Shares 2

মোটরবাইকের চাকা সম্পর্কে বিস্তারিত এবং চাকার ফুল এবং ফাইনাল মেইনটেইন্স

Last updated on 07-Jul-2024 , By Shuvo Bangla

মানুষ সাধারণত সমসময়ই ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে । ২০১৪ সালে বাইকবিডি টিম বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিভিন্ন ট্রাকে ট্যুরিং এ ব্যাস্ত ছিল । আর এই সময়ে বাইকবিডি টীম বাইকের সুক্ষাতিসুক্ষ অনেক বিষয় নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছে এবং অনেক কিছু এক্সপেরিয়েন্স করেছে যেটার সাথে মোটরবাইকের চাকা  টিউব সহ অনেক কিছু বিষয় জড়িত । তাই আমরা আজ টীম বাইকবিডির এই এক্সপেরিমেন্ট ও অন্যান্য বিষয়ের উপর ভিত্তি করে বাইকের টায়ার এর মেইনটেইন্স সম্পর্কে হালকা পাতলা একটু আলোচনা করব ।

bike wheels

আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের মার্কেটে অনেক ধরণের টিউব , টায়ার , চাকা ও রিম রয়েছে ।এদের ভেতর শ্রেণীবিভাগ করতে গেলে মূলত দুইটি বিষয় আসে , সেটা হল স্পোক ও এ্যালয় রিম এবং টিউবলেস ও টিউব টায়ার । সাধারণত টিউব টায়ারগুলো স্পোক রিমের সাথে ইউজ হয় এবং টিউবলেস টায়ারগুলো এ্যালয় রিমের সাথে ইউজ হয় । এছাড়া , ওয়েট ,ক্ষয় , দীর্ঘস্থায়ীত্ব বিভিন্ন দিক থেকে এদের আর কোন শ্রেণীবিভাগ নেই । আবার , কিছূ হাই পারফরমেন্সের বাইক এর সাথে আপনারা স্পোক হুইল ও টিউবলেস টায়ার এবং কিছূ লো পারফরমেন্সে সাথে আপনারা এ্যালয় রিমের সাথে টিউব টায়ার দেখতে পাবেন । যাই হোক , সেটা আমাদের আলোচনার বিষয় না । আমরা এখন এই টায়ার টিউব এর সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উ উপাত্ত নিয়ে আলোচনা করব ।

মোটরবাইক রিম :

আমরা সাধারণত দুই ধরণের রিম দেখে থাকি । সেটা হল সাধারণ স্পোক রিম এবং এ্যালয় রিম । এরা উভয়েই নিজেদের দিক থেকে নিজেদের কাজে অত্যান্ত সফল । এখানে আমরা খুব বড় ধরণের আলোচনায় যাব না কারণ , বাংলাদেশে এদের জন্য সব চুলস পাওয়া যায় না বা বাংলাদেশে সেই মাপের হাই পারফরমেন্স বাইক নেই । ফলে আমরা মূলত এদের বেসিক নিয়েই আলোচনা করব ।

স্পোক রিমগুলো সাধারণত বেশ শক্তিশালী স্টীল দ্বারা তৈরী করা হয় এবং এর সাথে বোল্ট ও ওয়াসার দ্বারার স্পোক যুক্ত করা থাকে । বোণ্ট ওয়াসার ও টিউবের ভেতর একটা পাতলা রাবারের বেল্ট থাকে যেটা টিউব ও এদের মধ্যে সংঘর্ষ প্রতিরোধ করে । স্পোক রিমগুলো এয়ার প্রুফভাবে তৈরী করা সম্ভব হয় না কারণ অনেক স্পোক থাকার কারণে স্পোকের সাথে রিমের সংযোগস্থলে অনেক ফুটা তৈরী হয় ফলে এর ভেতর দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে ।



এই কারণে স্পোক রিমের সাথে টিউব টায়ার ইউজ করা হয় , কারণ টিউবরেস টায়ার ইউজ করলে রিমের সাথে স্পোকের সংযোগ স্থলের লিকেজ দিয়ে সব হাওয়া বের হয়ে যায় । যদিও কিছু হাই পারফরমেন্স এবং উচুনিচু রাস্তায় রাইডিং এর জন্য বাইকে প্রতিটা স্পোকের সংযোগস্থল সীল করে এতে টিউবলেস টায়ার ইউজ করা হয় বিভিন্ন কারণে , কিন্তু এটা খুবই রেয়ার । সাধারণত প্রায় সব স্পোক রিমের সাথে টিউব টায়ার ইউজ করা হয় ।

