Shares 2
TVS Apache RTR160 এর টপ স্পিড ১৩৪ - মুমিত হাসান
Last updated on 28-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমার নাম মুমিত হাসান । আমি রাজশাহী শহরে বসবাস করি । বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি TVS Apache RTR160 বাইকটি। এই বাইকটি আমার জীবনের প্রথম বাইক। গত দুই বছর ধরে আমি এই বাইকটি ব্যবহার করছি এবং ২৪০০০ কিলোমিটার চালিয়েছি।
আজ আমি আমার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো এই বাইকটি সম্পর্কে । আমি বাইক নিয়ে ট্যুর দিতে পছন্দ করি তাই এই বাইক নিয়েই আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে গিয়েছি এবং বর্তমানেও ছুটির দিনগুলোতে হুট করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে চলে যাই ।
তাই আমি বাইক ও বাইকিং কে অনেক পছন্দ করি। আমি যখন TVS Apache RTR160 বাইকটি কেনার পরিকল্পনা করছিলাম তখন বেশ কিছু বাইক দেখেছি কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে অল্প টাকার মধ্যে ভালো মাইলেজ ও ভালো মানের ইঞ্জিন কোয়ালিটির মধ্যে Apache RTR 160cc বাইকটি ভালো এই চিন্তাভাবনা করে আমি বাইকটি কিনেছিলাম।
Click To See TVS Apache RTR160 Price In Bangladesh
ভালো মাইলেজের কথা এইজন্য চিন্তা করছিলাম কারন আমাকে কাজের তাগিদে প্রতিনিয়ত এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করা লাগে। আমার বাসা রাজশাহীতে হওয়ায় রাজশাহীর নামকরা TVS শোরুম সাকুরা থেকে আমি এই বাইকটি কিনেছিলাম এবং তখন এই বাইকটি বাজার মূল্য ছিল ১,৭৪,৯০০/- টাকা।
যেদিন আমি বাইক কিনেছিলাম সেদিন আমার জন্য খুব স্পেশাল দিন ছিল এবং আমার সাথে গিয়েছিল আমার বাবা মা এবং আমার ছোটবেলার এক বন্ধু। TVS Apache RTR160 বাইকের বেশকিছু কালার রয়েছে এবং প্রত্যেকটি কালার মার্জিত এবং সুন্দর হওয়ায় বুঝতে পারছিলাম না কোন কালারটি নেব।
Also Read: R.S.S Motors in Vela Nogar, Norshingdi, Dhaka
পরে আমার বাবার পরামর্শে ম্যাট ইয়োলো কালারটি আমি কিনে ফেলি। শোরুমে পেপার্স ও বাইকটি পুরোপুরি রেডি হওয়ার পর প্রথম যখন রাইড দিয়েছিলাম তখন আবার অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছিল খুব ভাল লাগছিল।
এই Apache RTR 160cc বাইকটিতে বেশ কিছু ফিচার রয়েছে তার মধ্যে আমার সবথেকে পছন্দের ফিচারটি হলো বাইকের চাবি দেওয়ার সাথে সাথে আরপিএম মিটার ওঠানামা করে। বাইকের সিটিং পসিশন হ্যান্ডেল বার আমার কাছে খুব ভালো লাগে।
তাছাড়াও হ্যান্ডেলের সুইচ গুলো ভালো মানের। আমার যতদূর মনে পড়ে বাইকটি কেনার পরে দশ থেকে বারো বার আমি সাকুরা শো-রুম থেকে সার্ভিসিং করিয়েছি আর যখন রাজশাহীর বাইরে বিভিন্ন টুরে গিয়েছি তখন আশেপাশের TVS কোম্পানির শো-রুম সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস করিয়েছি।
Click To See All TVS Bike In Bangladesh
এ বাইকটিতে সাধারণত কোনো সমস্যা দেখা যায় না যদি মেইনটেনেন্স ঠিক থাকে তো। প্রথম প্রথম বাইকটির ব্রেকিং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে আমি ৩৮ থেকে ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছিলাম । কিন্তু ২৫০০ কিলোমিটার পরে ৪০ থেকে ৪২ কিলোমিটার মাইলেজ পেয়েছি। এটা আমার জন্য সত্যিই খুব সন্তোষজনক মাইলেজ।
প্রতিটি বাইকের ভালো পারফর্মেন্স পেতে হলে ভালো মেনটেনেন্স প্রয়োজন তাই আমিও আমার বাইকটি ভালো মেইনটেনেন্স করার চেষ্টা করতাম। যেমন ইঞ্জিন অয়েল সময়মতো পরিবর্তন, চেইনে গিয়ার অয়েল দেওয়া, মাঝেমধ্যেই বাইক ওয়াশ করা ইত্যাদি।
শুরু থেকে আমি TVS TRU4 10W30 Semi Synthetic ইঞ্জিন অয়েল ইউজ করি। আমি কখনোই কোনো প্রকার মডিফাই করি নাই। কিন্তু প্রয়োজনে অয়েল ফিল্টার, প্লাগ ইত্যাদি প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করেছি।
বাইকটির গতি নিয়ে আমি একদম সন্তুষ্ট এই TVS Apache RTR160 বাইকটি আমি সতর্কতার সাথে হেলমেট ও সেফটি গিয়ার ব্যবহার করে সর্বোচ্চ গতি ১৩৪ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা তুলেছি। বাইকের সামনে এবং পিছনের দেয়া সাসপেনশন অন রোডে এবং অফ রোডে অনেক কমফোর্টেবল রাইড করতে সাহায্য করে। এতে সামনের ৯০-৯০ সেকশন পিছনে ৮০-১১০ সেকশন টায়ার থাকায় আমি কর্নারিং সাপোর্ট কম পেতাম।
এতে ব্যবহার করা সিগনাল লাইট, পার্কিং লাইট, ব্রেক লাইট অনেক পাওয়ারফুল হওয়ায় অনেক দুর থেকে যেকোন যানের নজরে আসে এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম হয়। এই বাইকটি নিয়ে আমি রাজশাহী থেকে ঢাকা বেশ কয়েকবার গিয়েছি এবং আমার কাছে রাইড করার সময় তেমন খারাপ মনে হয়নি।
TVS Apache RTR160 বাইকটির কিছু ভালো দিক হলো –
- সাসপেনশন
- মাইলেজ
- লুক
- সিটিং পজিশন
- ইঞ্জিন পাওয়ার
- রেডি পিক-আপ
- পিলিয়ন সিট কমফোর্টেবল
TVS Apache RTR160 বাইকটির কিছু খারাপ দিক হলো –
- হেড- লাইট এর AC সিস্টেম এর জন্য মোড়ে রাস্তা দেখতে অসুবিধা হয়
- ব্রেকিং কমফোর্ট কম
- ভাইব্রেশন করে বেশী
এই বাইকটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করে আবার অনেকেই এই বাইকটি খুব পছন্দ করে। সব বাইকেরই ভালো এবং খারাপ দিক থাকে। তবে TVS Apache RTR160 চালানোর সময় খুব সতর্ক থাকা লাগে। কারণ এর রেডি পিকাপ এর তুলনায় ব্রেকিং ভালো না। আর কন্ট্রোল বাইকারের উপর নির্ভর করে। সব সময় হেলমেট পরে বাইক রাইড করবেন। সেফটি গিয়ার থাকলে খুব ভালো। ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মুমিত হাসান
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla