বাংলাদেশে এসে গেছে Yamaha R15 V3 !! দাম, শোরুম ও বিস্তারিত
This page was last updated on 08-Jul-2024 03:00pm , By Shuvo Bangla
গত ২১শে জুন রাতে ঢাকা শহরের বেশিরভাগ মানুষ যখন তাদের ঈদের ছুটির শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছিলো, তখন ERS Global LTD. প্রথমবারের মতো তাদের অফিসে Yamaha R15 V3 বাইকটি সকলের সামনে প্রদর্শন করে। বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেল এর অফিশিয়াল ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরস নয়, বরং অন্য আমদানীকারকদের মাধ্যমেই বাংলাদেশে Yamaha R15 V3 এসেছে।
বাংলাদেশে এসে গেছে Yamaha R15 V3 !! দাম, শোরুম ও বিস্তারিত
মূল বিষয় শুরু করার আগে আপনি যদি r15 v3 price in bangladesh এর সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে আমাদের ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক গ্রুপ ঘুরে দেখুন। তাছাড়া বাইক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য পাবেন আমাদের ওয়েবসাইটে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ আবিদুর রহমান
বাংলাদেশে এসে গেছে Yamaha R15 V3! ফার্স্ট ইম্প্রেশন ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
Yamaha R15 V3 ইয়ামাহা ইন্দোনেশিয়া এর একটি সম্পূর্ন নতুন মোটরসাইকেল এবং এই বাইকটির জন্য বাংলাদেশের বাইকাররা অনেক সময় ধরেই অপেক্ষা করে ছিলেন। অনেকেই আমাদেরকে জিজ্ঞেস করেছেন যে বাইকটি ১৫৫.১ সিসি হওয়া সত্ত্বেও ঠিক কিভাবে বাংলাদেশে আমদানী করা হয়েছে। যেহেতু সময়টা মূলত ছুটির সময় ছিলো, তাই আমরা খুব বেশি তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি, তবে আমরা বেশকিছু পয়েন্ট বের করেছি যা হয়তো ব্যাখ্যা করতে পারে যে কিভাবে এই বাইকটি আমাদের দেশে বাজারে প্রবেশ করেছে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ শামসুজ্জামান রিমান
প্রথম কারন হতে পারে যে কাস্টমস Yamaha R15 V3 এর জন্য সামান্য ছাড় দিয়েছে কারন বাইকটির ইঞ্জিন বাংলাদেশের সিসি ইমিট ১৫৫ সিসির চাইতে মাত্র ০.১ সিসি বেশি, যা সিসি লিমিটের চাইতে মাত্র০.৬৪% বেশি।তাই হয়তো কাস্টমস বাইকটি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামায়নি এবং বাইকটিকে বাংলাদেশে বৈধ পারমিশন দিয়েছে, কারন ০.৬৪% নিয়মভঙ্গ করার জন্য পর্যাপ্ত নয়।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ শাহেদ শুভ
Also Read: Yamaha R15 V3 Indo ৩০০০ কিলোমিটার রাইড - ইমরান হোসেন
দ্বীতিয় কারন হতে পারে নিয়মের মধ্যেকার একটি লুপহোল। আমি আমার মোটরসাইকেল এর ব্লুবুক চেক করে খুবই চমকপ্রদ একটি জিনিস খুজে পেলাম। আমার Honda CB150R Streetfire বাইকটির ইঞ্জিন ১৪৯.১৬ সিসি (অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী) কিন্তু, আমার ব্লু বুকে বাইকটির সিসি লেখা রয়েছে ১৫০ সিসি। এছাড়াও আমি Race Fiero 150FR বাইকটির স্পেসিফিকেশন চেক করে দেখেছি যে সেটার ইঞ্জিন ১৪৯.৪ সিসি, তবে সেটার ব্লুবুকে সিসি লেখা আছে ১৫০ সিসি। যদিও আমি R15 V3 এর ব্লুবুক চেক করিনি, তবে অনুমান করছি যে তারাও হয়তো সেখানে বাইকটির সিসিকে রাউন্ড ফিগারে ১৫৫ সিসি লিখেছে, যা বাইকটিকে সকল প্রকার নিয়মের মধ্যেই রাখে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ শাহেদ শুভ
তৃতীয় কারনটি সবচাইতে কৌতূহলপূর্ন, গত ২০১৬ সালের আগস্টে আমরা একটি আর্টিকেল প্রকাশ করেছিলাম “১৬৫সিসি পর্যন্ত এপ্রুভ করা হলে বাংলাদেশে কি কি বাইক আসতে পারে” এ সম্পর্কে, এবং সেই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছিলো বাংলাদেশের কিছু মোটরসাইকেল কোম্পানির তথ্যের ভিত্তিতে। বাংলাদেশের বেশকিছু মোটরসাইকেল কোম্পানি সরকারের কাছে অনুরোঢ জানিয়েছে বাংলাদেশের সিসি লিমিট ১৫৫ সিসি থেকে বাড়িয়ে ১৬৫ সিসি করার জন্য।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ তানভীর আহমেদ
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে Yamaha R15 V3 কি এই প্রসেসে আমদানী করা হয়েছে ? কিন্তু যদি তাই হয়ে থাকে, তবে সরকার কেনো ২০১৭-২০১৮ বাজেটে এরকম কিছুর ঘোষনা দেয়নি?এবং, যদি বাংলাদেশে সত্যিই ১৬৫ সিসি লিমিট এপ্রুভ করা হয়, তাহলে খুব শীঘ্রই এবছরেই হয়তো দেশের রাস্তায় Honda CB Hornet এবং Bajaj Pulsar 160NS দেখা যেতে পারে।
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ তানভীর আহমেদ
দুঃখের বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে Yamaha R15 V3 এর আমদানীর এবং পারমিট এর সত্যিকারের কারন এখনো আমাদের অজানা। উপরিউক্ত পয়েন্টগুলো কেবলমাত্রই অনুমান এবং এমনও হতে পারে যে এগুলোর সবই ভুল এবং অন্য কোণ চতুর্থ নিয়মে Yamaha R15 V3 বাংলাদেশে এসেছে। আমরা যদি অফিশিয়াল কোন তথ্য বা সংবাদ পাই, তবে সাথে সাথেই সকলের সাথে শেয়ার করবো। ততক্ষন পর্যন্ত, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ও সর্বদা হেলমেট পড়ে বাইক রাইড করুন।