কিওয়ে কে লাইট - বাংলাদেশে নতুন ক্রুজার বাইক!

This page was last updated on 28-Jul-2024 11:55pm , By Ashik Mahmud Bangla

সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচির অনেক পরিবর্তন ঘটছে। আধুনিক হচ্ছে মানুষের চিন্তা চেতনা। আর এর প্রভাবটা পরেছে বাইকের উপর। বর্তমান সময়ে আধুনিক ফিচারযুক্ত বাইকগুলো মানুষের পছন্দের তালিকায় সবার উপরে থাকে। যেই বাইকের ফিচার লুকস যত বেশি সুন্দর,বাইকারদের মাঝে সেই বাইকগুলোর চাহিদাও অনেক বেশি। আর মানুষের এই নিত্যনতুন চাহিদাগুলো মাথায় রেখে বাইক কোম্পানিগুলো তাদের নতুন নতুন ফিচারযুক্ত বাইক বাজারে আনছে।

 এরকমই একটি বাইক হচ্ছে কিওয়ে কে লাইটকিওয়ে কে লাইট নাভানা গ্রুপের আফতাব অটোমোবাইল লিমিটেড বাংলাদেশে অফিসিয়ালি কিওয়ের বাইকগুলো এনে থাকে। যারা তাদের আধুনিক ফিচার যুক্ত স্টাইলিশ বাইকের জন্য বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। কিওয়ে সর্ব প্রথম তাদের RKS 100 এবং RKS 125 বাইক দুটি দিয়ে বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করে। 

আর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই গুনগতমান, আধুনিক সব ফিচার এর কারনে বাইকটি বাংলাদেশের বাজারে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাইকারদের সেফটির দিক বিবেচনা করে তারা বাজারে নিয়ে আসে RKS 150 CBS. বাইকটি CBS ব্রেকিং যুক্ত। CBS হচ্ছে কম্বাইন্ড ব্রেকিং সিস্টেম। জনপ্রিয় চাইনিজ বাইকগুলোর মধ্যে এটি প্রথম বাইক যারা বাংলাদেশের বাজারে CBS ব্রেকিং সিস্টেম নিয়ে আসে। বাইকটি দেখতে আকর্ষনীয় হওয়ার কারনে এবং দাম অন্য বাইকের তুলনায় কম কিছুটা কম হওয়াতে এই বাইকটিও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

কিওয়ে স্টাইলিশ ক্রুজার বাইকের

শুধু কমিউটার মোটরবাইক এর জন্য নয়, কিওয়ে স্টাইলিশ ক্রুজার বাইকের জন্য ক্রুজার প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। এমনি একটি বাইক হচ্ছে কিওয়ে সুপার লাইট। 12bhp এবং 11nm টর্ক সমৃদ্ধ বিশাল আকৃতির কিওয়ে সুপার লাইট ১৫০ বাইকটি খুব অল্প সময়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করে। ক্রুজার এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছিলো সিংগেল সিলিন্ডার ৪ স্ট্রোক ২ ভালভ বিশিষ্ট ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটি এয়ার কুলড, যাতে রয়েছে সেল্ফ এবং কিক স্টার্টার, সাথে ৫ স্পীড গিয়ার বক্স।

কিওয়ে কে লাইট

সম্প্রতি তারা বাজারে এনেছে কিওয়ে কে লাইট বাইকটি। ক্রুজার ক্যাটাগরির ১৫০ সিসির এই বাইকটির লুকস বেশ অসাধারন, যেটি আপনার চলার পথকে আরো আনন্দময় করে তুলবে। কিওয়ে কে লাইট বাইকটি সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক,কি কি আছে এই বাইকটিতেঃ

ডিজিটাল মিটার

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের গোল আকৃতির একটি ডিজিটাল মিটার। যাতে রাইডারের প্রয়োজন অনুযায়ী সকল ফিচার যুক্ত করা হয়েছে।

কিওয়ে কে লাইট এর বিক্রয়মূল্য দেখতে এখানে ক্লিক করুন

কিওয়ে কে লাইট

ব্রেকিং

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে দুটি ডিস্ক ব্রেক। সামনে ২৮০ মিমি ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ২৪০ মিমি ডিস্ক ব্রেক। শক্তিশালী এই ব্রেকিং সিস্টেম খুব সহজেই গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি

বাইকটির ফুয়েল ট্যাংকটি তৈরি করা হয়েছে বেশ আধুনিক ডিজাইনে। ডিজাইনের পাশাপাশি ফুয়েল ট্যাংকটি ১১.৮ লিটার তেল ধারণ করতে সক্ষম ।

সাসপেনশন

বাইকটির সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে টেলিস্কোপিক ফর্ক সাসপেনশন, যেটি ঝাকুনি কমাতে ভালো ভূমিকা রাখবে। এবং পেছনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে কয়েল স্প্রিং অয়েল ডাম্পড সাসপেনশন। যেটি সম্পূর্ণ বাইককে একটি ক্লাসিক লুক দেয়ার পাশাপাশি দিবে আরামদায়ক রাইডিং এর অনুভূতি।

