Shares 2
Lifan KPR 165R ২২০০০ কিলোমিটার রাইড রিভিউ - আরাফাত
Last updated on 29-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
Lifan KPR 165R বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- সম্পূর্ণ স্পোর্টস লুক এবং কমফোর্ট সিটিং পজিশনের একটি বাইক।
- ৬টি গিয়ার ট্রান্সমিশন থাকার কারনে বাইকটি সর্বোচ্চ গতিতে থাকলেও ইঞ্জিন ভাইব্রেশনের অনুভুতি একদমই কম।
- পারফেক্ট ওয়েট ডিস্ট্রিবিউশনের কারনে ভারী বাতাসেও হাইওয়েতে যথেষ্ট সমানভাবে বাইকটি রাইড করা যায়।
- মাইলেজ, হাইওয়েতে মোটামুটি ৪২ প্রতি লিটার এবং সিটি রাইডে ৩৬ প্রতি লিটার পাওয়া যায়।
- হেডলাইট যথেষ্ট আলো সরবরাহ করে যা রাতে রাইডের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী।
Lifan KPR 165R বাইকটির কিছু খারাপ দিক-
- ক্লাচ বেশ শক্ত হওয়ার কারণে সিটি রাইডে জ্যামে মোটামুটি হাতের কব্জি ব্যাথা হওয়ার উপক্রম হয়।
- পিছনের মনোশক সাসপেনশন কিছুটা শক্ত হওয়ার কারনে অফরোডিং এবং স্পীড ব্রেকারের ক্ষেত্রে বাইকের ঝাঁকুনিটা বেশ গায়ে লাগার মতই।
- নতুন থেকে শুরু করে প্রায় ১০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাইকটির ইঞ্জিন হিটিং ইস্যু মোটামুটি লক্ষজনক।
- বাইকের ওজন এবং গতি অনুসারে ব্রেকিং সিস্টেম অনেকটাই হতাস করার মতো।
- ড্রাইভ চেইনের কোয়ালিটি কিছুটা সাধারন মানের, সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার চালানো সম্ভব।
এবার আসি বাইক রাইডিং ভালো লাগার কারনগুলো -
- বাইক নিয়ে খুব সহজেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো যায়।
- দুর্গম এলাকাতেও খানিকটা সহজেই যাতায়াত করা যায় যা অন্য কোনো যানবাহনে সম্ভব হয় না।
- যথেষ্ট সময় বাঁচানো সম্ভব হয়।
বাইকিং কমিউনিটি ভালো লাগার কিছু কারন -
- বাইকার ভাইয়েরা মোটামুটি সকলেই সকলের প্রতি সহনশীল এবং পরস্পরের প্রতি আগ্রহী।
- এক জেলা থেকে অন্য যে কোন জায়গায় গেলে একজন বাইকারের জন্য অন্য বাইকারের আতিথেয়তা বেশ মনকাড়ার মতো।
- বাইকিং কমিউনিটির কারনে অপরিচিত একটি ব্যক্তিও আজ আমাদের ভাই ভাই সম্পর্ক হয়ে ওঠে।
লিখেছেনঃ মোঃ আরাফাত ইসলাম
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।
T
Published by Shuvo Bangla