Bajaj Platina 100 ৩০,০০০ + কিলোমিটার মালিকানা রিভিউ - নয়ন

This page was last updated on 01-Aug-2024 08:45am , By Shuvo Bangla

বাইকবিডি সকল পাঠক কে আমার শুভেচ্ছা । আমি নয়ন দেব নাথ। আজ আপনাদের সাথে Bajaj Platina 100 বাইকটি নিয়ে মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো ।bajaj platina 100 black

আমি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার বসবাস করি। বাইক রাইড করছি গত চার বছর যাবৎ। আজ আমি আমার ব্যবহার করা Bajaj Platina 100cc বাইককে নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব আপনাদের সাথে ।

ছোটবেলা থেকে বাইকের প্রতি আমার অন্যরকম ভালোবাসা' কাজ করতো যা কখনো বলে বোঝানো সম্ভব না। আর আমার মনে হয় এই দুই চাকার বাইকটা আপনাকে যত টুকু স্বাধীনতা দেয় তা আর কোনো চার চাকার গাড়ি দিতে পারবে না।

আমার জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখি আমার বাবার Bajaj caliber 115 বাইকটি দিয়ে 2017 সালে। এরপর বছর কয়েক চলে যায়। 2020 এসে আমি বাজাজ প্লাটিনা বাইকটি ক্রয় করি আমার এক পরিচিত বড় ভাইয়ের কাছ থেকে । তখন আমি বাইকটি ক্রয় করি ৬৫,০০০ টাকা দিয়ে , বাইকটি Bajaj Showroom থেকে কেনা হয়নি কারন পুরাতন ক্রয় করেছিলাম।bajaj platina 100আমার বাবার পছন্দ ছিল কম সিসির বাইক। তার মতে কম সিসির বাইক মানে দুর্ঘটনা মুক্ত থাকা। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে তিনি আমাকে সবসময় বিপদমুক্ত রাখতে চাইতেন। তাই আমার বাবার পছন্দ মতোই বাইকটা নেয়া।

ডিজাইন / লুক -
লুক এর দিক থেকে বাইকটি আমার বেশ পছন্দের । এই বাইকটির সব অংশই কমবেশি খুব ভালোভাবে ডিজাইন করা ।
এর হেড ল্যাম্প থেকে টেইল ল্যাম্প পর্যন্ত ভালো একটি ডিজেইন করা ।

পারফরম্যান্স - 
100 সিসির বাইক গুলোর মধ্যে বাইকটি পারফরমেন্সর এর কারণে ভালো একটি বাইক। বাইকটি যত্ন সহকারে রাখতে পারলে এটি অনেক দিন লাস্টিং কারবে বলে আমি মনে করি।bajaj platina 100 bike

Bajaj Platina 100 বাইকটার কিছু ভালো দিক -

  • চালিয়ে অনেক আরাম পাওয়া যায়
  • আরামদায়ক সিটিং পজিশন
  • শক্তিশালী ইঞ্জিন
  • যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা
  • অফিসে যাতায়াত কারী মানুষদের জন্য উপযুক্ত বাইক
  • জ্বালানি সাশ্রয়ী হয়

Bajaj Platina 100 বাইকটার কিছু খারাপ দিক -

  • টিউব টায়ার পামচার হওয়ার ঝামেলা থাকে।
  • বাংলাদেশ খুচরা যন্ত্রাংশের উচ্ছমূল্য।
  • বেশি গতিতে ভাইব্রেট করে।
  • লং ট্যুর এর জন্য এই বাইকটি একদম ঠিক না ।
  • হেড লাইটের আলো কম ।

বাইকটি তেল এর দিক দিয়ে অনেক সাশ্রয়ী। ১ লিটারে ৬০+ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি। বাইকটির ইঞ্জিনে কোন প্রকার পার্টস পরিবর্তন করা হয় নি। আমি এই বাইকটি নিয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার রাইড করছি। প্রতিবার বাইকটির ইঞ্জিন এর জন্য Super-v ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করি।bajaj platina 100 black colourবাইকটি সব দিক থেকে আমার জন্য পারফেক্ট বলে আমি মনে করি। আমি সর্বোচ্চ গতি ৮৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় পেয়েছি । এখন পর্যন্ত বাইকটি আমি ৩০,৯৯০ কিলোমিটার রাইড করেছি । বেশ ভালো সার্পোট পেয়েছি বাইকটি নিয়ে। বাইকটা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কন্ট্রোল করতে তেমন সমস্যা হয় নি।

আমি বিভিন্ন ধরনের রাস্তায় এই বাইকটি চালিয়েছি। এবং আমার কাছে কন্ট্রোল ভালোই মনে হয়েছে। সাসপেনশন গুলো অনেক ভালো কাজ করে । তাই কর্নারিং , টারনিং এবং স্পীড সব কিছুই পারফেক্ট হয়। টায়ার খুব বেশি স্কীড করে না যার ফলে এখন কোন বড় সমস্যা হয় নি।

ভাই পরিশেষে আমি বলতে চাই যে, বাইকটার সার্বিক পারফরমেন্স নিয়ে খুব সন্তুষ্ট । সমস্যা হয় কিন্তু মেশিন হিসাবে ছোট খাটো সমস্যা তো হতেই পারে। ফিচারস ও পারফরম্যান্স বিবেচনা করে যদি এই বাইকের দাম বিবেচনা করি আমার কাছে দামটা ঠিক মনে হয়েছে।

বাইকটার ভালো একটা দিক হচ্ছে অনেক তেল সাশ্রয়ী। তাই যারা ভালো মাইলেজ সমৃদ্ধ একটা বাইক নিতে চান তারা বাজাজ এর এই বাইকটি নিতে পারেন ।bajaj platina 100 bike

বিশ্বের কোন কিছুই নিখুঁত হয় না মাথায় রেখে বাইকটিকে অনেক সুন্দর একটি বাইক বলতে হয়। আর বাইকটির কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে বাইকটি অন্য সবার থেকে আলাদা ও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে যা আপনাকে সর্বোপরি পজেটিভ ইম্প্রেশন প্রদান করে বলে মনে করি । ধন্যবাদ সবাইকে আমার রিভিউটি পড়ার জন্য ।

লিখেছেনঃ নয়ন দেব নাথ
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।