Honda CBR 150R Indo মালিকানা রিভিউ - শোভন বসু
This page was last updated on 31-Jul-2024 09:05am , By Raihan Opu Bangla
আমি শোভন বসু । আমার বাসা বরিশাল । আজ আমি আমার ব্যবহার করা Honda CBR 150R Indo ভার্শনের বাইকটি নিয়ে কিছু রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।আমার জীবনের প্রথম বাইক ছিল Lifan KPR 150 V2 । বাইকটি নিয়ে আমি একটি মালিকানা রিভিউ লিখেছিলাম যেটা BikeBD.Com ওয়েবসাইটে পাবলিশ হয়েছিল ।
Honda CBR 150R Indo মালিকানা রিভিউ
Lifan KPR 150 V2 বাইকটি আমি ৪ বছর ব্যবহার করি । এর মধ্যে বাইকটি ২৬ হাজার কিলোমিটার রাইড করি ।
হোন্ডা নামটার সাথে সবাই পরিচিত , যদিও হোন্ডা ব্রান্ড তবুও বাইক মানে অনেকে Honda Bike ই বুঝে । ছোট বেলা থেকে এই হোন্ডা শব্দটা শুনতে শুনতে হোন্ডার প্রতি অন্যরকম এক ভালোবাসা সৃষ্টি হয় ।হোন্ডার প্রতি এই ভালোলাগা ভালোবাসা থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম হোন্ডা ব্রান্ডের বাইক কিনবো । যেহেতু স্পোর্টস বাইক ব্যবহার করেছি সেক্ষেত্রে ইচ্ছে ছিল স্পোর্টস বাইকই ব্যবহার করবো । পছন্দের তালিকায় ছিল Suzuki GSX-R 150 , Yamaha R15 V3 , Honda CBR 150R। এই ৩ টি বাইকের মধ্যে থেকে আমি Honda CBR 150R বাইকটি পছন্দ করি এবং ক্রয় করি ।
Honda CBR 150R বাইকটিতে রয়েছে ১৫০ সিসির একটি পাওয়ারফুন ইঞ্জিন যা থেকে প্রডিউস করে 16.7 Bhp @ 9,000 rpm এবং 14.4 Nm @ 7,000 rpm । ৬ টি গিয়ার , সাথে রয়েছে লিকুইড কুল এফ আই ইঞ্জিন , সামনে পেছনে ডিক্স ব্রেক , টিউবলেস টায়ার ।
বাইকটি আমি ঢাকা থেকে পুরাতন ক্রয় করি । পছন্দের বাইকটি কিনতে পারাতে খুব ভালো লাগে । শুরু হয় হোন্ডার সাথে পথ চলা । বাইকটি নিয়ে ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়ার মধ্যেই এর পার্ফ্রমেন্সে আমি মুগ্ধ হই ।মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েতে এর স্মুথনেস , ইঞ্জিন পাওয়ার , টপ স্পিড সব কিছুই ছিল অসাধারন । যেহেতু আমি বাইকটি পুরাতন ক্রয় করি সেক্ষেত্রে অনেক কিছু টপিক বাদ যাবে । তবে বাইকটি ক্রয় করে আমি আমার মত করে সাজিয়ে নিয়েছি ।
আমি বাইকটি ক্রয় করেই একটা ফুল সার্ভিস করাই , ইঞ্জিন ওয়েল, কুলেন্ট , টায়ার জেল পরিবর্তন করি , এর কারন আমি জানিনা আগের মালিক কত দিন ধরে এগুলো ব্যবহার করেছে । এ ছাড়া বেশ কিছু মডিফাই করি ।
বাইকটি নিয়ে আমি কয়েকটা ট্যুর করেছি যার মধ্যে কুয়াকাটা, ঢাকা , খাগড়াছড়ি , রাঙ্গামাটি , বান্দারবান , কক্সবাজার , টেকনাফ , চট্রগ্রাম উল্লেখযোগ্য । হাইওয়েতে বাইকটির ইঞ্জিন রেস্পন্স , ব্যালেন্সিং , কম্ফোর্ট , মাইলেজ যথেষ্ট ভালো ।আমরা জানি সাধারনত স্পোর্টস বাইকে কম্ফোর্টনেসটা কম থাকে , তবে আমি এখন পর্যন্ত যে কয়েকটা স্পোর্টস সেগমেন্ট এর বাইক চালিয়ে দেখেছি আমি বলবো তার মধ্যে বেস্ট কম্ফোর্টেবল বাইক সিবিয়ার । লং রাইড , সিটি রাইড , অফ রোড কোন ক্ষেত্রে এর পার্ফরমেন্স এবং কম্ফোর্টনেসে কমতি নেই ।
সিটি রাইডে বাইকটি থেকে ৩৫+- মাইলেজ পাই , যা হাইওয়েতে ৪০+ । টপ স্পিড এখন পর্যন্ত ১৪৫ পেয়েছি । ইঞ্জিন ওয়েল হিসেবে Motul 7100 Gold ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করি । ২৫০০-৩০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত রাইড করি। ইঞ্জিন অয়েলের পার্ফরমেন্সে আমি সন্তুষ্ঠ।প্রচলিত একটা কথা আছে হোন্ডা ইজ Honda Bangladesh ,আপনি হোন্ডার বাইক চালালে বুঝতে পারবেন এই কথাটি বলার কারন কি । এখন পর্যন্ত বাইকটির পার্ফরমেন্স নিয়ে আমার কোন অভিযোগ নেই , চলার পথে কখনো আমাকে নিরাস করেনি ।
Honda CBR 150R বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ইঞ্জিন পাওয়ার
- স্মুথনেস
- ব্যালেন্সিং
- ব্রেকিং
- মাইলেজ
Honda CBR 150R বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- ইঞ্জিন কিল সুইচ নেই
- পার্টস এর দাম তুলনামূলক বেশি
- চেইনে শব্দ হওয়া
- পিলিয়ন সিট কম্ফোর্ট না
বাইকটি ব্যবহার করে আমার খুব ভালো লেগেছে , তবে পার্টস এর দাম এবং পার্টস এভেইলেভিলিটি নিয়ে আমি কিছুটা হতাস । এছাড়া সব কিছু আমার বেশ ভালো লেগেছে । ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ শোভন বসু
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।