Bajaj Pulsar 150 নিয়ে স্বপ্ন আসে ধুম সিনেমা দেখার পরে - রানা
This page was last updated on 31-Dec-2024 03:26pm , By Shuvo Bangla
আমি নূর আলম সিদ্দিক রানা । আমি একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করি । আজ আমি আমার এই বাইকটির সাথে রাইডিং অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Also Read: Bajaj Platina Comfortec ES ২৩০০০ কিলোমিটার রাইড - এখলাস জামী
Bajaj Pulsar 150 নিয়ে স্বপ্ন আসে ধুম সিনেমা দেখার পরে - রানা
আমার বাইকের স্বপ্ন আসে সেই ধুম সিনেমা দেখার পরেই। কিন্তু বাসায় সমস্যা পরিবারের একমাত্র ছেলে আমি ,বংশে আর কোন ছেলে নেই। তাই বাবার কড়া নির্দেশ তিনি বাইক কিনে দিবেন না। ক্লাস ফাইভে থাকতে স্কুলের এক স্যার পালসার বাইক আনলেন। তখন বাইকের সামনের দিক থেকে ভালো লাগে।
ওই বাইকটার প্রতি আলাদা একটা ভালোলাগা শুরু হয় এরই মাঝে। দিন যেতে থাকে মামা হঠাৎ করে ২০১২ তে Bajaj Pulsar 150 কিনে আনে। সেই বাইক দিয়ে চালানো শিখতে গিয়ে পায়ে ব্যাথা পাই আব্বু আম্মু দুইজনই মামাকে অনেক বকাবকি করে।পরে আর বাইক চালানো শেখা হয়নি।
স্কুল শেষ করে কলেজে উঠি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ বন্ধুরা বাইক নিয়ে আসলেও আমার কাছে বাইক যেন সোনার হরিন বাবা দিবেনা। পরে ডিপ্লোমা এর মাঝামাঝিতে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীতে জব হয়। তখন থেকে একটা সেভিংস করি। ৪ বছর ডিপ্লোমা শেষ টাকা অনেক জমে।কিন্তু নতুন বাইক কেনার মতো এতোটা না। পরে বাড়িতে একদিন সাহস করে জানাই বাইক লাগবে। বাসায় বলে নিজে নিতে পারলে নেও,বাসা থেকে টাকা নিষেধ, সেদিন বিকালেই অনেক কষ্টে ব্যাংক ম্যানেজার সব ক্লোজ করে ফেলেছে ওনাকে অনেক অনুরোধ করে সেদিন জমানো টাকাটা নিয়ে আসি।
পরে বাসায় টাকা দিলে সবাই অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে কোথায় পেলাম,ওনাদের সব বললে সবাই ভাবে বাইকের জন্য এবার পাগল হয়েছি। সেপ্টেম্বর এর ১৯ তারিখ ২০১৯ এ সেকেন্ডহ্যান্ড একটা পালসার কিনি, কন্ডিশন ভালো দেখে তখন অবশ্য Bajaj Showroom থেকে নতুন বাইক ক্রয় করার সুযোগ ছিলনা । বাইকটি ছিল ২০১৩ এর মডেল কিন্তু ভাই প্রবাসী হওয়াতে বাইকটা অনেক বছর তার বাড়িতে পড়ে ছিলো।
বাইকটি কাছের দুই বন্ধুকে ডেকে দেখিয়ে বাড়ির পাশে হাতিমারা বংশাল গ্যারেজে সুমন ভাইকে দেখাই। এই তিনজন এর সম্মতিতে পরে বাইকটি নেই। প্রথম সেলফ দেওয়া ছিলো একটা অন্যরকম অনূভুতি। এখন প্রতিদিন অফিসে যাতায়াতের কাজে আমার এই বাইকটি ব্যাবহার করি।
এক বছরে ৮ হাজার কিলোমিটার চলেছে আমার কাছে। এই আট হাজারে আমি প্রথম মবিল সুপার 4T ব্যবহার করে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। কারন এটাতে ইঞ্জিন হিট হতো খুব, পরে একদিন ৩য় ইঞ্জিন ওয়েল এ Repsol 20w50 Premium Minarel ব্যাবহার করি । সকালে বাইক স্টার্ট দিয়ে দেখি বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড পাল্টে গেছে বেশ স্মুথ। তার পর থেকে প্রতি ৫০০ কিলোমিটার পর পর এটার ব্যাবহার করি।আমাদের এলাকার রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য প্রতি ২০০০ কিলোমিটার পর পর ব্রেক সেট ক্ষয় হয়ে যায় । তাই এটা পরিবর্তন করা দরকার । আমার বাইকটার কার্বুরেটর এ প্রবলেম কিন্তু বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা মাইলেজ পাই ৪৩+ ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকটার কিছু ভালো দিক -
- পারফর্মেন্স
- বাইকের এগ্রেসিভ লুকিং সামনে থেকে।
- সব সুইচে লাইটিং যা সন্ধ্যায় বা রাতে খুব সুন্দর লাগে দেখতে।
- পার্টস এর দাম অনেকটা কম
- মাইলেজ
- ডিউরেবিলিটি
Bajaj Pulsar 150 বাইকের কিছু খারাপ দিক -
- ইঞ্জিনের একটা চিন চিন সাউন্ড
- এয়ারকুলড হওয়ায় এটা ইঞ্জিন গরম হলে ঠান্ডা হতে সময় লাগে।
- পিছনে চাকা আরেকটু মোটা হলে চালিয়ে কর্নারিং এ সুবিধা পাওয়া যেতো
- হেডলাইটের আলো কম।