যে ৫ টি ভুলের কারনে আপনার নতুন বাইকের ক্ষতি হতে পারে

This page was last updated on 01-Aug-2024 07:51am , By Ashik Mahmud Bangla

নতুন বাইকের সাথে একজন বাইকারের কতটা আবেগ জড়িয়ে থাকে সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু আমাদের নিজেদের ছোট্ট কিছু ভুলের জন্য নতুন বাইকের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় সেই ক্ষতিটা আমরা হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে পারি আবার অনেক সময় দেখা যায় কিছুদিন পর সেগুলো আমরা বুঝতে পারি। নতুন বাইকের যত্ন প্রতিটা বাইকের জন্য খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ , না হলে আপনার নতুন বাইক থেকে আপনি অনেক রকম সমস্যা পেতে পারেন।

-বাইকের

যে ৫ টি ভুলের কারনে আপনার নতুন বাইকের ক্ষতি হতে পারে আজ আমি এই নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আপনি যদি এই ভুলগুলো না করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বাইক থেকে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।

যে ৫ টি ভুলের কারনে আপনার নতুন বাইকের ক্ষতি হতে পারে

১- নতুন বাইক অন্যের কাছে দিয়ে দিলেঃ

নতুন বাইক কিনলে যে জিনিসটা সবার সাথে ঘটে সেটা হচ্ছে পরিচিত মানুষ এসে বাইকের চাবি চায়, অনেক সময় না করার সুযোগ থাকে না। কিন্তু নতুন একটা বাইক ব্রেক ইন পিরিয়ড শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারও হাতে দেয়া উচিৎ না। আপনার বাইক আপনি যেভাবে চালাবেন অন্যের চালানো তেমন নাও হতে পারে। আর আপনি যদি ভুল করে এমন কারও হাতে বাইক দেন যিনি বাইক ভালোভাবে চালাতে পারে না, তাহলে অন্য কোন বিপদ ও হতে পারে। একটা জিনিস সব সময় মনে রাখবেন একটা বাইক নতুন থাকা অবস্থায় আপনি বাইকের যেমন যত্ন নিবেন আগামীর দিনগুলোতে সেটার উপর আপনার বাইকের  পারফরম্যান্স নির্ভর করবে। তাই " না " বলতে শিখুন।

-অয়েল

২- ইঞ্জিন অয়েলের দিকে খেয়াল না রাখলেঃ

নতুন বাইক কেনার পর অধিকাংশ বাইকে ইঞ্জিন অয়েল দেয়া থাকে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে এই জিনিসটা ভালোভাবে খেয়াল করে না , নতুন বাইক কিনে এই জিনিসটা চেক না করে বাইক নিয়ে বের হয়ে যান ঘুরতে। কিন্তু এই কাজটা করা উচিৎ না, নতুন বাইক কিনার পর বাইকে কতটুকু ইঞ্জিন অয়েল আছে সেটা অবশ্যই ভালোভাবে দেখে নিবেন। বাইকে যে ইঞ্জিন অয়েল দেয়া থাকে সেটা দিয়ে আমি কখনো ১০০ কি.মি বেশি বাইক চালাই নি। নতুন বাইকের জন্য ইঞ্জিন অয়েল অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ , তাই বাইকে সঠিক গ্রেডের ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন।

-ওয়ারিং

৩- বাইকের ওয়ারিং কাটলেঃ

নতুন বাইক কিনে আমরা সবাই বাইকের সিকিউরিটি নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকি। তাই বাইক কিনেই অনেকে সবার প্রথমে এলাকার কোন গ্যারেজে যায় বাইকে বিভিন্ন সিকিউরিটি এলার্ম বা অন্য কোন ডিভাইস ইনস্টল করতে। এই সময় দেখা যায় অনেক মেকানিক নতুন বাইকের ওয়ারিং কেটে ডিভাইস ইনস্টল করে, কিন্তু এই কাজটা কখনো করবেন না এতে করে আপনার বাইকে ইলেক্ট্রিকাল সমস্যা হতে পারে। এর ফলে যদি বড় কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আপনি কোন প্রকারের ওয়ারেন্টিও ক্লেইম করতে পারবেন না। তাই এই দিকটিতে বিশেষভাবে নজর দিন। বাইকে জিপিএস লাগালে সব সময় ভালো মানের জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করুন , যেগুলো আপনার বাইকের কোন ক্ষতি করবে না।

-সার্ভিসিং

৪- নতুন বাইক রাফ ইউজ করলেঃ

বর্তমান সময়ে তরুন অনেক বাইকারদের দেখা যায় বাইক শোরুম থেকে নামিয়েই তারা হাইওয়ে রাইড করতে চলে যান বন্ধুদের সাথে , সেখানে গিয়ে বিভিন্ন রকমের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে থাকেন। আমাদের দেশের সড়কে প্রতিযোগীতা অতিরিক্ত গতি কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। আর নতুন বাইক কিনেই আপনি যদি এই ধরনের কাজ করে থাকেন তাহলে আপনার বাইকের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে। একটা বাইক কিনেই বাইকটা রাফ ইউজ করা শুরু করবেন না। বাইকের প্রতি খেয়াল রাখুন বাইকও রাস্তায় আপনার খেয়াল রাখবে।

-যত্ন

৫- নতুন বাইকের সঠিক যত্ন না নিলেঃ

নতুন বাইকের যত্ন আছে, আপনি যদি সেটা না করেন তাহলে আপনার বাইকের ক্ষতি হতে পারে। বাইক কেনার পর প্রথম ২০০০ কি.মি একটা বাইকের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এই সময়টাতে বাইকের সঠিক যত্ন নিন। অনেকের ধারণা নতুন বাইক তার আবার কিসের সার্ভিসিং, কিন্তু এই কাজটা কখনো করবেন না। নতুন একটা বাইক কিনে একটা নিদিষ্ট সময় পর বাইকের সার্ভিসিং এর প্রয়োজন হয়। আপনার বাইকের সাথে যে ইউজার ম্যানুয়াল দেয়া থাকে সেটায় সব কিছু দেয়া থাকে। বাইক কিনে এই জিনিসটি ভালোভাবে পড়ে দেখুন , তাহলে নিজের বাইক সম্পর্কে অনেক কিছু আপনি জানতে পারবেন।

বাইক নতুন হউক অথবা পুরনো সব সময় নিজের বাইজের যত্ন নিন, আপনি আপনার বাইক থেকে বেশ ভালো ফিডব্যাক পাবেন।