অপরপক্ষে এ্যালয় রিম সাধারণত টিউবলেস টায়ারের সাথে ইউজ করা হয় । এই রিমে কোন লিক থাকে না এবং টায়ারের সাথে রিমের খুবই ভালভাবে সংযোগ করা থাকে । তাই এ্যালঙ রিমের সাথে টিউবলেস বা টিউব টায়ার দুটিই ইউজ করা যায় । এতে রিমের উপর কোন লিকের সম্ভাবনা নেই এবং প্রত্যেকটা রিমে ৫-১১ টা এ্যালয় স্পোক থেকে থাকে ।

কোনটা ভাল :

সাধারণত দেখা যায় স্পোক হুইল গুলো কম ওজন সম্পন্ন , কম দামের এবং বড় কোন ত্রুটি সহজেই মেরামত করা যায় । কিন্তু এর অসুবিধা হল , বেশীদিন ইউজ করার পর এর রিম ও স্পোকের জযেন্টে মরিচা পড়ে যায় , বা এটা টিউব বা টায়ার লিক করতে পারে ।

অপরদিকে এ্যঅল হুইলগুলো কম ওজনের , দাম অনেক বেশী , অনেক চাপ সহ্য করতে পারে কিন্তু এর রোধ কম এবং এর মেরামত করাটা অনেক ঝামেলা পূর্ণ । কিন্তু , এটা এর টায়ারকে এর সাথে খুব সুন্দরভাবে সারা জীবন আটকে রাখতে পারে । আপনি এ্যলয় রিমের সাথে টিউব লেস ও টিউব টায়ার দুটোই ইউজ করতে পারেন ।


এখন প্রশ্ন হল কোনটা ভাল এবং কোন দিক থেকে ভাল ? সাধারণ স্পোক হুইল গ্রাম্য বা দূর্গম এলাকার জন্য পারফেক্ট যেখানে চাকাকে অনেক প্রেশার নিতে হয় । সাধারণত খুব বাজে রাস্তা যেমন হতে পারে মাটির রাস্তা , যেখানে চাকাকে অনেক প্রেশার নিতে হয় এবং চাকা বা টিউব টায়ার ড্যামেজজ হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে সেখানে স্পোক হুইল বেস্ট । কারণ এটার কোন সমস্যা হলে সহজেই যেকোন স্থানে মেরামত করা যায় ।

আর এ্যালয় রিমের চাকা সাধারণত রেগুলার হাইওয়েতে যেখানে বাইকের ভাল পারফরমেন্স , স্পীড দরকার সেখানে এ্যালয় রিমের চাকা পারফেক্ট এবং যেখানে হাই স্পীডেও টিউবলেস টায়ারের টেকনোলজি আপনাকে সবোর্চ্চ সেফটি দেবে । এবং , বেশীরভাগ এ্যলয় রিমের চাকাযুক্ত বাইকগুলো হাইওয়েতে বাইককে অনেক ব্যালেন্সিং দেয় এবং ব্রেকিং এর ক্ষেত্রেও এটা অনেক পজেটিভ কাজ করে । সেজন্য , আপনারা দেখে থাকবেন যে বেশীরভাগ হাই পারফরমেন্স বাইকে বর্তমানে এ্রলয় রিমের টিউবলেস টায়ার ইউজ হয় । 

টিউব ও টিউবলেস :

সাধারণত আমরা দেখি বর্তমান সময়ে বেশীরভাগ বাইকেই টিউবলেস টায়ারের সাখে এ্যালয় হুইল ইউজ করা হয় । টিউবলেসে একটা টায়ার জাস্ট বাইকের রিমের সাথে ভালভাবে যুক্ত থাকে । টায়ারের ভেতর কোন টিউব থাকে না ।আর সাধারণ ম্পোক টায়ারের কথা তো আপনার আগে থেকেই জােনন । এখন আপনার মনে সাধারণভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে টিউবলেস টায়ার কেন টিউব টায়ারের থেকে ভাল এবং কেন আমাদের এটা ব্যাবহার করা বেশী ভাল । হ্যা , এর পেছনে অনেক কারণই আছে । হাই স্পীড বিভিন্ন ট্রাকে ও হাইওয়েতে টিউবলেস টায়ার সব দিকথেকে ভাল পারফরমেন্স দিতে পারে যেটা টিউব টায়ার দিতে পারবে না ।

 

চলুন , দেখে নিউ টিউবলেস টায়ারের সুবিধাগুলো কী কী ?

