Honda CB Hornet 160R ৬০০০ কিলোমিটার - আহসানুল হক তন্ময়
This page was last updated on 28-Jul-2024 01:16pm , By Raihan Opu Bangla
আমি আহসানুল হক তন্ময় । আমি একজন বাইক প্রেমিক। বাইক চালানো শিখেছি খুব বেশি দিন হয়নি। আজ আমি আমার ব্যবহার করা Honda CB Hornet 160R Red Color বাইকটির ব্যাপারে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো । চলুন দেখে আসি Honda Bike Price in BD রিভিউটির পাশাপাশি।
Honda CB Hornet 160R ৬০০০ কিলোমিটার - আহসানুল হক তন্ময়
আমি বাইক পছন্দ করি কিন্তু আমার আম্মু আমার বাইক চালানো পছন্দ করতো না। কারণ আমার মামা বাইক এক্সিডেন্ট করে অনেক খারাপ অবস্থা হয় । যার জন্য আম্মু বাইক পছন্দ করে না। কিন্তু এই করোনাকালীন সময়ে আমার ভাগ্য আল্লাহ খুলে দেয়। আমার এক বড় ভাই তার শখের বাইকটি বিক্রি করবে । তাই সে আব্বু আম্মুর কাছে বলে। আম্মু কি জানি চিন্তা করে বলো যে বাইকটা আমাকে কিনে দিবে। আমি তো অবাক। পরে বাইকটা দেখতে গেলাম।
বাইকটা ছিল Honda CB Hornet 160R Red color । বাইকটা দেখে বুঝলাম বেশি দিন চালানো হয়েনি। আমার ভাগ্য যে এভাবে পরিবর্তন হবে আগে ভাবিনি। Honda আমার আগের থেকে অনেক পছন্দ। আর হর্নেট বাইকটা আমার খুব ভালো লাগে । কারণ Honda CB Hornet 160R Red Color এর মতো বাইক হয় না ।
বাইকটা মাত্র ৩০২৫ কিলোমিটার চলেছে । যেদিন বাইক আনতে যাব ওইদিন রাতে আমার এক বিন্দু ঘুম আসে নাই। ভাই যতোই হোক পুরাতোন আমার কাছে তো নতুন।
বাইকটা এখন পর্যন্ত ৯৫৫০ কিলোমিটার রাইড করা হয়েছে। বাইকটি নিয়ে আমি মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটার চালানোর একটা রিভিউ দিচ্ছি। বাইকটা চালিয়ে কমফোর্ট। এর মাইলেজ যথেষ্ট ভালো । মাইলেজ সিটিতে ৪৪ কিলোমিটার প্রতি লিটার, হাইওয়েতে ৫০ কিলোমিটার প্রতি লিটার।
Click To See Honda CB Hornet 160R Test Ride Review
বাইকের বিল্ডকোয়ালিটি একটু কম হলেও বাইক রাইড করে অনেক মজা। আমি বাইক কিনার পর ছোটো খাটো একটা ভ্রমণ করি ৬০ কিলোমিটার এই রাইডে বাইকটি চালিয়ে কমফোর্ট ফিল করেছি। পিলিয়ন সিট অনেক কম্ফোর্ট। একটা সমস্যা ছিল বেশি রাইড করার পর বাইক অফ হয়ে যেত। ২-৩ বার এমন হয়েছে ।
আমার বাইকটিতে Honda এর ফ্রি সার্ভিস গুলো করানো হয়েছে। যা Honda রাজবাড়ি শোরুম থেকে করা হয়। আমার বাইকটিতে Motul ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করি। ০-৫৬০০ কিলোমিটার Motul এর মিনারেলটা ব্যবহার করেছি। এর পর থেকে সেমিসেন্থেটিক ব্যবহার করছি। ভালো পারফর্মেন্স পাচ্ছি ।
আমার বাইকে বেশি কিছু মডিফাই করানো হয়েনি । শুধু আলো সমস্যা দূর করতে ২টি ফগ লাইট লাগানো হয়েছে। আমি বেশি গতিতে বাইক চালানো পছন্দ করিনা। তারপরও একবার সিঙ্গেলে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা টপ স্পিড পেয়েছি ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- কম্ফোর্ট
- মাইলেজ
- কন্ট্রোল
- ব্রেকিং
- পারফর্মেন্স
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- বিল্ড কোয়ালিটি
- লং রানে ইঞ্জিন ওভার হিট হয়
- হেডলাইটের পাওয়ার কম
নতুন ইউজার এবং প্রথম বাইক চালানো থেকে রিভিউ দিলাম। চেষ্টা করছি আমার বাইকের ভাল খারাপ দিক সহ অল্প হলেও কিছুটা তুলে ধরতে। ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ।
লিখেছেন - আহসানুল হক তন্ময়
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।