সুজুকি জিক্সার SF এবং বাজাজ পালসার AS 150 তুলনামূলক বিশ্লেষন
This page was last updated on 06-Jul-2024 11:58am , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশের বাজারে বর্তমানে সবথেকে আলোচিত দুটা বাইক মনে হয় সুজুকি জিক্সার SF এবং বাজাজ পালসার AS 150। আসলে আলোচিত বললে হয়তো একটু কমই বলা হবে, বরং কিছুটা বিতর্কিত ও বটে। কে কোনটা কিনবেন সেটা নিয়ে অনেকেই অনেকের পরামর্শ নিয়ে বেড়াচ্ছেন হয়তবা। আর যারা বাইকপ্রেমী তারা নিজেরাই সবকিছু দেখে কনফিউজড যে, কোন বাইকটা নিলে ভাল হয় বা কোনটা তার রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল করতে পারবে। যাই হোক এই বিষয়টা নিয়ে অনেক বিতর্ক, গ্যানজাম, গন্ডগোল অনেক কিছুই দেখছি অনেক স্থানে, অনেক ফেসবুক গ্রুপ আর পেজে। আর সেইসব ঝামেলার কিছুটা সমাধান দেবার চেষ্টাতেই আমার এই লেখা।
আসলেই বিষয়টা সবার সমানভাবে বোঝার কথা না যে এই দুইটা বাইকের ভেতর আসলেই ডিফারেন্সটা কী এবং সেটা কেন? কারণ! এর পেছনে অনেক কারণই জড়িয়ে আছে। আজ আমি চেষ্টা করবো সেগুলো খুব ভালভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার। আশা করি এই লেখাটা পড়ার পর আপনারা সঠিকভাবে এই দুটা বাইকের ভেতর কোনটা নেয়া যেতে পারে এই কনফিউশন থেকে মুক্তি পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।
সুজুকি জিক্সার নাকি পালসার এ এস-ব্র্যান্ড ও পপুলারিটি :
প্রথমত, বাজাজ হল বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটা অন্যরকম ফিল এর ব্র্যান্ড, যেটা এই দেশের মানুষকে বাইকের স্বাদ গ্রহণকরার সুযোগ দিয়েছে এবং এটা যথেষ্ঠ একটা বিশ্বস্ত ব্র্যন্ড। সেই হিসেবে ধরলে বাজাজ পালসার আপনি চয়েজ করতেই পারেন। কারণ কম্পেরিজনে আসলে সুজুকির থেকে বাজাজ পালসার AS 150 এর হার্ডওয়্যার কিছুটা হলেও স্ট্রং ও স্টেবল।
আবার অন্যদিক থেকে হিসাব করলে সুজুকি হল একটা ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্র্যান্ড । ওয়ার্ল্ডে বিখ্যাত সব বাইকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হল সুজুকি, যেখানে পৃথিবীর সবথেকে পাওয়ারফুল ইন্জিনের সুজুকি হায়াবুসার মত বাইক তৈরী করা হয়। তাই এটা মেনে নিতেই হচ্ছে যে সুজুকিও যথেষ্ঠ পরিমাণে নির্ভরযোগ্য একটা বাইক ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানী। কিন্তু র্দূভাগ্যবশত সুজুকির তেমন কোন বাইকই বাংলাদেশের বাজারে অন্যান্যদের তুলনায় তেমন একটা মার্কেট পায়নি।
লুকিং :
তবে এসব বাদ দিয়ে আপনি যদি লুকিং এর দিকে যান, তাহলে আমি অবশ্যই পালসার AS150 কে এগিয়ে রাখব। কারণ এটার লুকিং যে কারও এক নজরেই অসাম বলে মনে হবে এবং বাইকের প্রেমে পড়ে যাবে। এদিক থেকে জিক্সার SF পিছিয়ে রয়েছে। যদিও খুব একটা খারাপ লুকিং এর বাইক এটাকে বলা যায় না। কিন্তু কম্পেরিজনের ক্ষেত্রে এটা কনসিডার করতেই হবে।
কমফোর্ট :
কমফোর্টের বিষয়টা ধরলে পালসার AS150 তৈরী করাই হয়েছে এই উপমহাদেশের পথঘাটের কথা চিন্তা করেই। ফলে এর সাসপেনশন সিস্টেম, রাইডিং পজিশন সবকিছুই আমাদের দেশের খারাপ বা ভাল যেকোন রাস্তার জন্য পারফেক্ট। তুলনামুলক বিচারে যেখানে জিক্সার SF সব রোডে কমফর্টেবলভাবে চলার উপযোগী না। যদিও এটার রাইডিং পজিশনকে ফেলে দেবার মত না একেবারেই। তবে আমাদের দেশের রোডের যে দশা, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
AS150 নিয়ে আপনি যেকোন ধরণের রোডেই কমফোর্ট ফিল করবেন, কিন্তু জিক্সার SF এ আপনি তা আশা করতে পারেন না। আর পালসারের রাইডিং পজিশন বেশ খানিকটা উচু হবার কারণে এটা বাংলাদেশের রোডে অনেক বেশী আরামদায়ক।
পারফরমেন্স :
এবার আসি আসল বিষয় মানে পারফরমেন্সে। যেটার দিকে ম্যাক্সিমাম রাইডারদেরই নজরটা বেশী থাকে। বিশেষ করে যারা পারফরমেন্সের জন্যই বাইক চয়েজ করে। এক্ষেত্রে আমরা প্রথমেই দেখতে পাই যে পালসার AS150 এর হর্সপাওয়ার জিক্সার SF এর থেকে বেশ কিছুটা বেশী। যেখানে পালসার AS150 এর ম্যাক্সিমাম পাওয়ার আউটপুট 17 PS এবং জিক্সার SF এর পাওয়ার আউটপুট 14.8 PS । সেখানে আমরা ধরে নিতেই পারি যে পালসার চয়েজ করাটাই বেটার এবং এই বিষয়ে আর কোন কনফিউশন থাকতে পারে না।
কিন্তু কিছু বিষয় নোটিশ করে আমরা দেখতে পাই যে, জিক্সার SF এর এক্সেলেরেশন এবং টপ স্পীড দুইটাই AS150 এর থেকে অনেক বেশী। ইউজার রিভিউ থেকে এবং ইউটিউব এর বিভিন্ন কম্পেরিজন থেকে যেটা দেখা যায়, সেটা বলে জিক্সার SF এর টপ স্পীড ১৩০km/hr+ এবং সেখানে AS150 এর টপ স্পীড ১২০km/hr+ ।
এখন প্রশ্ন হল এটা কেন? এটার পেছনে আসলেই কী কারণ রয়েছে? হ্যা, এটাই হল মূলত জানার বিষয়। আমরা শুধু বাইকের পাওয়ারই দেখি, কিন্তু পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে আরও অনেক বিষয় দেখার আছে। যেগুলো হল টর্ক, এ্যারোডাইনামিক্স, ফেয়ারিং এগুলো।
টর্ক VS হর্সপাওয়ার :
টর্ক হল এমন একটা জিনিস, যেটা বোঝাতে গেলে ম্যাথমেটিক্স ও ফিজিক্স একসাথে ইউজ করে বোঝানো লাগবে। আমি শর্ট টার্মে বিশ্লেষণ করছি। টর্ক মূলত বাইকের এক্সেলেরেশন এর জন্য কাজ করে থাকে। বাইককে সামনের দিকে ঠেলে দেবার যে ক্ষমতা, সেটাই হল টর্ক। যে বাইকের টর্ক যত বেশী থাকবে, সেই বাইকটি তত দ্রুত এক্সেলেরেট করতে পারবে। মোট কথা হল টর্ক বেশী থাকলে যেকোন বাইকই কম সময়ে এবং কম গিয়ারে বেশী এক্সেলেরেট করার ক্ষমতা রাখে। আবার এই টর্ক ও কিন্তু হর্সপাওয়ারের সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু এটা কোন লিনিয়র টাইপের সম্পর্ক বা রিলেশন না। মূলত এই দুইটা জিনিসের কম্বিনেশনই বাইকের পারফরমেন্স নিয়ন্ত্রণ করে।
টর্ক হলো বল ও বল প্রয়োগের স্থান থেকে ঘূর্ণণ অক্ষের দূরত্বের গুণফল। মানে আপনার হর্সপাওয়ারের কাজ হল চাকার কেন্দ্রে ঘূর্ণণ বল প্রয়োগ করা। আর এই বলকে ক্যালকুলেশন করে বেগে রূপান্তর করার কাজটাই হল টর্ক। আপনার বাইকের হর্স পাওয়ার অনেক বেশী কিন্তু টর্ক কম, সেক্ষেত্রে সাধারণ ভাবেই বাইকের এক্সেলেরেশন অনেক কম হবে। আবার হর্স পাওয়ার কম টর্ক বেশী, ফলে গতি কম থাকবে কিন্তূ আপনার বাইকে ভার বহন অথবা টেনে নেবার ক্ষমতা বেশি হবে। আর অনেক হাইয়ার RPM এ গিয়ে এই হর্সপাওয়ার ইউজ হবে, কিন্তু এক্সেলেরেশন পাবেন না।