  • টায়ারের কোন দরকার নেই ।
  • টিউব রিম এবং স্পেকের জন্য কোন পরিচর্যা লাগে না ।
  • হাই স্পীডে চলার সময় বাইকের টায়ার ব্লাস্ট হবার কোন চান্স নেই ।
  • লিক মেরামত করা খুবই সহজ এবং লিক মেরামতের জন্য আপনার টায়ারকে রিম থেকে আলাদা করার কোন দরকারই পড়ে না ।
  • টায়ার এ লিক হলে নিজে থেকেই আপনি এটা মেরামত করতে পারবেন ।
  • টিউবলেস টায়ার মেরামতের কোন ঝামেলাই নেই । এটার মেইনটেইন্স খরচও কম ।

টায়ার মেরামত :

আপনারা নিশ্চই সাধারণ টিউব বা টায়ার মেরামত করার মেক্যানিজমটা জানেন । প্রথমে টায়ারটা খোলা হয় ।এরপর এর ভেতরের টিউব টেনে খোলা হয় । লিকটা খুজে বের করা হয় । এরপর সেখানে ঘষে একটু স্মুথ করা হয় । এরপর লিকেজের স্থানে একটা পটি লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং ভালভাবে সেটা টিউবের সাথে লাগিয়ে দেওয়া হয় । আর টায়ারের ক্ষেত্রে এর ভেতরে কোনকিছু বাইরের বস্তু রয়েছে কীনা সেটা চেক করা হয় । যাই হোক , যে পদ্ধতিতে সাধারণ টায়ার মেরামত করা হয় সেটাই ।টায়ারের ভেতরে কিছু পাউডারও স্প্রে করা হয় ।

 

অপরপক্ষে টিউবলেস টায়ার মেরামতের এরকম কোন ঝামেলা নেই । এটা আপনি অনেক ভাবেই করতে পারেন । যেমন , সিলিং জেল ইউজ করে , চাকা থেকে খুলে অথবা টায়ারের বাইরে থেকে এটা মেরামত করতে পারেন ।নীচে এ্যালয় হুইলের ডিটেইলস মেরামতের বিষয়টা তুলে ধরা হল ।

 সেলফ সিলিং মেথড :

এটা বর্তমানে বিভিন্ন ফরেন কান্ট্রিতে বেশী ব্যাবহৃত হয় । বাংলাদেশে এই টাইপের বাইক এর টায়ার এখনও এসে পারেনি । কিন্তু , কিছু কিছু কোম্পানী তাদের বাইকের সাথে সেলফ সিলিং টায়ার দিচ্ছে যেটা শুধু তাদের বাইকেই ইউজ করা যাবে । এই পদ্ধতিতে টায়ারের যে দেয়াল থাকে তার নীচে খুবই সফট একটা রাবারের লেয়ার থাকে যেটা টাযার লিক হবার সাথে সাথে ওই লিকের স্থানটা ব্লক করে দেয় । এটাই হল সেলফ সিলিং মেথড । আপনি আপনার সাধারণ টিউবলেস টায়ারের সাথেও এটা এনজয় করতে পারেন শুধু মাত্র আপনার লিক যদি ২ মি.মি এর কম হয় এবং এক্ষেত্রে আপনাকে টায়ারের প্রেশারের জন্য নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যাবহার করতে হবে টায়ারের লিক জ্যাম করার জন্য ।

টিউবলেস টায়ারে সেলফ সিলিন্ট মেথড এর টায়ার এখেইলএভল হচ্ছে কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে হবে এটা কোন পারমানেন্ট সমাধান না ।আপনি কোন লং ট্যুরে গেলে বা হাই স্পীডে থাকলে এটা আবার ও লিক করতে পারে । তাই সময় পেলে আপনার টায়ারের সাধারণ পদ্ধতিতে সারাই করাই ভাল।

সাধারণ সিলিং :

এটার সম্পর্কে আগেও অনেক বলা হয়েছে তাই নতুন করে বললাম না । একই সিস্টেমে টায়ার খুলে মেরামত করার সিস্টেম ই এটা । এটাই বর্তমানে সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য ও ভাল সিলিং সমাধান । তাই আপনি যখন ফ্রী থাকেন , তখন আপনার বাইকের টায়ারটি খুলে ভেতর থেকে ভলকানাইজিং বা ওই ধরণের কিছু করে টায়ারটা সারাই করে নিন ।

