নতুন মোটরসাইকেল কেনার সময় করনীয় - শোরুমের পরীক্ষা, রেজিস্ট্রেশন, ব্রেক ইন পিরিয়ড নিয়ে পরামর্শ

This page was last updated on 06-Jul-2024 08:11pm , By Shuvo Bangla

মোটরসাইকেল আমাদের সকলেরই শখের এবং প্রয়োজনের একটি বাহন, এবং প্রতিনিয়তই আমরা অনেকেই নিজের পছন্দের বাইক কিনছি। নতুন মোটরসাইকেল কেনার সময় কিছু বিষয়ে লক্ষ রাখতে হয়, এবং কিছু গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আজকে আমরা নতুন মোটরসাইকেল কেনার সময়কার করনীয় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।

নতুন বাইক কেনার আগে যেসকল বিষয়ে মনোযোগ দেয়া উচিত


নতুন মোটরসাইকেল


নতুন মোটরসাইকেল – শোরুমের পরীক্ষা

সাধারণত শো-রুম থেকে নতুন মোটরসাইকেল কেনার সময় শো-রুমের লোকেরাই  বাইকটি চেক করে দেয়। এরপরও নিজে কিছু জিনিস খেয়াল করে নিলে ভালো হয়। বাইকের কোথাও কোন দাগ বা ফাটা আছে কিনা, মিটার, হেড লাইট, ইন্ডিকেটর ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা দেখে নেয়া উচিত। বাইকের সাথে টুলস,সার্ভিস বই, ম্যানুয়াল এবং এক্সট্রা চাবি বুঝে নিন। চালান বা যেসব জায়গায় বাইকের ইঞ্জিন ও চেসিস নাম্বার লেখা হয় নিজে কষ্ট করে একবার মিলিয়ে নিন। রেজিস্ট্রেশন এর সময় চেসিস নাম্বার সবচেয়ে জরুরী। এটি ভুল হলে আমার জানা মতে আর ঠিক করা যায় না।

new motorcycles in bangladesh 2017

নতুন মোটরসাইকেল – রেজিস্ট্রেশন

বর্তমানের আইন অনুসারে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া বাইক চালানো বেআইনী এবং অসম্ভব। তাই একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে সবারই উচিত কেনার সাথে সাথেই নতুন বাইকের রেজিস্ট্রেশন করে ফেলা। সাধারণত দুই উপায়ে মোটরসাইকেল এর রেজিস্ট্রেশন করা যায় -

১/ শো-রুম এর লোকদের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন

২/ নিজে বিআরটিএতে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন

digital number plate

নতুন মোটরসাইকেল – শোরুম এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন

জেনে রাখা ভালো বর্তমানে বাইকের রেজিস্ট্রেশন সরকারি খরচ ২ বছরের রোড ট্যাক্স সহ ১২০৭৩ টাকা। শো-রুমের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করালে  কিছু টাকা বেশি দিতে হয়। এই টাকাটি মূলত সার্ভিস চার্জ, যা দেয়া হচ্ছে যাতে করে আপনার বাইক নিয়ে বিআরটিএতে যেতে না হয়, এবং বিআরটিএ এর বিভিন্ন ঝক্কি ঝামেলাোহাতে না হয়। শোরুমের কাছে রেজিস্ট্রেশন এর টাকা দেয়ার পর সাধারণত ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আপনি টাকা জমা দেয়ার মানি রিসিট পাবেন।

Also Read: আপনি টাকা জমা দেয়ার মানি রিসিট পাবেন।

যদিও এই রিসিট দিয়ে অনেকে বাইক চালান কিন্তু এটা উচিত না এবং রিস্কি। সার্জেন্ট চাইলে আপনাকে হয়রানি করতে পারে। অবশ্যই খেয়াল করবেন যেন চেসিস নাম্বার ভুল না হয়। টাকা জমা দেয়ার পর আপনি আপনার ছবি ( ৩ কপি স্ট্যাম্প, ১ কপি পাসপোর্ট), জাতীয় পরিচয়পত্র, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি তাদের কাছে দিবেন বাকি কাজের জন্য। এবার মোটামুটি ১৪ কর্মদিবস লাগে বাইকের রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পেতে।

প্রথম অবস্থায় ট্যাক্স টোকেন আর একটা বড় A4 সাইজের কাগজ দিবে। মানি রিসিটের কাগজগুলো যত্ন করে রাখবেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট ও স্মার্ট কার্ডের কাজে ওই রিসিট লাগবে। নাম্বার পেলে ইনস্যুরেন্স করিয়ে নিবেন (অনেক সময় শো-রুম এটা করে দেয়) খরচ ২২৫-২৩০ টাকা। ব্যাস কাজ শেষ। এবার মনের আনন্দে আর নিরাপদে বাইক চালান।

new motorcycle engine tips

নতুন মোটরসাইকেল -  নিজে রেজিস্ট্রেশন করার ক্ষেত্রে

নিজে রেজিস্ট্রেশন করতে চাইলে প্রথমে কিছুদিন আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে আপনার বাইকের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র পাবার জন্য। সময়টা আনুমানিক ১২-১৫ দিন। অনেক শো-রুমে কাগজগুলো নেয়ার আগে ভ্যাট বাবদ ১৫০০ টাকা দিতে হয়। এরপর সব কাগজ পেলে একদিন বাইক সহ চলে যান আপনার জন্য নির্ধারিত বি.আর.টি.এ অফিসে। এক্ষেত্রে সকাল সকাল যাওয়া ভালো।

