Bajaj Pulsar 135 LS ৮০,০০০ কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - সাইফুল হুদা
This page was last updated on 14-Jul-2024 06:31am , By Ashik Mahmud Bangla
আমার নাম মোঃ সাইফুল হুদা । আমি পেশায় একজন কলেজ টিচার। আমার জীবনের প্রথম বাইক হচ্ছে Bajaj Pulsar 135 LS । আজ আমি আপনাদের আমার বাইকটি নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব ।
বাজাজ পালসার ১৩৫এলএস বাইকটি আমার পছন্দের অন্যতম কারন হচ্ছে এই বাইকটি লুকস । বাইকটির লুকস ও ডিজাইন আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে ভাল লাগেছে । বাইকিং হচ্ছে আমার সখ । আমার বাসা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনাগর থানায় ডাকঘর উত্তর কদমতলা । আমার বাসা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আমার কলেজ সেখানে আসা-যাওয়ার জন্য এবং পারিবারিক কাজে বাইক প্রয়োজন হয় । Bajaj Pulsar 135 LS কেনার আগে আমি অনেক ভেবে চিনতে এই বাইকটি ক্রয় করি । কারন এটার লুকস ডিজাইন ও স্টাইল ছিল দারুন । বাইকটি আমাকে কোন সময় হতাশ করেনি । তাছাড়া আরও একটা বিশেষ কারণ হচ্ছে এটার কোনো ভাইব্রেশন নেই বললে চলে । আমি যখন বাইকটা কিনি আমার এলাকার একজনের কাছ থেকে ছয় মাস পর প্রায় নতুন অবস্থাতে বাইকটা কেনার জন্য বিক্রেতা আমার কাছে নিজে এসেছিল । বাইকটি প্রথম দিন চালানোর আনন্দটা ছিল আমার কাছে একটা আনন্দের ঘটনা । আমার বাইকটি একটানা ৩০০ কিলোমিটার চালানোর পরও আমার কোন ব্যাক পেইন হয়নি । বাইকটির ফিচার গুলোর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল স্পিডোমিটার, কার্বুরেটর, এলয় রিং ও ইলেক্ট্রিক ও কিক স্টার্ট মেথড । বাইকটিকে আমার অন্য বাইকের চেয়ে খুব আরামদায়ক মনে হয়, স্পিড ১০০ উঠলেও তেমন ভাইব্রেশন হয়না । বাইকটির স্পিড মিটারের দিকে না তাকালে স্পিড বোঝা যায়না । সামনে ডিস ব্রেক এবং পিছনে ড্রাম ব্রেক থাকায় কন্ট্রোল ভালো । বাইকটি রেয়ার টায়ার মোটা এবং গ্রিপ ভালো হওয়াতে স্কিড করে না ।
আমার বাইকটি মনে হয় ১৫০ সি সি বাইক এর মত । আমি এটি নিয়ে Bajaj Pulsar 150, TVS Apache RTR 160 এবং Bajaj Discover 135 সবার সাথে রেস এ কখনো হতাশ হয়নি । আমার বাইকটি আমি ৮০,০০০ কিলোমিটার রাইড করেছি এবং অনেক বার সার্ভিস করিয়েছি । বেশির ভাগ সার্ভিস আমি জেলা শহর সাতক্ষীরা থেকে করেছি এবং একবার সামনে পিছন উভয় টায়ার পরিবর্তন করেছি । প্রথম অবস্থাতে অমি মাইলেজ পেয়েছি ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার করে । তবে বর্তমানে এখন মাইলেজ পাচ্ছি ৫০-৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার । আমার বাইকটি আমি ১০০০ কিলোমিটার রাইড করার পর একবার করে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করে থাকি । আমি যেই ইঞ্জিনওয়েলটি ব্যবহার করতাম তার গ্রেড হচ্ছে 20W40T । আমার বাইক এর পাছ গুলার মধে যেগুলো বাদ দিয়েছি তা হচ্ছে এক সেট টায়ার, কানেক্টিং,টাইমিং চেইন, ক্লাচ প্লেট আর টুকি টাকি কিছু জিনিস এগুল বাদ দেওয়ার কারণ হচ্ছে আমি বাইক টা যেহেতু আসি হাজার কি.মি. রাইড করেছি । আমার বাইক এর কোন অংশ আমি মডিফাই করিনি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা টপ স্পিড ১২০কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা । আমার বাইক এর ৫ টি ভাল দিক
- মাইলেজ
- স্পিড
- কন্ট্রোলিং এবং এক্সেলারেশন
- স্মুথনেস
- লুকস
বাইক এর ৫ টি খারাপ দিক । সবকিছুর এ একটা না একটা খারাপ দিক থাকে তেমনি আমার বাইকটিতেও রয়েছেঃ
- এটার পিছনে যে হাইড্রলিক আছে সেটি হার্ড তাই পিলিওন এর কস্ট হয়
- এর পিছন টা একটু উচু
- 2 জন এর বেশি বসা জাই না
- স্পেয়ার পার্টসগুলো সহজে পাওয়া জায় না
- হেড লাইট এর আলো কম
পরিশেষে আমি বলব আমার বাইকটা খুবই ভাল ফিডব্যাক দিয়েছে । Bajaj Pulsar 135 LS বর্তমানে আমাদের দেশে বাইকটা এখন আর পাওয়া যায় না । তবে বাইকটি আমাকে অনেক অসাধারন একটা ফিল দিয়েছে । রিভিউ পড়ার জন্য সকলে ধন্যবাদ । লিখেছেনঃ মোঃ সাইফুল হুদা আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।