ঢাকায় তিন দিনব্যাপী মোটর ও মোটরবাইক প্রদর্শনী শুরু ৯ এপ্রিল,২০১৫
This page was last updated on 07-Jul-2024 03:30am , By Ashik Mahmud Bangla
ঢাকায় তিন দিনব্যাপী মোটরগাড়ি ও মোটরবাইক প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। এতে বাংলাদেশ, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, কোরিয়াসহ ১৪টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৪০০ স্টলে মোটরগাড়ি, মোটরসাইকেল, লুব্রিকেন্ট এবং সিএনজিতে রূপান্তরসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ প্রদর্শন করবে।
সেমস (কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস) ইউএসএ ও সেমস বাংলাদেশ ‘দশম নিটল-নিলয় ঢাকা মোটর শো’ ও ‘ঢাকা বাইক শো’ শীর্ষক এ দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করবে। জোয়ার সাহারা এলাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় অনুষ্ঠিত হবে এ প্রদর্শনী। এতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে নিটল-নিলয় গ্রুপ।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে সেমস গ্লোবাল-ইউএসএ অ্যান্ড এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট মেহেরুন এন ইসলাম ও নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বক্তব্য দেন।
মেহেরুন এন ইসলাম জানান, প্রদর্শনীতে যেতে ইচ্ছুক দর্শনার্থীদের জন্য ঢাকার পাঁচটি এলাকায় বাস থাকবে। এলাকাগুলো হচ্ছে ফার্মগেট, শাহবাগ, আজিমপুর, কুড়িল ও কাকলী। প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ জানান, প্রদর্শনীস্থলে দর্শনার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য বনানী ডিওএইচএস, মার্কিন দূতাবাস ও প্রেসক্লাবের সামনে নিটলের ৩০টি টেম্পো থাকবে।
দেশে গাড়ি তৈরি সম্ভব হচ্ছে না কেন—এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মাতলুব আহমাদ বলেন, ‘সম্পূর্ণ তৈরি গাড়ি আমদানি আর যন্ত্রাংশ এনে দেশে সংযোজনের ক্ষেত্রে একই হারে শুল্ক দিতে হয়। গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যা তো আছে। সে জন্য উদ্যোক্তারা এ খাতে বিনিয়োগ করতে আসছেন না। তা ছাড়া সরকার গাড়িশিল্পের দিকে সেইভাবে দৃষ্টি দিচ্ছে না। তাই আমরা দেশে গাড়ি তৈরি করতে পারছি না।’
Also Read: বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২১ - সেগুলো কি কি ? বিস্তারিত
এ প্রসঙ্গে আবদুল মাতলুব আরও বলেন, ‘ভারতীয়রা যুগের পর যুগ মুড়ির টিন মার্কা বাসে চলাচল করছে। আর প্রথম থেকেই আমাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পণ্য ব্যবহার করার প্রবণতা আছে। ভারতে গত বছর মাত্র অটো গিয়ারের গাড়ি এসেছে। এখন তো আমাদের দেশে ম্যানুয়েল গাড়ি চালানোর চালকই খুঁজে পাওয়া যাবে না। আসলে আমাদের ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।’ সব কিছু ঠিকঠাকভাবে হলে আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশে গাড়ি তৈরি সম্ভব। সে জন্য শিল্পনীতিতে পরিবর্তন দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।