রানার অটোমোবাইলস নেপালে মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে
This page was last updated on 05-Jul-2024 11:59am , By Shuvo Bangla
রানার অটোমোবাইলস নেপালে মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে
মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইলস। রপ্তানির প্রথম চালানটি গতকাল শনিবার নেপালের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। সড়কপথে ভারত হয়ে এ চালানটি নেপাল যাবে। ময়মনসিংহের ভালুকায় রানারের নিজস্ব কারখানায় গতকাল এই রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রথম দিন ১০টি ট্রাকে করে ২৫০টি মোটরসাইকেল পাঠানো হয়েছে নেপালে।
রানারের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, ২০১১ সালে মোটরসাইকেল উৎপাদনের অনুমতি পেলেও ২০১২ সালের ২১ জানুয়ারি রানারের কারখানা যাত্রা শুরু করে। পাঁচ বছর পরে একই দিনে প্রথমবারের মতো মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু হলো, বিষয়টি রানারের জন্য একটি মাইলফলক।
রানার চেয়ারম্যান আরও বলেন, মোটরসাইকেল রপ্তানি শুরু হলেও এ শিল্পে এখনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এ শিল্পের জন্য এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা করা প্রয়োজন, যাতে দেশেই মোটরসাইকেল উৎপাদনে সবাই উৎসাহিত হয়। আমদানিনির্ভর থাকলে দেশে মোটরসাইকেলের দাম কমানো সম্ভব হবে না। মোটরসাইকেল রপ্তানিতে দেশীয় উৎপাদকদের জন্য আর্থিক প্রণোদনা দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, রপ্তানিতে শুধু তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানিতে সরকার এখন গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য ওষুধ, চামড়া, ফার্নিচারের মতো অনেক পণ্য রপ্তানিতে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। আগামী অর্থবছরে মোটরসাইকেল রপ্তানিতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রানারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রপ্তানি হওয়া প্রথম চালানে ১০০, ১১০, ১২৫ ও ১৫০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল রয়েছে। নেপালের বাজারে এ বছরে ৩ হাজার মোটরসাইকেল রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
রপ্তানি শুরু উপলক্ষে রানার মোটরসাইকেলের উৎপাদন প্রক্রিয়া গতকাল গণমাধ্যমকর্মীদের ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সরেজমিনে কারখানা ঘুরে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন সংযোজনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ তৈরির কর্মযজ্ঞ চোখে পড়ে। কারখানাটিতে বর্তমানে ৭০০ কর্মী কর্মরত আছেন।