Shares 2
Lifan KPR 165R EFI NBF ২০,০০০ কিলোমিটার রাইড - মুন্না
Last updated on 28-Jul-2024 , By Raihan Opu Bangla
আমি মোঃ লুৎফর রহমান মুন্না । আমি পুরান ঢাকায় বসবাস করি । বর্তমানে আমি আমার ৩ নাম্বার বাইক Lifan KPR 165R EFI NBF ব্যবহার করতেছি । বাইকটি আমি বর্তমানে ২০ হাজার কিলোমিটার রাইড করেছি । এই রাইডের কিছু অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি ।
Lifan KPR 165R EFI NBF ও বাইক নিয়ে আমার কিছু স্মৃতি
Lifan KPR 165R EFI NBF বাইকটি আমার ৩ নাম্বার বাইক । এর আগেও আমি ২ টি লিফান বাইক ব্যবহার করতাম । তবে আগের বাইক দুইটি ছিল Lifan KPR 150 । যখন ১৬৫ নতুন ভার্সন আসলো তখন এই বাইকটি নিলাম । এবং লং টাইম ধরে এই বাইকটি ব্যবহার করছি ।
আজ আপনাদের এই বাইকটির ব্যাপারে আমার ব্যাবহার করা অভিজ্ঞতা থেকে কিছু ভালো খারাপ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করবো । আমার বন্ধু সাব্বির আমাকে ওর বাইক দিয়ে বাইক চালানো শিখিয়েছে ।
Click To See Lifan KPR 165R EFI NBF Price In Bangladesh
আমার বাইকটি পছন্দ করার সব থেকে বড় কারন হচ্ছে বাজেট । এই বাজেটে এত ভালো একটি স্পোর্টস সেগমেন্টে এর বাইক আর আছে বলে আমি মনে করিনা । হয়তো আরো ভালো বাইক আসবে এই প্রাইজ রেঞ্জ এর ভিতরে তবে বর্তমান বাজারে ও এই বাজেটের প্রেক্ষাপটে Lifan KPR ই সেরা তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
বাইকটি আমি ইস্কাটন নিউ বাইক সেন্টার থেকে রেজিস্ট্রেশন সহ ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় কিনেছিলাম ।
বাইকের প্রতি অন্যরকম একটা আকর্ষণ কাজ করে । বাইক আমাকে স্বাধীনতা দেয় । ইচ্ছে মত যখন খুশি যেখানে খুশি চলে যেতে পারি। অন্য যে কোন পরিবহনের থেকে বাইক আমাকে সব থেকে কম সময়ে আমার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারে । এবং বাইক এ যাতায়াত করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে ।
বাইকটিতে আছে একটি ১৬৫ সিসি লিকুয়েড কুল ইঞ্জিন । খুব পাওয়ারফুল একটি ইঞ্জিন । ৩০০ এমএম ডিক্স ব্রেক, ২৪০ এমএম রেয়ার ডিক্স। একটি স্পোর্টস সেগমেন্ট এর বাইক। ৬টি গিয়ার। প্রজেকশন হেডলাইট ।
Click To See All Lifan Bike Price In Bangladesh
বাইকটি আমি সবসময় রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ এর মিরপুর ১০ এর অফিসিয়াল সার্ভিস সেন্টার থেকে নিয়মিত সার্ভিস গুলো করাই । রাসেল ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিটি বাইকের সাথে ২ বছর অথবা ২০ হাজার কিলোমিটার ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি এবং ৮ টি ফ্রি সার্ভিস দিয়ে থাকে ।
আমি সব ফ্রি সার্ভিস গুলো সঠিক সময়ে করেছি । এখন আমার ফ্রি সার্ভিস এবং ইঞ্জিন ওয়ারেন্টি শেষ । আমি এখন সার্ভিস সেন্টার থেকে পেইড সার্ভিস করে থাকি ।
