মোটর সাইকেল ইঞ্জিন ভালভ কি জিনিস এবং কীভাবে কাজ করে ?

This page was last updated on 06-Jul-2024 08:59am , By Ashik Mahmud Bangla

ইঞ্জিন ভালভ কি জিনিস তা আমরা কমবেশি সবাই জানি। ইঞ্জিনের সিলিন্ডারে যে পথসমূহ দিয়ে জ্বালানী প্রবেশ করে ও পোড়া গ্যাস বেড়িয়ে যায় সেই পথসমূহের নিয়ন্ত্রক দরজা ( বা গেইট ) কে ইঞ্জিনের ভালভ বলা হয়। সাধারনত, পেট্রোল ইঞ্জিনের প্রতিটি সিলিন্ডারে সর্বোচ্চ ৪ টি করে ভালভ থাকে।

মোটর সাইকেল ইঞ্জিন ভালভ কি জিনিস এবং কীভাবে কাজ করে ?

মোটর সাইকেল ইঞ্জিন ভালভ

আমাদের দেশের বর্তমান সিসি লিমিট ১৫৫ সিসি। চাইনিজ বেশি সিসির বাইক বাদে দেশে নরমালি আসা অন্য সকল বাইকের বেশিরভাগের ইঞ্জিন কনফিগারেশনে লেখা থাকে যে ইঞ্জিনটি ২ ভালভ বিশিষ্ট। কিন্তু, পালসার '৩৫, আর১৫, সিবিআর ১৫০, এই কয়েকটা বাইকের কনফিগারেশনে লেখা আছে যে এদের ইঞ্জিন ৪ ভালভ বিশিষ্ট। এছাড়াও, আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাই, ১৩৫ সিসির পালসার '৩৫ এর এক্সেলেরেশন ১৫০ সিসি নেকেড সেগমেন্ট এর সকল বাইকের থেকে বেশি। 

টপ স্পীডও কম না, ১১০ কিমি/ঘন্টা ( জিপিএস ) , যা এফজেড-এস এর সমান। কিন্তু অপরদিকে, ১৩৫ সিসি বাইক হিসেবে এর মাইলেজ অনেক কম। ইউজাররা সাধারনত ৩২-৪২ কিমি/লিটার মাইলেজ পান। এই সবকিছুর পেছনেই দায়ী এর ৪ ভালভ ইঞ্জিন।

সাধারনত ২ ভালভ ইঞ্জিনে কি ঘটে ??? একটি ভালভ দিয়ে বাষ্পীভূত / তরল অবস্থায় জ্বালানী তেল সিলিন্ডারে প্রবেশ করে। স্পার্ক প্লাগ সেই জ্বালানীতে বিস্ফোরন ঘটায়, এবং সেই বিস্ফোরণের শক্তির ফলে পিস্টন নিচে নামে ও ক্র্যাংকশ্যাফট কে চালিত করে। এর ফলেই মূলত বাইক চলে। বিস্ফোরনের ফলে উৎপন্ন গ্যাস অপর ভালভ দিয়ে বেড়িয়ে যায়। এরপর সম্পূর্ণ প্রসেসটি পুনরায় চলতে থাকে।

এখন, যদি ইঞ্জিনটি হয় একই সিসির একটি ৪ ভালভ বিশিষ্ট ইঞ্জিন, তবে ???

একটি ৪ ভালভ বিশিষ্ট ইঞ্জিনে আগমন ভালভ থাকে ২ টি এবং নির্গমন ভালভ থাকে ২ টি। অর্থাৎ, দুইটি আগমন ভালভ থাকার কারনে সিলিন্ডারে বেশি পরিমান জ্বালানী প্রবেশ করবে। বেশি জ্বালানী থাকার কারনে বিস্ফোরণটাও হবে জোরালো। 

Also Read: Motul 3000 4T 10w40 Price In BD- BikeBD

এর ফলে পিস্টনও দ্রুত নিচে নামবে এবং ক্র্যাংকশ্যাফট ও দ্রুত চলবে। উৎপন্ন গ্যাসও দ্রুত বেরিয়ে যাবে। এই দ্রুত বেরিয়ে যাবার জন্যও দুইটি ভালভ রয়েছে। এরপরে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অত্যান্ত দ্রুত পুনরায় শুরু হয়।

২ ভালভ এর তুলনায় ৪ ভালভ ইঞ্জিনে সিলিন্ডারে প্রতিবার বেশি পরিমান তেল প্রবেশ করে। একারনেই এর মাইলেজ কম পাওয়া যায়। কিন্তু, ঠিক একই কারনে এর এক্সেলেরেশন ও টপ স্পীড বেশি।

এটাই ২ ভালভ এবং ৪ ভালভ ইঞ্জিনের মধ্যে মূল পার্থক্য।

লিভ ফ্রি, রাইড সেফ।