Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ১৫০সিসি সেগমেন্টে অনেক কম্ফোর্ট - জাহিদুল

This page was last updated on 27-Jul-2024 02:13am , By Raihan Opu Bangla

আমি গাজী জাহিদুল ইসলাম । আমি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায় বসবাস করি । আমি বর্তমানে একটি Bajaj Pulsar 150 বাইক ব্যবহার করছি । বাইকটির সাথে আমার পথ চলা প্রায় ১১০০০ কিলোমিটার, তো আজ আমি আমার এই ১১ হাজার কিলোমিটার রাইডের কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি ।

মূল বিষয় শুরু করার আগে আপনি যদি  pulsar 150 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক ফ্যান পেজ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে

bajaj pulsar 150 black color with rider and headlight front tire

Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ১৫০সিসি সেগমেন্টে অনেক কম্ফোর্ট - জাহিদুল

আমার জীবনের প্রথম বাইক Hero CBZ 150 । বাইকটি ছিল আমার মামার । এই বাইক থেকেই বাইকের প্রতি আগ্রহ শুরু হওয়া। এবং এই আগ্রহ থেকেই আজ আমি Bajaj Pulsar 150 বাইকের মালিক । দুই চাকা ভালবাসি এর কারন হচ্ছে এটি আমাকে স্বাধীনতা দেয় । 

আমার যখন ইচ্ছে যেখানে ইচ্ছে যেতে পারি । কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারি । একা ঘুরতে আনন্দ নেই একত্রে অনেক হলে আনন্দটা বেশি আর বাইক আপনাকে দিবে কিছু ভাই কিছু বন্ধু এবং ভ্রমন এর সাথি । সব কিছুর দিক বেবেচনা করে মার্কেটে কোনটার চাহিদা বেশি সেই অনুযায়ী আমি Bajaj Pulsar 150 বেছে নিলাম। বাংলাদেশকে ঘুরে দেখার জন্য আমার বাইক কেনা । বাইকে যাতায়াত এ খরচ অনেক কম । খুব সহজেই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারি ।

বাইকটি আমি যখন কিনেছিলাম তখন বাইকটির দাম ছিল ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা । বাইকটি কিনেছিলাম বরিশাল সদর থেকে । বাইক কিনবো এ কথা ভাবতে ভাবতে আগের দিন ঘুম হয়নি, কখন সকাল হবে কখন যাব। কি কি করব কোথায় ঘুরতে যাব লং ট্যুরে যাব কত কিছু , ভাবতে ভাবতে সকাল হয়ে গেল । এর পরে গেলাম বাইক কিনতে। জীবনের আনন্দময় মূহুর্তের মধ্যে এটা ছিল সবচেয়ে ভালো একটি দিন । যা কখনো ভুলে যাবার নয় ।pulsar 150 black color headlight indicator mirrorবাইকটিতে আছে ১৫০ সিসির একটি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন । বাজাজ ইঞ্জিনের ব্যাপারে নতুন করে কিছু বলার নাই আপনারা সবাই যানেন । বাইকটির মাইলেজ ৪০+ কিলোমিটার প্রতি লিটার। বাইকটির ওজন ১২৮ কেজি । সব কিছুর কম্বিনেশনে বেশ ভালো একটি বাইক, ঠিক যেমন আমার চাওয়া ছিল। বাইকটি আমি প্রতি ১ থেকে ২ মাস পর পর সার্ভিস করাই । বরিশাল থেকে বেশি সার্ভিস করানো হয় । এভারেজ মাইলেজ পাচ্ছি ৪৫+ কিলোমিটার প্রতি লিটার।

Also Read: Bajaj Pulsar 150 টুইন ডিস্ক মালিকানা রিভিউ

আমি আমার যত্ন না নিলেও বাইকের যত্ন ঠিক নিয়ে থাকি। কারন আমার বাইকটি আমার কাছে খুব প্রিয় । বাইকটিতে আমি shell 20w50 গ্রেডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি । বাইকটি দিয়ে আমার সর্বোচ্চ স্পিড ১১৭। টপ স্পিডে বাইকটি হালকা কাপে । যখন ১১৫+ এ থাকে ।

Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু ভালো দিক -

  • মাইলেজ
  • কম্ফোর্ট
  • লুকস
  • ব্যালেন্সিং
  • ব্রেকিং

bajaj pulsar 150 black color grab rail rear tire and exhust

Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -

  • লং রাইডে ইঞ্জিন সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
  • হেডলাইটের আলো রাতে হাইওয়ের জন্য পার্ফেক্ট না
  • রেডি পিকাপ কম
  • লং রাইডে ইঞ্জিন অতিরিক্ত গরম হয়
  • টপ স্পিডে বাইকের ব্যালেন্সিং কম মনে হয়

বাইকটি নিয়ে আমি বরগুনা বেতাগী থেকে বরিশাল গোপালগঞ্জ বাগেরহাট খুলনা লং ট্যুর করি । হাইওয়েতে এর পার্ফরমেন্স ছিল অসাধারন । শুরুতেও যেমন পার্ফরমেন্স ছিল ট্যুর শেষেও তেমন পার্ফরমেন্স পেয়েছি । কম দামে ভালো লুকস, 150 সিসি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন। Bajaj Pulsar 150 বাইকটি সব দিক মিলিয়ে বর্তমান বাজারে সুন্দর ও ভাল একটি বাইক যেটা সবার মন জয় করে নিয়েছে। বয়স্ক অল্প বয়সী সকল ক্ষেত্রের রাইডার এর সাথে মানায় বাইকটি। ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ গাজী জাহিদুল ইসলাম

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।