পাঞ্চ সিলিং :

এই পদ্ধতিতে আপনি আপনার টায়ারটি বাইরে থেকেই , মানে চাকা থেকে আলাদা না করে মেরামত করতে পারেন । আপনি জাস্ট যে বস্তুটির ফলে আপনার টায়ার ফুটো হয়ে গেছে সেটা টেনে বের করুন , স্থানটা ভালাবে পরিস্কার করুন এবং তারপর আঠালো একপ্রকার আঠা ওইখানে লাগিয়ে দিন । ব্যাস , মেরামত হয়ে গেল ।

কিন্তু , সত্যি কথা বলতে এটা আপনার টায়ার মেরামত করার কোন ভাল বা পারমানেন্ট ওয়ে না । এটা কোন খারাপ রাস্তায় বেশীক্ষণ বাইক রাইড করলে বা হাই স্পীডে গেলে এটা আবার লিক করতে পারে । তাই , শুধুমাত্র আর্জেন্ট কেসে এই পদ্ধতি ইউজ করুন ।

 কোন পদ্ধতি ভাল?

আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে সাধারণ পদ্ধতিতে টায়ার বা টিউব মেরামত করা একটু সময়সাপেক্ষ এবং বেশী ঝামেলা পূর্ণ । কিন্তু এটাই সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য মেথড সবক্ষেত্রে । এটার স্থায়ীত্বও অন্যান্য মেথডের থেকে অনেক বেশী । অন্যান্য পাঞ্চ সিলিং বা সেলফ সিলিং আপনার সবসময়ই আর্জেন্ট কন্ডিশনে ইউজ করা উচিৎ । না হলে ওই লিকেজের স্থান থেকে হাই স্পীডে টায়ার বেশী গরম হয়ে গেলে বা টায়ারের প্রেশার বেশী থাকলে আবার বড় ধরণের লিক করে একটা দূঘটনা ঘটাতে পারে । তাই , সময় পেলেই সাধারণ পদ্ধতিতে টায়ারটি মেরামত করে নিতে চেষ্টা করুন ।

রিকমেন্ডেড PSI :

অনেকে টায়ারের পেশার নিয়ে চিন্তায় থাকেন । ভাবেন যে , যে প্রেশার আছে সেটা কী বাইকের জন্য পারফেক্ট , নাকি আরও একটু প্রেশার দরকার । বাইকের ম্যানুয়াল , বা টায়ারের ওয়ালে বা চেইন কভারে যে রিকমেন্ডেড পিএসআই লেখা থাকে , রাইডাররা এটা বেমালুম ভুলে যায় ।

যদি কেউ মনে করে এই প্রেশার তার বাইকের জন্য উপযুক্ত না , আরও বেশী প্রেশার লাগবে তবে সে চরম বোকামী করল । কারণ , বেশী প্রেশার হয়ত আপনাকে বেশী এক্সেলেরেশন বা বেশঅ স্পীড দেবে , কিন্তু , এটা আপনার সাসপেনশন সিস্টেমে মারাত্মক ক্ষতি করে দেবে । এর ফলে আপনার টায়ারের বাইরের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে এবং ব্রেকিংও ঠিকমত কাজ না করতে পারে ।

তাই , রিকমেন্ডেড পিএসআই অনুযায়ী আপনার টায়ারের প্রেশার রাখুন ।

টায়ার রিপ্লেসমেন্ট :

এটা বাইকের ক্ষেত্রে অনিক বেশী গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । আমরা জানি প্রত্যেক বস্তুই ক্ষয় হয় এবং তার ক্ষয় হবার একটা লিমিট পর্যন্ত এটা ইউজ করা উচিৎ । কিন্তু , এটা অনেকে ভুলে যায় , টায়ারের লিমিট পার হয়ে যাবার পরও অনেকে টায়ার রিপ্লেস করে না । এর ফলে মারাত্মক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে । তাই সময় মত টায়ার চেঞ্জ করতে হবে । আর বাইকের টায়ার বিভিন্ন রাস্তায় চলতে চলতে অনেক ক্ষয় হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে টায়ারের দেয়ালে ছোটখাট গর্তও তৈরী হয় ।আর প্রত্যেক বস্তুর জীবন কাল বলে একটা কথা থাকে । তারপর ওই বস্তু ইউজ করা নিরাপদ থাকে না ।

