Bajaj Pulsar 150 Twin Disc এক দিনে ৪০০ কিলোমিটার রাইড-শিশির
This page was last updated on 18-Jul-2024 06:34am , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ আশিকুর রহমান শিশির। আমি পড়াশোনা করি, আমার বাসা ঝিনাইদহ জেলাতে। বর্তমানে আমি যশোর থাকি। আমি একটি Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইক ব্যবহার করি । আজ আমি আমার এই Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটি নিয়ে আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ।
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc এক দিনে ৪০০ কি.মি. রাইড অভিজ্ঞতা
বাইক চালানোর সখ অনেক ছোট থেকেই, সেই ধারবাহিকতায় এখন একটা Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইক চালাই । আমার পালসার বাইক অনেক পছন্দ, এই বাইক আমাকে মুগ্ধকরে এটার ব্রেকিংসিস্টেম অনেক ভালো। আমি এই বাইক চালিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করি।
আমার জীবনের প্রথম বাইক চালানর অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না, তবে ছোট্ট করে একটু বলি, বাইরে আমার মামার বাইক রাখা ছিলো আমি লুকিয়ে চাবি নিয়ে বাইক নিয়ে চলে যাই সন্ধায় বাসায় বাড়ি ফিরেছি। সবাই অনেক অনেক বকা দিলো ।
আমার ভিতরে জীবনের প্রথম বাইক চালানোর অনূভুতিটা কাজ করছিলো তাই ওই সব কিছুই মনে হয়নি, আমি অনেক আনন্দিত ওই দিনের ঘটনায়। আল্লাহর রহমতে এখনো কোনো প্রকার ক্ষয় ক্ষতির কারণ বা অন্য কিছু হয়নি।Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটি অনেক ভালো, দেখতে সুন্দর, ব্রেকিং সিস্টেম ও অনেক ভালো, কম টাকার ভিতর ভালো একটা বাইক। সব দিক থেকে Bajaj Pulsar 150 Twin Disc আমার জন্য অনেক পারফেক্ট একটা বাইক । আমার বাইক এর দাম ছিল ১,৮৭,৫০০ টাকা। আমি কিনেছিলাম ঝিনাইদহ জেলার, মহেশপুর থানা, খালিশপুর থেকে।
বাইক কিনতে যাবার দিনের ঘটনা বলে শেষ হবে না। আমি অনেক মন খারাপ করেছিলাম আমার পছন্দের কালার পাওয়া যাচ্ছিলো না তাই। পরে অনেক কষ্ট করে বেশি দাম দিয়ে সেটা কিনা হলো, বাড়ির সবাই অনেক খুশি আমিও খুশি ১০ কেজি মিষ্টি খাওয়ানো লাগলো নতুন বাইক কেনার জন্য।
আমি প্রথম বার ১৫০ সিসির বাইক চালিয়েছিলাম সেই দিক থেকে আমার মনে অনেক আনন্দ ছিলো। ওইদিন আমার অনেক ভালো লেগেছিলো ।আমি যখন দিনের শুরুতে প্রথম বাইক চালাই তখন আমার মন খারাপ থাকলেও কিছুক্ষন বাইক চালানোর পর মন ভালো হয়ে যায়, আমি অনেক অনেক বেশি খুশি এই বাইকটা চালিয়ে।
বাইকের ফিচার গুলো অনেক ভালো, এই বাইকের ব্রেক অনেক ভালো আমি অনেক আনন্দিত ব্রেকিং এর জন্য, ব্রেকিং পার্ফরমেন্স এ আমি অনেক মুগ্ধ। এই বাইক যদি কখনো কেউ কিনতে চায় আমি বলবো এটা ব্রেকিং ব্যালেন্সিং বা পরিবার এর সবার সাথে কম্ফোর্ট নিয়ে চলার জন্য পারফেক্ট একটি বাইক, আমি মনে করি এই বাইক আপনাকে কখনো নিরাশ করবে না ।
আমি বাইক কেনার ১ বছরের মধ্যে ২ বার ফ্রী সার্ভিস ও ২ বার পেইড সার্ভিস করিয়েছি , উওরা মটরস থেকে। সার্ভিস এর মান যথেষ্ঠ ভালো । আমার সব সমস্যার সমাধান পেয়েছি । আমার বাইকের এখানো কোন পার্টস পরিবর্তন করতে হয়নি । আমি এখনো কোনো মডিফাই করিনি । আমি আমার বাইক এর টপ স্পীড পেয়েছি ১১২ পিলিয়নসহ ।
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটির কিছু ভালো দিক-
- ব্রেকিং সিস্টেম ভালো
- দেখতে সুন্দর
- টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো
- লং রাইড করে ভালো লাগে
- কম্ফোর্ট
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটির কিছু খারাপ দিক-
- এটা অনেক দেরিতে মিটার রিডিং দেখায়
- এই বাইক একটু বেশি গরম হয়
- হেডলাইটের আলো কম
- লং রাইডে বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
- লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে
Bajaj Pulsar 150 Twin Disc বাইকটি নিয়ে আমি লং ট্যুর দিয়েছিলাম ৪০০ কিলোমিটার রাস্তা । ওই দিনে আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছ। আমি এই ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি ।
সব মিলিয়ে পারফেক্ট একটা ট্যুর ছিল । এই বাইকটা সব বয়সের মানুষ এর জন্য পার্ফেক্ট একটা বাইক । এটা কোনো রেসিং বাইক না তবে ১৫০ সিসি সেগমেন্ট এর মধ্যে সব মিলিয়ে বাইকটি পারফেক্ট একটা বাইক। ধন্যবাদ ।
লিখেছেনঃ শিশির
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।