যেমনটা হয়েছে এখানে AS150 এর ম্যাক্সিমাম টর্ক হল 13 N/m আর জিক্সার SF এর ম্যাক্সিমাম টর্ক হল 14 N/M । এটাই হল মেইন ফ্যাক্ট। এটার কারণে জিক্সার SF কম গিয়ারে বা ধরুন ফার্স্ট বা সেকেন্ড গিয়ারে থাকলেও খুব দ্রুত এক্সেলেরেট করতে পারবে। কিন্তু AS150 কে সেই এক্সেলেরেশন এ পৌছাতে হলে গিয়ার শিফট করে আরও হাইয়ার গিয়ারে যেতে হবে বা বেশী থ্রোটল ওপেন করে পৌছাতে হবে। যেটা AS150 কে সবসময়ই রেসে পরাজিত হতে বাধ্য করবে। আবার AS150 ০-৬0 কি.মি/ঘন্টা জিক্সার SF এর একটু আগে কমপ্লিট করতে পারলেও এটা তারপরে হাল ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। ০-১০০ কি.মি/ঘন্টা স্পীড তুলতে যেখানে জিক্সার SF এর টাইম লাগে ১৬ সেকেন্ড, সেখানে AS150 এর টাইম লাগে ১৮ সেকেন্ড।
দ্বিতীয়ত যেহেতু এক্সেলেরেশনের ক্ষেত্রে আমরা টর্ককে কনসিডার করছি, আমাদের স্বাভাবিকভাবেই ভাবা উচিৎ যে AS150 এর টপ স্পীড জিক্সার SF এর থেকে বেশী হবে। কারণ এটার পাওয়ার আউটপুট বেশী। এইক্ষেত্রে আমরা বাস্তবে যেটা দেখি তা হলো জিক্সার SF এর টপ স্পীড ও AS150 এর থেকে অনেক বেশী। এর কারণটা আসলে কী? এটা সবার মনের একটা প্রশ্ন।
এটার কারণ হল দুইটা, যদিও দুটা কারণই রিলেটেড। একটা হল বাইকের এ্যারোডাইনামিক্স , আরেকটা ফুল ফেয়ারিং বডি।
এ্যারোডাইনামিক্স :
এ্যারোডাইনামিক্স হল ফিজিক্সের গতিবিদ্যার একটা শাখা যেটাকে বাংলাতে বললে দাড়ায় বায়ু-গতিবিদ্যা। যেখানে বাতাসের গতি-প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করা হয়ে থাকে। তো বাইকের ক্ষেত্রে এ্যারোডাইনামিক্স হল বাইকের ডিজাইনে কি কি বৈশিষ্ট্যের জন্য বাইকটি বাতাসের বাধা সবোর্চ্চ পরিমাণে এড়িয়ে ছুটে চলতে পারে। বাতাসের বাধা গতির ক্ষেত্রে একটা বড় ধরণের ফ্যাক্ট। ইন্জিন ক্যাপাসিটি বেশী থাকলেও এই এ্যারোডাইমিক্স এর জন্য যেকোন বাইকের টপ স্পীড কমে যেতে পারে। সুজুকি একটা ওয়ার্ল্ড ক্লাস ব্রান্ড হবার কারণে এটার সব বাইকই এই এ্যারোডাইনামিক্স এর বিষয়টা ভালভাবে মাথায় রাখে।
যেমন সুজুকি GSX-R এর এ্যারোডাইনামিক্স অনেক বেশী, এই কারণে এটার এক্সেলেরেশন পৃথিবীর যেকোন বাইকের থেকে দ্রুততর। এটা মাত্র ২.৪ সেকেন্ডে ৬০ কি.মি/ঘন্টা স্পীড তুলতে পারে।
আর জিক্সার SF এর ক্ষেত্রেও একই ফ্যাক্ট কাজ করেছে। এটার এ্যারোডাইনামিক্স এয়ার টানেল পরীক্ষার মাধ্যমে ভেরিফাই হয়ে ম্যানুফ্যাকচার হয়েছে। এয়ার টানেল পরীক্ষায় একটা বাইককে প্র্রচন্ড বাতাস রয়েছে এমন একটা টানেলের ভেতর দিয়ে চালিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তারপর সেটার খুতগুলো খুজে বের করে মোডিফাই করে আরো নিখুত করে বাজারে ছাড়া হয়। আর একটা বেস্ট ওয়ার্ল্ড ব্রান্ড হবার কারণে জিক্সারের ইন্জিন টাও অনেক বেশী স্মুথ।
