Shares 2

TVS Apache RTR 160 4V ১১০০০ কিলোমিটার রাইড - মেজবাহ উদ্দিন

Last updated on 25-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla

আমি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন । আমার বর্তমান ব্যবহার করা বাইকের নাম TVS Apache RTR 160 4V । আমার বাইকটি নিয়ে ১১,০০০ কিলোমিটার রাইড করার কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব এখন আপনাদের সাথে।

TVS Apache RTR 160 4V ১১০০০ কি.মি. রাইড অভিজ্ঞতা

tvs apache rtr 160 4v review

 

আমি কুমিল্লা জেলার লাকসাম এ থাকি। আমার জীবনে নিজের প্রথম বাইক হচ্ছে TVS Apache RTR 160 4V। বাইকের প্রতি আগ্রহ শুরু হলো এলাকার কিছু বড় ভাইকে দেখে। আর এখন আমি আমার বাইককে অনেক বেশি পছন্দ করি । সব বাইকের কিছু না কিছু সমস্যা থাকে । আমি Apache RTR বাইক পছন্দ করতাম । মার্কেটে যখন TVS Apache RTR 160 4V বাইকটি লঞ্চ হয় তখন বাইকটি অনেক ভালো লাগে আর 160cc হওয়াতে আরো বেশি পছন্দ হয় । বাইকটির থ্রটল রেস্পন্স আমার খুব ভালো লাগে । আমি যখন Apache RTR 160 4V ডুয়েল ডিস্ক বাইকটি ক্রয় করি তখন বাইকটির বাজার মূল্য ছিল ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা । বাইকটি আমি মদিনা টিভিএস (লাকসাম) থেকে ক্রয় করেছিলাম।

আমার ইচ্ছে ছিল দুই চাকা দিয়ে বাংলাদেশ এর ৬৪ জেলা ঘুরে দেখব। আর আমার স্ত্রীর 4V বাইকটি পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল, তাই 4V কিনেই ফেল্লাম। আমি এই আনন্দের সময়টা কখনো ভুলতে পারবোনা। নিজের কিছু জমানো টাকা সাথে আব্বুর রিটায়ারমেন্টের টাকা দিয়ে বাইকটি ক্রয় করি।

4v-headlight (

সবাইকে ট্যুর করতে দেখে আমার ও ইচ্ছে হয় বাংলাদেশ ঘুড়ে দেখার আর আল্লাহ্র সৃষ্টিকে উপলব্ধি করার। আমার ইচ্ছে একজন ভালো বাইকার হওয়া, বাইকারদের হেল্প করা । আমি আমার বাইকটি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট টিভিএস এর অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টার থেকে সার্ভিস করে থাকি। তাদের সার্ভিসিং খুবই ভালো। আমি এখন পর্যন্ত শো-রুম থেকে ৪টি ফ্রি সার্ভিস করিয়েছি। নতুন অবস্থায় মাইলেজ ৩৩-৩৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার পেয়েছি । কিন্তু সার্ভিস করানোর পরে আমি ৩৮-৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার পাচ্ছি। আমি প্রতি সপ্তাহে একবার করে বাইক ওয়াশ করি । চেইন লুব, ব্যাটারি চেক, প্লাগ ক্লিন ইত্যাদি মেইন্টেনেন্স করে থাকি । আমার বাইকে আমি Motul 10w30 7100 Synthetic ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করি । টপ স্পিড এর প্রতি আমার আগ্রহ নেই । তবে একবার চেষ্টা করেছিলাম, সেখানে ১২৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা স্পীড পেয়েছি। 

rtr 160 4v front tire

আমি আমার বাইকে A7 ফগ লাইট ইন্সটল করেছি এবং ট্যাস লক লাগিয়েছি। ক্রাশ গার্ড একটা লাগিয়েছি। এই অল্প কিছু মডিফাই করেছি আমার বাইকে। 

বাইকটির কিছু ভালো দিক –

  • লুকস
  • স্পোর্টস বাইক
  • কন্ট্রোলিং
  • এক্সেলেরেশান
  • কম্ফোর্ট

বাইকটির কিছু খারাপ দিক –

  • টায়ার গ্রিপ ভালো না
  • মাইলেজ কম দেয়
  • বাইকে টার্নিং রেডিয়াস বেশি
  • ভাইব্রেশন আছে তবে ১০০+ এর পরে
  • গিয়ার সিফট হার্ড

rtr user review 

আমি অনেক লং ট্যুর করেছি । আমি এক দিনে ৩৮০+ কিলোমিটার রাইড করেছি । বাইক নিয়ে লং রাইড সবাই পছন্দ করেনা তবে আমার বেশ ভালো লাগে । ট্যুরের আগে আমি আমার বাইক চেক করে নেই। একটাই কথা নিরাপদের কথা ভেবে সেফটি গিয়ার পরবেন এবং সবাই সাবধানে রাইড করবেন । ধন্যবাদ।

লিখেছেনঃ মোঃ মেছবাহ উদ্দিন

আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে

Published by Raihan Opu Bangla