আমার বাইকটির এখন পর্যন্ত ইঞ্জিনের কোন কাজ করানোর প্রয়োজন হয়নি । যদিও আমি প্রতিদিন কেরানিগঞ্জ থেকে পুরান ঢাকায় আসি প্রচুর জ্যাম এর মধ্যে তবুও আমার বাইকের পারফর্মেন্স খুব ভালো দিচ্ছে । বাইকটি অতিরিক্ত জ্যামে প্রচুর গরম হয় । এর কারন বাইকটির ট্যাংক সম্পূর্ন লোহার আর রেডিয়েটরটি ট্যাংক এর সাথে লাগানো ।
এই কারণে বাইকটির ট্যাংক অতিরিক্ত জ্যামে হিট হয় । তবে ফাকা রাস্তায় অথবা হাইওয়েতে এই ইস্যু নেই । বাইকটির প্রকৃত ফিল পাই যখন বাইকটি হাইওয়েতে রাইড করি । এর থ্রটল রেস্পন্স আমাকে মুগ্ধ করে । ০-১০০ এর স্পিডে আমাকে কখনো ভাবতে হয়নি ।
বাইকটিতে যেমন দ্রুত স্পিড উঠে তেমন দ্রুত ব্রেক হয় । বাইকটির কন্ট্রোলিং খুবই ভালো যার কারণে টপ স্পিডে আমি যথেষ্ট কনফিডেন্স পাই ।
আরও পড়ুনঃ Lifan KPR165R NBF2 টেস্ট রাইড রিভিউ – টীম বাইকবিডি
বাইকটির ক্লাচ গিয়ার সিফটিং কিছুটা হার্ড । তবে নতুন NBF2 মডেলে এই ইস্যু সমাধান করে আনা হয়েছে । তবে বাইকটির টার্নিং রেডিয়াস ইস্যু সমাধান করা হয়নি । বাইকটি থামানো অবস্থায় ঘুরাতে অথবা ইউ টার্ন নিতে একটু বেশি যায়গার প্রয়োজন হয় । তবে রানিং এ সমস্যা হয়না ।
যদিও বাইকটি এফআই ইঞ্জিন তবুও আমি বাইকটিতে ৩০ কিলোমিটার প্রতি লিটার এর মত মাইলেজ পাই । কারন আমার বেশি টাইম পুরান ঢাকায় রাইড করতে হয় । মাইলেজ কম হওয়ার এটা হয়তোবা কারন । আমি সৌখিন একজন মানুষ । সবসময় চেষ্টা করি আমার বাইকটিকে নিজের মত করে আলাদা করে সাজাতে ।
তাই আমি বেশ কয়েকবার বাইকটিকে স্টিকার মডিফাই করেছি। আমার ইচ্ছে মত আমি আমার বাইকোটিকে স্টিকার মডিফাই করি । বর্তমানে আমার বাইকটিতে ক্রোম কালারের স্টিকার মডিফাই করেছি । বাইকটি দিয়ে আমি ৩০০ ফিট হাইওয়েতে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা পর্যন্ত স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছি ।
বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- রেডি পিকাপ
- স্পোর্টস বাইক
- লিকুইড কুল ইঞ্জিন
- ব্রেকিং
- কম্ফোর্ট
বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- টার্নিং রেডিয়াস
- হিটিং ইস্যু
- দ্রুত চেইন লুজ হয়
- ব্যাক সাইডের লুকস ভালো লাগেনি
- মাইলেজ কম
আসলে ব্যবসার ব্যস্ততায় খুব বেশি বাইক নিয়ে লং ট্যুর করা হয়না । ঢাকার মধ্যেই চালানো হয় বেশি। বর্তমান সময়ের কথা বিবেচনা করে ২ লক্ষ টাকার মধ্যে Lifan KPR 165R EFI NBF বাইকটিকে আমি বর্তমান বাজেটের সেরা বাইক বলবো।
আপনি যদি কম বাজেটে ভালো একটি বাইক কিনতে চান তবে Lifan KPR 165R EFI NBF আপনার জন্য বেস্ট একটি বাইক হবে । চায়না বেশি দিন যায়না এই ধারনা বদলাতে হলে একবার কেপিয়ার বাইক রাইড করে দেখতে পারেন । ধন্যবাদ।
লিখেছেনঃ মোঃ লুৎফর রহমান মুন্না
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Raihan Opu Bangla