তাই এখানে বলতেই হচ্ছে পালসার AS150 এর পাওয়ার আউটপুট বেশী হলেও এটা এ্যারোডাইনামিক্স এর দিক থেকে জিক্সার SF এর থেকে পিছিয়ে পড়েছে। যদিও AS150 ও যথেষ্ঠ এ্যারোডাইনামিক্স মেইনটেইন করে তৈরী করা। কিন্তু নেকেড বাইক হবার কারনে কম্পেরিজনের ক্ষেত্রে এটা পিছিয়ে পড়ে।
ডিজাইন IS ফ্যাক্ট :
এবার আসি ফেয়ারিং এর বিষয়ে। বাইকের ফেয়ারিং মূলত ৩ ধরণের:
- বিকিনি ফেয়ারিং
- হাফ ফেয়ারিং
- ফুল ফেয়ারিং
আর ফুল ফেয়ারড বাইক হল এমন টাইপের বাইক, যেটা রাইডিং এর সময় সব ধরণের বাতাসের চাপজনিত অসুবিধাগুলো হ্যান্ডেল করার ক্ষমতা রাখে। যেমন রাইডিং এর সময় তেরছা বাতাসের চাপে রাইডিং এ অসুবিধা সৃষ্টি হতে পারে, ধূলাবালি বা অন্য কোন পদার্থ আপনাকে আঘাত করতে পারে। রাইডিং এর সময় বাতাসের বাধা ও এইরকম প্রবলেম যা রাইডিং এর সময় বিরক্তিকর ও বিপদজনকও বটে। ফুল ফেয়ারড বাইকের ডিজাইন এমনভাবে করা হয় যে এই বাইকগুলো এসব বাধা এড়িয়ে দিব্যি চলতে পারে। েআর সহজে রাস্তার উপর বাইকটিকে স্টেবল রাখে। ফুল ফেয়ারড বাইকে মূলত বিভিন্ন প্লাষ্টিক পার্টস ইউজ করা হয় এই কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য। যেমন উইন্ডশিলড, সাইড প্যানেল বা এই টাইপের বাড়তি অংশ।
তো জিক্সার SF হল একটা ফুল ফেয়ারড বাইক। আর সেখানে AS150 কে একটা ফুল ফেয়ারড বাইক বলা যায় না । এটাকে হাফ ফেয়ারড বাইক হিসেবেই কনসিডার করা যায়। এই ক্ষেত্রে AS150 অনেকটাই পিছিয়ে।
যার কারণে বেশী পাওয়ার আউটপুট থাকা স্বত্ত্বেও বাজাজ পালসার AS150 সুজুকি জিক্সার SF এর কাছে পারফরমেন্সের দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। আর পালসারে হার্ডওয়্যারের দিকে বরাবরই বেশী নজর দেবার কারণে এটার ওয়েটও জিক্সার SF এর থেকে কিছুটা বেশী। প্রায় পাঁচ কিলোগ্রাম বেশী যেটা একটা গুরুতর ফ্যাক্ট তৈরী করে। আপনারা নিষ্চয়ই জানেন রেসিং বাইকের ওয়েট সবসময়ই কম রাখার চেষ্টা করা হয়ে থাকে ।
ফলাফল :
এখন মুল কথা হল মিডিয়াম বাজেটের ভেতর বাইকের কম্পেরিজন করাটা আসলেই বেশ কঠিন। টাকা থাকলে ইয়ামাহা R15 V2 কিনে ফেলুন অথবা হোন্ডা CBR 150R। একই সাথে ফুল প্যাক পাবেন।
তবে হ্যান্ডেলিং ও কন্ট্রোলিং এর দিকে আসলে পালসার AS150 এখানে এগিয়ে থাকবে। এটার ব্রেকিং সিস্টেম অনেক ভালভাবে ডিজাইন করা। টায়ার ও অন্যান্য সবকিছু মিলিয়ে ব্রেকিং এর দিক থেকে এগিয়ে রাখা যায় AS150 কেই।
আর জিক্সার SF এর হ্যান্ডেলিং মূলত এতটাই এক্সেপশনাল যে সবার পক্ষে এটা বুঝে ওঠা একটু কষ্টকর এবং সময়ের ব্যাপার। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি AS150 নির্দ্বিধায় চয়েজ করতে পারেন। আর মাইলেজ এর দিকে সব বাঙালীই কমবেশী একটু নজর দেয়। এই দিক থেকেও AS150 এগিয়ে রয়েছে ৫২ কি.মি/লিটার মাইলেজ দিয়ে ।
কিন্তু আপনি যদি একজন বাইক লাভার হয়ে থাকেন এবং রেসিং বা টপ স্পীডের দিকে নজর দেন তাহলে সেক্ষেত্রে সুজুকি জিক্সার SF ই হবে আপনার বেস্ট অপশন।
বিশ্লেষক ও লেখক: অরিন্দম পাল