মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন – সতর্কতা ও জ্ঞাতব্য
This page was last updated on 08-Jul-2024 09:18am , By Ashik Mahmud Bangla
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন – সতর্কতা ও জ্ঞাতব্য। আমরা আজ এখানে কিছু বিষয়ে আলোকপাত করবো যা কোন মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন করার সময় অবশ্যই বিবেচনা করা উচিৎ। আশা করি আমাদের এই আলোচনাটুকু আপনাদের মোডিফিকেশন কাজে নিরাপদ মাত্রায় থেকে আরো ভালো ফল পেতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে। তো চলুন আলোচনায় যাওয়া যাক।
মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন – সতর্কতা ও জ্ঞাতব্য
মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন একটি একাধিক কাজের সমন্বয় যা কিনা একটা মোটরসাইকেলের কোম্পানী প্রদত্ত সাধারন সেটিং ও প্রোফাইল অনেকটাই বদলে দেয়। ব্যাক্তি তার নিজের প্রায়োজন ও রুচি ভেদে মোটরসাইকেলের এরকম পরিবর্তনগুলি করেন। তবে অনেকসময়ই এই মডিফিকেশনগুলি নিরাপদ সীমা অতিক্রম করে যেতে পারে। তাই এধরনের পরিবর্তনগুলি করার আগে কিছু বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া উচিৎ।
খরচ নির্ধারন
মোটরসাইকেল কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন একটি সুক্ষ ও সমন্বিত কাজ যাতে বেশ দক্ষ টেকনিশিয়ানের সাহায্য প্রয়োজন। ফলত: এসব কাজের খরচ অনেকটাই বেশি। তাই এধরনের কাজের আগেই কাজের ধরন অনুসারে আনুমানিক খরচের পরিমান হিসেব করে নেয়া উচিৎ। ফলে বাজেটের কাছাকাছি সীমায় থেকে কাজ সম্পন্ন করা সহজ হয়।
কাজের খসড়া করন
খুব বহুল প্রচলিতভাবে একটু আলাদা ও নিজস্ব লুক পাবার জন্যেই বেশিরভাগ মোটরসাইকেলের কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন করা হয়। তো বেশিরভাগ মানুষই তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির একটু আলাদা ও ভিন্নধর্মী চেহাড়া পেতে চান। ফলত: তারা মোডিফিকেশনের দ্বারস্থ হন।
তবে সমস্যা হলো অনেকেই জানেন না আসলে তারা কি করতে চান বা কোনো এক ধরনের মোডিফিকেশনের ফলে তার বাইকটিকে আসলে কেমন দেখাবে। সেকারনেই কোন বাইকের এক্সটেরিয়র মডিফিকেশনের ক্ষেত্রে একটা খসড়া স্কেচ করে নেয়া ভালো। তাতে ডিজাইনটা বোঝা যাবে ও প্রয়োজনে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করে নেয়া যাবে।
সরকারী আইন কি বলে
কোন কোন ক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ডিজাইন বদলানো, ইঞ্জিন পারফর্মেন্স বাড়ানো বা কোন ধরনের মেকানিক্যাল মডিফিকেশন স্থান ভেদে আইনের পরিপন্থী হতে পারে। আর এসব বিষয় অবশ্যই মোডিফিকেশনের মাত্রা ও স্থান ভেদে ভিন্ন হতে পারে। আর সেকারনেই এধরনের মোডিফিকেশনের আগে জেনে নেয়া উচিৎ লোকাল যানবাহন আইন কি বলে। সুতরাং যথাযথ আইনের আওতায় থেকে ও অনুমতি সাপেক্ষে এধরনের মোডিফিকেশন গুলি করা উচিৎ।
কম্ফোর্ট লেভেল
যেকোন ধরনের মোটরসাইকেলই কোম্পানীর আর-এন্ড-ডি এর আওতায় কম্ফোর্ট লেভেল নিশ্চিত করে ডিজাইন করা হয়। সুতরাং বড় ধরনের মোডিফিকেশনগুলো কখনো কখনো এই কম্ফোর্ট লেভেল ব্যহত করতে পারে।
আর লম্বা সময়ে এই সব মোটরসাইকেল চালানো ও ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রেই পীড়াদায়ক হতে পারে। ফলে অনেকসময়ই এসব মোটরসাইকেলের ব্যবহার যোগ্যতা ও আসল উপযোগীতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর সেকারনেই যেকোন ধরনের মোডিফিকেশনের আগে এই বিষয়টিতে নজর দেয়া উচিৎ।
কন্ট্রোল ও সেফটি ফিচার
সাধারনভাবেই মোটরসাইকেল নির্মাতারা তাদের মোটরসাইকেলের ধরন অনুযায়ী প্রযোজ্য কন্ট্রোল, কম্ফোর্ট আর সেফটির বিষয়গুলি নিশ্চিত করেন। আর কোন মোটরসাইকেলের পারফর্মেন্স আপগ্রেড বা মেকানিক্যাল আপগ্রেড অবশ্যই তার পারফর্মিং রেন্জ ও ক্ষমতা বাড়ায়। কিন্তু সেইক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের স্টক কন্ট্রোলিং ও সেফটি ফিচার সমানভাবে তাল নাও মিলাতে পারে।
আর তাই কোন মোটরসাইকেলের পারফর্মেন্স আপগ্রেড বা মেকানিক্যাল আপগ্রেডের সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখা উচিৎ। প্রয়োজনে প্রযোজ্যক্ষেত্রে মোটরসাইকেলের ব্রেক, সাসপেনশন, কুলিং সিস্টেম ও অন্যান্য সেফটি ফিচারও আপগ্রেড করা উচিৎ। আর কন্ট্রোল ও সেফটি ফিচার নষ্ট করে এমন মোডিফিকেশন করা উচিৎ না।
সহজ রক্ষনাবেক্ষন নিশ্চিতকরণ
পরিশেষে, সহজ রক্ষনাবেক্ষন একটি অতীব প্রয়োজনীয় বিষয় যা কিনা যেকোন মোটরসাইকেলকে দীর্ঘ সময় নিরবিচ্ছিন্ন সার্ভিস দিতে সাহায্য করে। তো সেকারনেই যেকোন মোডিফিকেশন করার সময়ই তার সহজ রক্ষনাবেক্ষনের বিষয়টি মাথায় রাখা উচিৎ। আর এভাবেই যেকোন কাষ্টমাইজেশন ও মোডিফিকেশন থেকে আপনার মোটরসাইকেলটিতে আপনি সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিত করতে পারেন । তো বন্ধুরা আজ তবে এটুকুই।