কিওয়ে কে লাইট

ডিজাইন

কিওয়ে তাদের ডিজাইন নিয়ে সব সময় বেশ সচেতন। তারা তাদের বাইকগুলোতে যুক্ত করে আধুনিক সব ফিচার এবং অসাধারণ ডিজাইন। কে লাইটের ক্ষেত্রেও তারা কোন গাফলতি করে নি। কে লাইট বাইকটির সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে গোলাকার হেডল্যাম্প। হেডল্যাম্প সাথে মিল রেখে দেয়া হয়েছে গোলাকৃতির মিটার প্যানেল। ফুয়েল ট্যাংকারের গঠন অনেকটা জনপ্রিয় বাইক হারলে ডেভিডসনের মতো। 

শুধু ডিজাইনেই থেমে নেই কিওয়ে, এতে যুক্ত করা হয়েছে টিয়ার ড্রপ প্রযুক্তি। এর টেইল ল্যাম্পটি অন্যান্য বাইকগুলো থেকে বেশ আলাদা, যেটিতে রয়েছে আধুনিকতার ছোয়া আর এই ল্যাম্পটি সংযুক্ত আছে টায়ার গার্ড এর সাথে । তবে সাইড ইন্ডিকেটর বাতিগুলো কিছুটা ছোট।

কালার

বাইকটির কালারের ক্ষেত্রে ডুয়েল টোন লক্ষ্য করা যায়।

চেসিস এবং ডাইমেনশন

কে লাইটের বডির গঠনটা স্থাপন করা হয়েছে বেসিনেট টাইপ বডি চেসিস এর উপর। এই বাইকটি লম্বায় ২১৪০ মিমি, উচ্চতায় ১০৫০ মিমি, চওড়ায় ৮০০ মিমি, গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৫০ মিমি এবং হুইলবেজ ১৪৪০ মিমি । রাইডারের জন্য সিট উচ্চতা রয়েছে ৭১৫ মিমি। কিওয়ে কে লাইট বাইকের ওজন ১৫৬ কেজি।

কিওয়ে কে লাইট

ইঞ্জিন

বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৯.৪ সিসির সিংগেল সিলিন্ডার ৪ স্ট্রোক ইঞ্জিন। ইঞ্জিনটিতে ২ ভালভ ব্যবহৃত হয়েছে । ইঞ্জিনের ম্যাক্স পাওয়ার ৮.৫ কিলোওয়াট@ ৮৫০০ আরপিএম এবং ম্যাক্স টর্ক ১০এনএম @ ৭৫০০ আরপিএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম। ইঞ্জিনটা কারবুরেটর সিস্টেম এবং ওয়েট মাল্টি প্লেট ক্লাচ। কম্প্রেশান রেশিও রয়েছে ৯:২:১ এবং সাথে সিডিআই ইগনিশন সিস্টেম।

গিয়ার

ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ৫ স্পীড গিয়ারবক্স।যা এই ক্রুজার বাইকটিকে দ্রুত গতিতে ছুটে চলতে সাহায্য করবে।

স্টার্ট সিস্টেম

অনেক সময় বাইক অনেকদিন ফেলে রাখলে, বা ব্যাটারি দুর্বল হয়ে গেলে সেল্ফ স্টার্ট নিতে বেশ ঝামেলা করে। কিন্তু এই বাইকটিতে সেল্ফ এবং কিক উভয় স্টাটার এ যুক্ত করা হয়েছে,যা আপনার ঝামেলাহীন পথচলা নিশ্চিত করবে।


কিওয়ে কে লাইট

  

হুইল

বাইকটির উভয় দিকেই এলয় রিম রয়েছে। সামনের রিমের সাইজ ১.৮৫X১৭ এবং পেছনের রিমের সাইজ ৩.০০X১৫ ।

টায়ার

এদিকে সামনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে ৯০/৯০ সাইজের টিউবলেস টায়ার এবং পেছনের দিকে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩০/৯০ সাইজের মোটা টিউবলেস টায়ার।

ব্যাটারি

১২ ভোল্ট ৬ এম্পিয়ার মেইন্টেনেন্স ফ্রি ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে সকল ইলেকট্রিক্যাল বিষয় পরিচালনা করার জন্য। বাইকটিতে কোন ইঞ্জিন কিল সুইচ ব্যবহার করা হয় নি।

কিওয়ে কে লাইট


 একজন বাইকার যখন স্টাইলিশ কোন ক্রুজার বাইক কিনার ইচ্ছা পোষন করে, তাদের চাহিদা মিটাতে কিওয়ে কে লাইট বাইকটি পুরোপুরি সক্ষম। আধুনিক সব ফিচার,ভালো বিল্ড কোয়ালিটি,কম্ফোর্টেবল সিটিং পজিশন সব কিছু মিলিয়ে বাইকটি ক্রুজার প্রেমীদের মনে একটা আলোড়ন সৃষ্টি করতে চলেছে। 

আশিক মাহমুদ