অফিসে গিয়ে প্রথমে টাকা জমা দেয়ার নির্ধারিত বুথ/স্থানে বাইকের চালানের এক কপি ফটোকপি সহ আপনার বাইকের জন্য নির্ধারিত টাকা জমা দিন। ১৫০সিসি বাইকের জন্য এ টাকার পরিমাণ ১২০৭৩ টাকা। অবশ্যই খেয়াল করবেন যেন চেসিস নাম্বার ভুল না হয়। এরপর অন্যান্য কাগজের সাথে টাকা জমা দেয়ার রিসিট যুক্ত করে চলে যান যে কোন মোটরযান পরিদর্শক এর রুমে। তিনি আপনার কাগজপত্র পরীক্ষা করে আপানার বাইকটি নিজে পরিদর্শনে যাবেন। বাইক দেখে কাগজে স্বাক্ষর করে আপনাকে অন্য কক্ষে কাগজগুলো জমা দিতে বলবে। এ সময় আপনাকে ১০০ টাকার নোটারি করা একটি স্ট্যাম্প যুক্ত করতে হবে।

নির্ধারিত কক্ষে সব জমা দিলে ভাগ্য ভালো থাকলে ওইদিন ই কিছুক্ষণ পর নাম্বার পেয়ে যাবেন, নাহলে একদিন বা দুইদিন পর গেলেই নাম্বার পেয়ে যাবেন। প্রথম অবস্থায় ট্যাক্স টোকেন আর একটা বড় A4 সাইজের কাগজ দিবে। মানি রিসিটের কাগজগুলো যত্ন করে রাখবেন। পরবর্তীতে ডিজিটাল নাম্বারপ্লেট ও স্মার্ট কার্ডের কাজে ওই রিসিট লাগবে। নাম্বার পেলে ইনস্যুরেন্স করিয়ে নিবেন। খরচ ২২৫-২৩০ টাকা। ব্যাস কাজ শেষ।

race fiero specification

নতুন মোটরসাইকেল – রাইডিং স্টাইল

একদমই নতুন একটি বাইক, কেনার পর একটু টানতে ইচ্ছা করবে এটাই স্বাভাবিক। বাইকের স্বার্থে প্রথম কিছুদিন একটু এই ইচ্ছা দমিয়ে রাখতে হবে। বাইকের ব্রেক ইন পিরিয়ডে ঠিক মত চালানোর উপর পরবর্তী পারফরমেন্স অনেকটাই নির্ভর করে। প্রথম ১০০০ কিলো চেষ্টা করবেন আরপিএম ৪০০০-৪৫০০ এর মধ্যে রেখে চালানোর। পরবর্তী ১০০০ কিলো অর্থাৎ ১০০১-২০০০ কিলো পর্যন্ত আরপিএম ৫৫০০ এর মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। ৬০০০ এর বেশি আরপিএমে এই সময় না চালানোই ভালো। প্রথম দুইবার ৫০০ কিলো পরপরই ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন। এরপর প্রতি ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনে ৮০০-১০০০ কিলো পর্যন্ত চালাতে পারবেন।

নতুন মোটরসাইকেলে জ্বালানী হিসেবে অকটেন ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন একটা ভালো পাম্প থেকে তেল নেবার এবং খোলা, ময়লা কিংবা ভেজাল তেল না নেয়ার (যদিও ভালো তেল পাওয়া কষ্টকর)। সম্ভব হলে সকাল বেলা চোক টেনে কিক দিয়ে স্টার্ট দিন। কিছুক্ষণ রেখে ইঞ্জিন একটু গরম হলে যাত্রা শুরু করুন।

kawasaki klx price in bangladesh

সবসময় বাইকের কাগজ, ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলমেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখুন। বাইকের কাগজ বাইকে না রেখে নিজের পকেটে/ কাছে রাখুন।

সর্বোপরি গতির দিকে খেয়াল না করে সাবধানে বাইক চালান। মনে রাখবেন, আপনার পরিবার আপনার অপেক্ষায় রয়েছে।

লেখার ভুল-ত্রুটি দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং, সর্বদা হেলমেট পড়ে বাইক রাইড করবেন।  ধন্যবাদ।

লিখেছেন: শাহ রেদওয়ান

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

TAILG Jidi

TAILG Jidi

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Revoo S01

Revoo S01

Price: 0.00

Vida Z

Vida Z

Price: 0.00

Hero Xtreme 250R

Hero Xtreme 250R

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes