বাংলাদেশে হোন্ডা সিবি ট্রিগারের ভবিষ্যৎ
This page was last updated on 19-Aug-2024 12:56am , By Shuvo Bangla
বাংলাদেশের বাজারে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেডের (বিএইচএল) ১৫০ সিসিতে একমাত্র বাইক হোন্ডা সিবি ট্রিগার। এর প্রতিযোগীদের মাঝে একমাত্র ট্রিগারেই গতি ও জ্বালানি সাশ্রয়ের যুগপৎ মেলবন্ধন রয়েছে। কিন্তু ভারতের হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া (এইচএমএসআই) কয়েক বছর আগেই সেদেশে এ মডেলটি বাজারজাত বন্ধ করে দিয়েছে। আর যেহেতু ভারত থেকে আসা বাইকগুলোই বাংলাদেশে পাওয়া যায়, সেজন্য প্রশ্ন চলে আসে—বাংলাদেশে হোন্ডা সিবি ট্রিগারের ভবিষ্যৎ কী?
বাংলাদেশে হোন্ডা সিবি ট্রিগারের ভবিষ্যৎ
হোন্ডা মোটরসাইকেলের নীতিমালা অনুযায়ী, তারা কোনো মডেলের বাইক বাজারজাত বন্ধ করলেও, পরবর্তী ৫ বছর সেটার সব খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে থাকে। আর এ কারণেই আমরা এখনো বাংলাদেশে ট্রিগার কিনতে পারছি। অবশ্য বিএইচএল-এরও এখনই ট্রিগারের বাজারজাত করণ বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। তার পরও তারা যদি তা বন্ধ করেও দেয়, পরবর্তী ৫ বছর বিক্রয়োত্তর সেবা ও খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যাবে।
হোন্ডা সিবি ট্রিগারের টেস্ট রাইড রিভিউ
ভারতের বাজারে বিক্রিতে সুবিধা করতে না পেরেই তারা এটা বন্ধ করে দিয়েছে। আসলে ট্রিগারের সবচেয়ে বড়ো দুর্বলতা এর চেহারায়! ক্লাসিক চেহারার হওয়াতেই ভারতীয়রা এটা কিনছিলো না।
এর ফলে হোন্ডা ভারতে সিবি ইউনিকর্ন ও সিবি হর্নেট বাজারে ছাড়ে, যেগুলো খুব ভালো বিক্রিও হচ্ছে। কিন্তু উভয় বাইকই ১৬৩ সিসির হওয়াতে, ১৫৫ সিসির সীমার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছে না সেগুলো। যেজন্য বাংলাদেশী বাইকাররা বঞ্চিত হচ্ছে বাইকগুলোর মজা থেকে।
বাংলাদেশে বিএইচএল এর পলিসি
বাংলাদেশে বিএইচএলই প্রথম কোম্পানি যারা, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রণীত সরকারি নতুন নীতিমালা অনুসারে সম্পূর্ণরূপে মোটরসাইকেল উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে। তাছাড়া বিএইচএলই প্রথম বাইক কোম্পানি যারা নতুন বাজেটের পর জুলাইয়ে বাইকের দাম কমিয়েছে।
Also Read: হোন্ডা দিচ্ছে ঈদ ক্যাশব্যাক সাপোর্ট - ৮১০০/- পর্যন্ত ক্যাশব্যাক!
বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে হোন্ডার ৬টি মডেল পাওয়া যাচ্ছে। আর সরকার অনুমতি দিলে তারা সিবি হর্নেট বাজারে ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে এবং এবছরের শেষ নাগাদ হোন্ডা লিভো বাজারে আসবে বলে নিশ্চিত হয়েছি আমরা। অবশ্য এদেশে হোন্ডা নভি বাজারজাত করার কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। তবে আগামী বছর তারা বাংলাদেশে একটি স্কুটার ছাড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশজুড়ে হোন্ডার ৩৫টি ডিলার পয়েন্ট রয়েছে। আর প্রতিটি ডিলার পয়েন্টই ৩এস মানের, যেখানে গ্রাহক একই ছাদের নীচে বাইক কেনা, খুচরা যন্ত্রাংশ ও বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। হোন্ডা তাদের বাইকে ২ বছর কিংবা ২০ হাজার কিমি ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি দিচ্ছে।
Also Read: হোন্ডা সিবি ট্রিগার এর মালিকানা রিভিউ
আসলে হোন্ডা সিবি ট্রিগারের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাজারে অনেক কথাই প্রচলিত। অনেকেই বলছে, বিএইচএল এই মডেল বন্ধ করে দিবে, আবার অনেকে বলে এটার খুচরা যন্ত্রাংশ আর পাওয়া যাবে না। আশা করি এই আর্টিকেলটি এসব গুজবের জবাব ভালো করেই দিয়েছে।