ব্রেকিং নিউজ! ২০১৭-১৮ বাজেটে বাড়তে পারে মোটরসাইকেল এর দাম!
This page was last updated on 08-Jul-2024 03:18pm , By Shuvo Bangla
বছরজুড়ে মোটরসাইকেলপ্রেমীরা অপেক্ষা করে সরকারের কাছ থেকে সুসংবাদ শোনার জন্য যে বার্ষিক জাতীয় বাজেটে মোটরসাইকেল এর ওপর ট্যাক্স কমতে পারে। গত ২০১৬-১৭ বাজেটে সরকার কিছু সুসংবাদ দিয়েছিল বাইকারদের। কিন্তু এবছর কিছু খারাপ সংবাদ আছে। মোটরসাইকেল এর দাম বাড়তে পারে ২০১৭-১৮ বাজেটে।
বছরের পর বছর বাংলাদেশ সরকার কিছু যুক্তিহীন নিয়ম চাপিয়ে দিয়েছে মোটরসাইকেল এর ওপর। যেমন: অধিক রেজিস্ট্রেশন খরচ, ইঞ্জিন সি.সি. লিমিট, অধিক ট্যাক্স। জুন ২০১৬ পর্যন্ত CKD মোটরসাইকেল এর ওপর ট্যাক্স ছিল ১২৮% এবং CBU মোটরসাইকেল এর ওপর ট্যাক্স ছিল ১৫২%। ২০১৬-২০১৭ বাজেটে সরকার কিছু নিয়ম বানিয়েছিল। যদি কোন কোম্পানি দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদন করে এবং ২ বছরের উতপাদনের জন্য কাজ করা শুরু করে তাহলে তারা PM নামে একটি নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হবে। (Progressive Manufacturing).
এই নতুন নিয়মে মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলো যদি প্রতিজ্ঞা করে যে সর্বনিম্ন ১০% স্পেয়ারস পার্টস দেশে উৎপাদন করবে বা দেশিয় বিক্রেতাদের থেকে কিনবে তাহলে সেই কোম্পানি গুলোকে ৯০% আমদানি ট্যাক্স দিতে হবে। এই নতুন নিয়মে বেশিরভাগ মোটরসাইকেল কোম্পানি এই নীতি মেনে চলছে এবং ডিসেম্বর ২০১৬ থেকে ২০১৭ তে ১৫ টার মত মোটরসাইকেল কোম্পানি তাদের মোটরসাইকেলের মূল্য কমিয়েছে। যেমন : বাংলাদেশে সব থেকে বেশি বিক্রিত বাজাজ পালসার এর মূল্য ১,৯২,৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ১,৭৭,৫০০ টাকা তে নেমে এসেছে। প্রায় সকল ধরনের মোটরসাইকেলের ওপর ১৫-১৯ হাজার টাকা কমানো হয়েছে যা বাইকারদের কাছে আশির্বাদ ছিল। আমি বিশ্বাস করি যদি এই মুল্যহ্রাস আরো সময়ের জন্য বাড়ানো হত তাহলে মোটরসাইকেল এর বাজার আরো বড় হত।
২০১৭-২০১৮ বাজেটে সরকার নীতি পরিবর্তন করছে এবং ২০১৬ সালের হ্রাসকৃত ট্যাক্স PM মোটরসাইকেল এবং CKD মোটরসাইকেল এর জন্য ট্যাক্স একই থাকবে। তাই আমারা আশা করছি ঈদের পর সব মোটরসাইকেল এর দাম বেড়ে যাবে। কিছু কোম্পানি রমজান মাসেই তাদের মোটরসাইকেল এর দাম বাড়াতে পারে। কিন্তু ব্যতিক্রম তাদের জন্য যারা বাংলাদেশে স্থানীয় ভাবে মোটরসাইকেল উৎপাদন করবে। যেমন : রানার এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল হিরো। যারা স্থানীয় ভাবে বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদন করতে যাচ্ছে এই বছরের জুলাই আগষ্টে।
মোটরসাইকেল শিল্পের জন্য এটি একটি বড় অসুবিধা। কারণ, যদি অধিকাংশ মোটরসাইকেল কোম্পানির মূল্য বেড়ে যায় তাহলে বাজারের আকার হ্রাস হবে, কিছু লোক তাদের পছন্দের মোটর সাইকেল কিনতে পারবে না। অন্যদিকে রানার ও হিরো মোটরসাইকেল তাদের বর্তমান মূল্য থেকেও মূল্য কমাতে পারে।
আমি আগেই বাংলাদেশের বাইকিংয়ের প্রধান সমস্যাগুলি সম্পর্কে পূর্ববর্তী আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। এই নতুন বাজেটের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল যে বিনিয়োগকারীরা এই দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ হারাবে । কারণ, তারা কোন দীর্ঘমেয়াদী নীতি পাবে না যা স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে এবং এইভাবে মোটরসাইকেলের বাজার তৈরি হবে না। ২০১৭-২০১৮ বাজেটে মোটরসাইকেলের দাম বাড়তে পারে। BikeBD.com ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন, আমরা বাজেটের পর মোটরসাইকেলের মূল্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবো।