বাংলাদেশে কারাখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল

This page was last updated on 07-Apr-2023 10:36pm , By Raihan Opu Bangla

বাংলাদেশে কারাখান স্থাপন করতে যাচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড রয়েল এনফিল্ড। রয়েল এনলফিল্ডের সিইও মিস্টার বি গোবিন্দরাজন জানিয়েছেন যে, তারা তাদের প্রতিবেশি দুটি দেশে তাদের মোটরসাইকেলের এসেম্বলি অপারেশন কারখানা স্থাপনের পরিকল্পনা করেছেন। পিটিআই থেকে আরও জানানো হয়েছে যে নেপাল ও বাংলাদেশে রয়েল এনফিল্ডের কারাখানা প্রতিস্থাপনেরে পরিকল্পনা অনেক আগেই থেকেই ছিল। এই উদ্যোগ রয়েল এনফিল্ডের বিশ্ব বাজার সম্প্রসারণের অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। 

বর্তমানে রয়েল এনফিল্ড ৪০টিরও বেশি দেশে ২৫০সিসি থেকে ৭৫০সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল বিক্রয় করে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে রয়েল এনফিল্ড বর্তমান বিশ্ব বাজারে তাদের মার্কেট শেয়ার ধরে রাখার জন্য নতুন ভাবে নতুন কিছু মোটরসাইকেল লঞ্চ করতে যাচ্ছে। যদিও নতুন মোটরসাইকেল গুলো সম্পর্কে এখন কিছু জানা যায়নি। 

রয়েল এনফিল্ডের সিইও বলেছেন যে, বর্তমানে রয়্যাল এনফিল্ডের মার্কেট শেয়ার যতটুকু রয়েছে তার চেয়েও আবারও সম্প্রসারণ করা সম্ভব। যাতে করে রয়েল এনফিল্ডের মার্কেট শেয়ার আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। নেপাল এবং বাংলাদেশে নতুন অ্যাসেম্বলি প্ল্যান্ট স্থাপন করা সেই বৈশ্বিক সম্প্রসারণ পরিকল্পনার একটি অংশ।

গোবিন্দরাজন বলেছেন যে বর্তমানে, আইনের কারণে রয়েল এনফিল্ড তার সম্পূর্ণ তৈরি মোটরসাইকেল এসব দেশে রপ্তানি করতে পারে না। স্থানীয় অংশীদারদের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে মোটরসাইকেল তৈরি করার পর আশা করা যাচ্ছে যে সেই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে রয়্যাল এনফিল্ড কে সহায়তা করবে।

রয়েল এনফিল্ডের সিইও আরও বলেছেন যে এটি উত্তর আমেরিকা অঞ্চলে প্রায় ৮.১ শতাংশের বাজার শেয়ার অর্জন করেছে। যদিও কোম্পানিটি দাবি করে যে APAC অঞ্চলে প্রায় নয় শতাংশ বাজার শেয়ার রয়েছে, যেখানে OEM-এর প্রায় ১০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে EMEA অঞ্চল।

গোবিন্দরাজন আরও বলেছেন যে, বিশ্বব্যাপী রয়েল এনফিল্ডের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের জন্য আলাদা ভাবে জে-সিরিজ ইঞ্জিন তৈরি করা হয়েছে, এই ইঞ্জিন গুলো অনেক বেশি স্মুথ ও রিফাইন্ড করে তৈরি করা হয়েছে। এই ইঞ্জিন গুলো রয়েল এনফিল্ডের মিটিওর মডেলের মাধ্যমে এবং পরবর্তীকালে ক্ল্যাসিক মডেল এবং তারপর হান্টার মডেল গুলোতে সংযোজন করে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল" এর মাধ্যমে রয়েল এনফিল্ডের কোয়ালিটি বা মানের ব্যাপারে কোন কোন ছাড় দেয়া হয়নি, বরং আরও বেশি উন্নত ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যা কাস্টোমারদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে"।