হিরো Xtreme 125R: বাংলাদেশের অন্যতম আকর্ষণীয় ১২৫সিসি বাইক

This page was last updated on 14-Jul-2024 11:15am , By Saleh Bangla

Tackle and overcome every extreme challenge – স্লোগানের সাথে ভারতে বেশ কিছুদিন আগে লঞ্চ হয়েছে Hero Xtreme 125R. তরুণ প্রজন্মের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা এই বাইকটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ সাড়া ফেলেছে। এটি স্টাইল, পারফরম্যান্স, এবং অত্যাধুনিক ফিচারস সংবলিত একটি বাইক, যেটি বাংলাদেশের ১২৫ সিসি সেগমেন্ট এর অন্যান্য বাইকগুলোর সাথে বেশ ভাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে আমাদের ধারনা। চলুন এক নজরে বাইকটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।

হিরো Xtreme 125R ডিজাইন: 

হিরো Xtreme 125R এর ডিজাইন বেশ স্পোর্টি শেপ এর করা হয়েছে। শার্প এবং অ্যাগ্রেসিভ লুক, আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স এবং এরোডাইনামিক ডিজাইনের কারনে প্রথম দেখায় মনে হতেই পারে এটি একটি উচ্চ সিসির বাইক। এতে দেওয়া হয়েছে এলইডি ইন্ডিকেটরস, এলইডি হেড এবং টেইল ল্যাম্প, যা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাইকটির আধুনিকতা এবং উন্নত প্রযুক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছে।

হিরো Xtreme 125R ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন:

হিরো Xtreme 125R এর অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হলো এর শক্তিশালী ইঞ্জিন। ওয়েট মাল্টিপ্লেট ক্লাচের সাথে ১২৪.৭ সিসি সিঙ্গেল-সিলিন্ডার, এয়ার-কুলড, ৪ স্ট্রোক ফুয়েল-ইনজেক্টেড ইঞ্জিনটিতে ৮,২৫০ আরপিএম-এ ১১.৪০ বিএইচপি পাওয়ার এবং ৬,৫০০ আরপিএম-এ ১০.৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন করে।

১২৫ সিসির এই মোটরসাইকেলটি মাত্র ৫.৯ সেকেন্ডে ০-৬০ কি.মি গতিবেগ তুলতে সক্ষম, যা একটি ভাল ইনিশিয়াল রেস্পন্স নির্দেশ করে। এর ইঞ্জিনটি বিএস-৬ প্রযুক্তির সাথে সমন্বিত, যা পরিবেশবান্ধব ও চমৎকার রাইডিং এক্সপিরিয়েন্স এর নিশ্চয়তা দিতে পারে। 

আর ১২৫ সিসি সেগমেন্ট এর অন্যান্য ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলগুলোর তুলনায় হিরো Xtreme 125R  ইঞ্জিনটি যথেষ্ট পাওয়ারফুল মনে হচ্ছে, যা মোটরসাইকেলটি আমাদের বাজারে লঞ্চ হওয়ার পরে ফার্স্ট ইম্প্রেশন বা ডিটেইল রিভিউ এ আরো বিস্তারিতভাবে ব্যাখা করা যাবে। তবে হিরো মোটরকর্প এর দাবী বাইকটি সিটি ও হাইওয়ে উভয়েই অসাধারণ পারফর্ম করতে সক্ষম।
 
ফিচারস: 

হিরো Xtreme 125R এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফিচারস হলো:

সিট হাইট, ওজন ও গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স: ৭৯৪ মি.মি এর সিট হাইট, ১৮০ মি.মি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও ১৩৬ কেজি ওজনের কার্ব ওয়েট থাকছে বাইকটিতে।

ইগনিশন সিস্টেম: সেলফ এবং কিক।

ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার: সম্পূর্ণ ডিজিটাল ক্লাস্টারটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদর্শন করে যেমন: ফুয়েল লেভেল, একাধিক ট্রিপ মিটার, স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, গিয়ার, সার্ভিস ইন্ডিকেটর, এবিএস ইন্ডিকেটর, সাইড স্ট্যান্ড ইন্ডিকেটর, ঘড়ি ইত্যাদি।

এলইডি লাইটিং: এলইডি হেডল্যাম্প, টেইল ল্যাম্প এবং টার্ন ইন্ডিকেটর বাইকটিকে আধুনিক এবং আর্কষণীয় করে তুলেছে।

টিউবলেস টায়ার: বাইকটির টায়ার সাইজ সামনের চাকায় 90/90-17, পিছনের চাকায় 120/80-17. বাইকটিতে এলয় রিমের সাথে MRF অথবা CEAT এর মত উচ্চমানের টিউবলেস টায়ার ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে এতে টায়ার পাংচারের ঝুঁকি কম এবং বেটার কনফিডেন্স এর সাথে নিরাপদ রাইডিং নিশ্চিত করতে পারবে।

ব্রেক: ব্রেকিং এর জন্য মোটরসাইকেলটির সামনে ২৪০ মিমি এর ডিস্কব্রেক ও পিছনে ১৩০ মিমি এর ড্রামব্রেক রয়েছে। ব্রেকিংকে আরো দ্রুত এবং নিরাপদ করতে বাইকটিতে আরো দেওয়া হয়েছে সিঙ্গেল-চ্যানেল এবিএস সিস্টেম, যা বৃষ্টি ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে খুবই জরুরী একটি সেফটি ফিচার। 

সাসপেনশন সিস্টেম: বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক হাইড্রোলিক শক-অ্যাবজর্বার ও পিছনে ৭-স্টেপ এডজাস্টেবল মনোশক অ্যাবজর্বার ব্যাবহার করা হয়েছে, যা রাইডিং কে আরামদায়ক করে তুলবে।

মাইলেজঃ হিরো মোটরকর্পের তথ্য অনুযায়ী মোটরসাইকেলটি ১০ লিটারের ফুয়েল ক্যাপাসিটির সাথে প্রতি লিটার জ্বালানী তেলে ৬৬ কিলোমিটারের মাইলেজ দিতে সক্ষম। তবে পরিবেশ, জ্বালানীর মান এবং রাইডিং স্টাইলের উপর এই মাইলেজ কম বা বেশী হতে পারে। 


পরিশেষ: নিটল-নিলয় গ্রুপের সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব আবদুল মুসাব্বির আহমেদ গত ১ জুন ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় জানান, বাইকারদের প্রচুর অনুরোধে বাংলাদেশে ইতিমধ্যে নতুন এই মোটরসাইকেলটি আনা হয়েছে এবং জুলাই মাস থেকে এটির প্রি-বুকিং শুরু হবে। তিনি আরো আশ্বস্ত করে বলেন, অতি শীঘ্রই বাইকটির মূল্য সাধারণ বাইকারদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখে এটি তারা বাজারজাত করতে চান। এটি নিঃসন্দেহে সকল বাইক প্রেমীদের জন্য সুখবরই বটে।  


বাইকের লঞ্চিং, মূল্য ও প্রি বুকিং বিষয়ক তথ্য সবার আগে পেতে বাইকবিডির সাথেই থাকুন।