Hero Ignitor 125cc ৮০০০ কিলোমিটার রাইড - চন্দন কুমার রায়
This page was last updated on 28-Jul-2024 10:38am , By Raihan Opu Bangla
আমি চন্দন কুমার রায়, ঢাকার মিরপুরে থাকি। পেশায় একজন বেসরকারী চাকরিজীবি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার বাইক ও বাইকিং সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব। আমার বাইকটি হলো Hero Ignitor 125 ।
Hero Ignitor 125cc ৮০০০ কিলোমিটার রাইড - চন্দন কুমার রায়
বাইকটির কিছু ফিচার্স বলে দেই। Hero Ignitor 125cc বাংলাদেশের মোটরসাইকেল মার্কেটে নতুন বলা চলে । বাইকটির ইঞ্জিন ১২৪.৭ সিসি যেটিতে টর্ক বেশ ভাল। I3s টেকনোলজি ভাল ফুয়েল এফিসিয়েন্সি এর জন্য এবং BS4 ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে।
ইঞ্জিনটি প্রায় ১১.৪ বিএইচপি পাওয়ার এবং ১১ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে। বাইকটির ফ্রন্টে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন যেখানে রিয়ারে হাইড্রোলিক শক এভর্জবার যেটিতে চারটি গিয়ার সংযুক্ত করা হয়েছে। বাইকটির সিটিং পজিশন ও বেশ ভালো এবং যথেষ্ট আরামদায়ক। একটানা অনেকক্ষণ ধরে রাইড করা যাবে।
রিয়ারে এবং ফ্রন্টে টিউবলেস টায়ারস দেওয়া আছে। যদিও রিয়ার হুইলে ড্রাম ব্রেকস কিন্তু ফ্রন্ট হুইলে আছে ডিস্ক ব্রেক । বাইকটির ওজন প্রায় ১২৭ কেজি এবং ফুয়েল ট্যাংকে প্রায় ১১ লিটার তেল ধারন ক্ষমতা যার রিজার্ভ ১.৪ লিটার রয়েছে । এছাড়াও বাইকটি রয়েছে একটি আকর্ষণীয় সেমি ডিজিটাল মিটার।
বর্তমানে আমার বাইকটি ৮০০০+ কিলোমিটার চলছে। বাইকটি আমি কিনেছিলাম হিরোর তেজগাঁও শোরুম থেকে ১,২০,০০০ টাকায়। অফিস যাতায়াতের কারনে আমি বাইকটি ক্রয় করি। এটা আমার নিজের প্রথম কেনা বাইক। আমি বাইক কেনার জন্য অনেকের সাথে পরামর্শ করি এবং ইউটিউব এ সার্চ করি যে ১২৫ সিসি কোন বাইকটি ভালো হবে। সেখানে Hero Ignitor 125cc আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে।
এছাড়াও আমি আমার পরিচিত এক জনের বাইক এ ট্রায়াল দিয়েছিলাম তখন মনে হয়েছিল যে আমি কোন ১৫০ সিসি সেগমেন্টের বাইক চালাচ্ছি। আর এটার লুক ও আমার কাছে ভালো লেগেছে (যদিও অনেকেই বলবে লুক ভালো না) । তবে এর কিছু কিছু ব্যাপার আমার কাছে খারাপ মনে হয়েছে। নিচে সেগুলো তুলে ধরলাম।
Hero Ignitor 125cc বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ১২৫ সিসি গাড়ি হওয়া স্বত্ত্বেও এটা দেখতে ১৫০ সিসি বাইকের মত। রাইড করার সময় মনে হয় বড় বাইক চালাচ্ছি।
- এই বাইকের BHP সব ১২৫ সিসি থেকে বেশি (এই বাজেটে), এবং এর ব্রেকিং আর কন্ট্রোল যথেষ্ট ভালো বলা যায়।
- মাইলেজ ১০০ টাকার পেট্রল এ ৫০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার যায় সিটিতে, হাইওয়ে ৫৫+ কিলোমিটার প্রতি লিটার
- স্পিড ১-৬০ উঠানোর জন্য ৬ সেকেন্ড লাগে
- হাইওয়েতে চালাতে কোন সমস্যা হয়নি আমি একটানা ৪০০ কিলোমিটার রাইড করছি ১০০ কিলোমিটার পর পর ১০ মিনিট রেস্ট নিয়ে
Click To See Hero Ignitor 125cc 2020 First Impression Review
Hero Ignitor 125cc বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- পিছনের চাকা চিকন, সেই কারণে ভালো মতো ব্রেক করতে না পারলে স্লিপ করে
- ইন্জিন এর সাউন্ড একটু অন্যরকম সবার এটা ভালো লাগবে না, তবে সাউন্ডটা একটু কম হওয়ার দরকার ছিল
- ইন্জিন গরম হয় তাড়াতাড়ি । যদিও এটা স্বাভাবিক।
- হেড লাইটের আলো অনেক কম, রাতের বেলায় কোন ভাবেই হাইওয়ে তে যাওয়া যাবে না। তবে ভালো মানের এলইডি লাগাতে পারেন।
পরিশেষে বলতে চাই Hero Ignitor 125cc বাইকটির সাউন্ডটা ইগনোর করতে পারলে, এই বাজেটের সেরা বাইক। তাছাড়া, সব বাইকের ই কোন না কোন সমস্যা থাকে। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ চন্দন কুমার রায়
আশা করি চন্দন কুমার ভাই এর ইউজার রিভিউটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। হিরোর এমন ইউজার রিভিউ এবং hero bike price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক ফ্যান পেজ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।