তাই প্রত্যেক বাইক , ইউজ করা হোক আর না হোক , ৪ বছর পরপর তার টায়ার চেঞ্জ করা উচিৎ।

কী করতে হবে :

টায়ার নিয়ে অনেক কথাই বলা হল । এখন কিছু বেসিক কথা বলি সেটা সবার সনে রাখা উচিৎ । সেগুলো নীচে তুলে ধরা হয় :

  • আপনার বাইক যদি স্পোক রিমের হয় তাহলে রিমের উপর মাঝে মাঝে সিন্থেটিক প্রাইমার কালার এবং তারপর সিন্থেটিক অথবা এনামেল পেইন্ট দিয়ে রং করান । এর ফলে আপনার বাইকের চাকার রিম অনেক দিন ভাল থাকবে এবং মরিচা পড়া টাইপের কোন ঝামেলা হবে না ।
  • আপনার বাইকের এ্যলয় হুইলের রিমের ক্ষেত্রেও একই কালার লেয়ার ইউজ করুন ।
  • আপনার বাইকের চাকায় সাধারণ বাতাসের পরিবর্তে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যাবহার করুন যেটা আপনাকে সেলফ সিলিংএ জ্যাস করতে সুবিধা দেবে এবং নাইট্রোজেন বাতাসের থেকে তাপে কম প্রসারিত হয় । ফলে টায়ার অতিরিক্ত গরম হলেও খুব একটা সমস্যা হয় না ।
  • রিম বেল্ট নিয়মিত চেক করুন এবং আপনার চাকারটি যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে একই নতুন বেল্ট দিয়ে এটা প্রতিস্থাপন করুন । আর একটু চওড়া বেল্ট ইউজের চেষ্টা করুন ।
  • লিক ২ মি.মি এর বেমী হবার পরেও যদি আপনি এটা পাঞ্চিং মেথডে মেরামত করেন , তাহলে সময় পেলেই এটার ভেতর থেকে মেরামত করিয়ে নিন ।
  • আপনার লং জার্নির সময় সাথে এক্সট্রা টিউব রাখুন যদিও বা এটা টিউবলেস টায়ার হয় । কারণ , এটা বপিদের সময় চরম হেল্প করে ।
  • অফ ট্রাকে রাইডেং এর ক্ষেত্রে টায়ার রিপেয়ারিং কিটগুলো নিজের কাছে রাখুন ।

কী করা যাবে না ?

  • টিউব টায়ারে যদি লিক হয় , তাহলে সেলঢ সিলিং জেল ইউজ করবেন না । কারণ , টিউব যদি পাতলা হয় এবং লিক এর পরিমাণ যদি ২মি.মি এর বেশী হয় তাহলে এটা বেশীক্ষণ স্থায়ী নাও হতে পারে এবং একটা দূর্ঘটনা ঘটাতে পারে ।
  • লং ট্যুরের ক্ষেত্রে সেলফ সিলিং মেথড এর উপর ভরসা করবেন না ।
  • টিউব টায়ারের রিমের ক্ষেত্রে টিউবলেস মেক্যানিজম ইউজ করবেন না । কারণ , এটা খুব বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং রোডে এক্সিডেন্ট ঘটাতে পারে ।
  • শুধু বাইকের টিউব খুলে ফেলে টিউবলেস টায়ার তৈরীর চেষ্ট করবেন না । কারণ , এটা মোটেই ভাল কোন পদ্ধতি না । আপনার টিউবলেস টায়ার দরকার হলে বাজার থেকে টিউবলেস টায়ার কিনে এনে লাগিয়ে নিতে পারেন । আর টিউব খুলে আপনি টিউবলেস টায়ারের মত পারফরমেন্স পাবেন না ।
  • চাকাতে ওভার এয়ার প্রেশার এর বিষয়টা মাথায় রাখবেন ।
  • এ্যালয় রিমগুলো সবস্থানে মেরামত করবেন না । দরকার হলে এটা রিপ্লেস করে নিন ।
  • চাকা , রিম এবং টায়ার টিউব নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কিছু করার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিন ।

নিশ্চই এতক্ষণে আপনারা টায়ার টিউব ও চাকা নিয়ে আলোচনা শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন । আশা করি এটা আপনাদের জন্য হেল্পফুল হবে । সবসময় মনে রাখবেন , টায়ার টিউব ও চাকা বাইকের অত্যান্ত সেনসেটিভ ও পাওয়ারফুল পার্টস ।

লিখেছেন

-সালেহ মোঃ হাসান 

Published by Shuvo Bangla