Hero Xoom 125 - হিরোর নতুন স্কুটার

This page was last updated on 20-Jan-2025 04:32pm , By Badhan Roy

সাধারণত শহরে যাতায়াতের জন্য স্কুটার বেশ জনপ্রিয়। হালকা ওজন, শর্ট হুইলবেজ এবং স্টোরেজ স্পেস এর সাথে প্র্যাক্টিকালিটির জন্য অনেক নারী ও পুরুষ স্কুটার ব্যাবহার করে থাকেন। সম্প্রতি ভারতে লঞ্চ হয়েছে হিরো মটোকর্পের নতুন স্কুটার Hero Xoom 125। লঞ্চিং এর পর থেকেই আন্তর্জাতিকভাবে সেগমেন্টের অন্যান্য স্কুটারগুলোর সাথে তুলনা করে বেশ আলোচনা লক্ষ করা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। চলুন জেনে আসি নতুন এই স্কুটার টির বিস্তারিত।

 

Hero Xoom 125 - ডিজাইন

Hero Xoom 125 স্কুটারটির ডিজাইন বেশ সাধারণ রাখা হয়েছে, ডিজাইন শেপ এবং সামনের দিক টা Falcon বা বাজপাখি হতে অনুপ্রাণিত। এই কারনে স্কুটারটির ডিজাইন সাধারণ হলেও তা একটি সুন্দর রোড প্রেজেন্স দিতে সক্ষম এবং দেখতে খুবই চমৎকার। হেডলাইটের ডিজাইন কিছুটা Hero Karizma XMR 200 এর হেডলাইট ডিজাইনের মত, যা আকর্ষণীয় বটে। 

স্কুটারটির সামনের ইন্ডিকেটরের প্লেসমেন্ট হ্যান্ডেলবারের সাথে করা হয়েছে। পিছন দিকে স্প্লিটেড এলইডি টেইল ল্যাম্পটিও যথেষ্ট নজড় কাড়ে, এবং এই স্কুটারটিতে ফুয়েল ট্যাংক এর পজিশনিং করা হয়েছে পিছনের দিকে ফলে রাইডার সহজেই রিফুয়েল করতে পারবেন এবং এজন্য তাকে সিট খুলতে হবে না। 

Hero Xoom 125 - ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

স্কুটারটির স্পেসিফিকেশন পর্যালোচনা করলে দেখা যায় BS VI প্রযুক্তির এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার, ১২৪.৬ সিসির ৪ স্ট্রোক ফুয়েল ইঞ্জেক্টেড (FI) ইঞ্জিন যা ৭২৫০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ৯.৮ হর্সপাওয়ার শক্তি ও ৬০০০ আরপিএম এ সর্বোচ্চ ১০.৪ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করে।

CVT ট্রানসমিশন এবং ড্রাই সেন্ট্রিফিউগাল ক্লাচ হওায় গতানুগতিক স্কুটারগুলোর মতই এতে গিয়ার শিফটিং এর প্রয়োজন নেই। এক্সেলেটরে রেভ করা মাত্রই স্মুথ এবং কুইক রেসপন্স দিতে সক্ষম। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ৮৫-৯৫ কিমি প্রতি ঘন্টায়। 


Hero Xoom 125 - ফিচারস

Xoom 125 এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:

সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স- ৭৭৭ মি.মি এর সিট হাইটের সাথে ১৬৪ মি.মি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে বাইকটিতে। ১২১ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট থাকায় স্কুটারটি কন্ট্রোল করা খুবই সহজ। 

ইগনিশন সিস্টেম সেলফ ইলেক্ট্রিক ইগনিশন।

নতুন ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারটি দেখতে যথেষ্ট সুন্দর ও একাধিক ইনফরমেশন শো করে। এতে ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, টার্ন বাই টার্ন নেভিগেশন, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ইঞ্জিন চেক ইন্ডিকেটর ইত্যাদি রয়েছে। 

এলইডি হেডল্যাম্প- স্কুটারটির ডিআরএল এবং হেডল্যাম্প যেমন এগ্রেসিভ তেমন প্র্যাক্টিকাল, বেশ ভাল লাইট আউটপুট বাইকটি দিতে সক্ষম। 

সিকুয়েনশিয়াল এলইডি ইন্ডিকেটর- বাইকটির ইন্ডিকেটর গুলো এলইডি এবং সিকুয়েনশিয়াল ভাবে ব্লিংক করে, যা দেখতে অনেক প্রিমিয়াম। 

টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ- সামনের টায়ার 110/80-14, পিছনের টায়ার: 120/70-14. MRF ব্র্যান্ডের টিউবলেস টায়ার বাইকটিতে দেওয়া হয়েছে যা পাংচার বা লিক হওয়ার ঝুঁকি কম ও বেটার পারফর্মেন্স দিতে সক্ষম।

ব্রেক: স্কুটারটির ফ্রন্ট এ ডিস্ক ও পিছনে ড্রাম ব্রেক ব্যাবহার করা হয়েছে। তবে CBS বা অন্য কোন আপডেটেড ব্রেকিং সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়েছে কিনা তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি।   

সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক এবসর্ভার ও পিছনে মাল্টি এডজাস্টেবল সিঙ্গেল সাইড মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে যা রাইডিং আরামদায়ক করে তোলে।

মাইলেজঃ মোট ৫ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে বাইকটি ৫৫ কিলোমিটারের আশেপাশে মাইলেজ দিতে সক্ষম। জ্বালানীর মান ও রাইডিং স্টাইলের উপরে মাইলেজ কম বেশি হতে পারে।  

এই ছিল এক নজরে Hero Xoom 125 এর বিস্তারিত। স্পেসিফিকেশন পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় 125 সিসির কম্যুটিং স্কুটার সেগমেন্টে বাজারে বর্তমানে এভেইলেবল স্কুটারগুলোর সাথে এটি বেশ ভালভাবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবে। আমরা আশাবাদী, বাংলাদেশে শীঘ্রই বাইকটি আসতে পারে এবং Hero Bangladesh বরাবরের মতই রিজনেবল প্রাইস এবং স্পেয়ার পার্টস ও বেস্ট সার্ভিস নিশ্চিত করে বাইকারদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় এটাকে স্থান করে দিবে। 

   

বাইক বিষয়ক সকল তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।