,০০০ টাকা দিয়ে 2nd Hand বাইকটি ক্রয় করি ।
এর পরে ২ টা বাইক কিনেছি বিক্রি করেছি কিন্তু এই প্রথম বাইকটিকে এখনো ভুলতে পারিনি । Honda Hornet 160R ABS বাইকটির ব্যাপারে বলতে গেলে বাইকটি এক কথায় অসাধারন । প্রথম দেখায় বাইকটি খুব পছন্দ হয়ে গেল । দিন গুনতে শুরু করি আমি একটি Honda Hornet 160R ABS বাইক ক্রয় করবো।
সব সময় মা বলে হুন্ডা কিনবি কবে? তাই সেই স্বপ্নের দিনটি আসলো ২০২০ সালের জুন মাসের শুরুর দিকে , একটা ই-কমার্স কম্পানির মাধ্যমে Honda Official Showroom থেকে ক্রয় করার সুযোগ হয়।
বাইক স্টার্ট দেওয়ার পরে বাইকের গুম গুম শব্দে বুকের মধ্যেও হার্ড বিট হচ্ছিল। বাইকটিতে রয়েছে 162.7 cc engine which generates Maximum power 14.9 bhp @ 8500 rpm and its maximum torque is 14.5 Nm @ 6500 rpm । বাইকটির রেডি পিকাপ কম থাকলেও ব্রেকিং, কন্ট্রলিং এবং ইঞ্জিনের স্মুথনেস আমার খুব ভালো লাগে ।
বাইকটি এখন পর্যন্ত অফিসিয়াল ফ্রি ০৪ বার এবং অফিসিয়াল ০২ বার সার্ভিস করিয়েছি । প্রতিবার সার্ভিস এ ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করি । লং ট্যুর এর পর নিয়ম অনুযায়ী সার্ভিস করাই । এছাড়া প্রতি ২,০০০ কিলোমিটার পর পর মাস্টার সার্ভিস করাই।
মাইলেজ এর কথা বলতে গেলে এক কথায় এর মাইলেজ নিয়ে আমি শিহরিত ঢাকা সিটিতে মাইলেজ পাচ্ছি ৩৮+ হাইওয়েতে মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫+ বাইকের যত্নের কথা বলতে গেলে এ ক্ষেত্রে আমি কোন প্রকার কম্প্রোমাইস করিনা ।.
সবসময় বাইকটি পরিস্কার রাখার চেষ্টা করি । ইঞ্জিন অয়েল হিসেবে 10w30 গ্রেডের Liqui Moly Techno Synthetic ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করি । এর পার্ফরমেন্স এতই ভালো যে আমার এখন পর্যন্ত অন্য কোন ব্রান্ড এর ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করার প্রয়োজন মনে হয়নি । ইঞ্জিন অয়েলটির দাম ৭০০ টাকা । ইঞ্জিন অয়েল ২,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যায়।
ব্রেক প্যাড, এয়ার ফিল্টার ছাড়া খুব বেশি কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজন মনে হয়নি । বাইকটিতে আমি টপ স্পিড পেয়েছি ১২৫, টপ স্পিড আমি কখনো ট্রাই করি না। রাইডিং টা খুব উপভোগ করি ।
Also Read: Honda X-Blade 160 price in BD
Honda Hornet 160R ABS Special Edition বাইকের কিছু ভালো দিক –
- বাইকের লুকস ।
- ভালো মাইলেজ।
- কন্ট্রোলিং, ব্রেকিং ও ব্যালেসিং
- আরাম দায়ক ।
- স্পেয়ার পার্টস দাম কম সব জায়গায় পাওয়া যায়।
Honda Hornet 160R ABS Special Edition বাইকের কিছু খারাপ দিক –
- রেডিপিক আপ কম।
- এই বাইকের প্লাস্টিকের মান ভাল না।
- হেডলাইটের আলো খুব কম।
- অতিরিক্ত ইঞ্জিন হিট হলে টেপিডের নয়েজ করে। এয়ার কুল ইঞ্জিন না হয়ে ওয়েল কুলিং ইঞ্জিন হলে ভালো হত।
- চেইনের নয়েজ আছে।
লিখেছেনঃ সামিউল হক দীপ
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।