Shares 2

BRTA । বাইক কিনতে লাগবে Driving Licence

Last updated on 30-Jul-2024 , By Ashik Mahmud Bangla

রাস্তায় চলাচল করা মোটরসাইকেল ও ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী রাইডারদের মধ্যে যে একটা গ্যাপ রয়েছে, সেটা কমিয়ে আনার জন্য এখন মোটরসাইকেল কিনতে গেলে ড্রাইভিং লাইসেন্স লাগবে, একদম কম হলেও তাকে লার্নার লাইসেন্সধারী হতে হবে মোটরসাইকেল ক্রয় করার জন্য ।

BRTA । বাইক কিনতে লাগবে Driving Licence

brta in bangladesh

   Bangladesh Road Transport Authority (BRTA) এই নিয়মটি সকল মোটরসাইকেল উৎপাদন কোম্পানি এবং যারা মোটরসাইকেল বিক্রয় করছেন তাদের সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে, এছাড়া যারা মোটরসাইকেল কিনতে আগ্রহী তাদেরকে ট্রেইন করে একটি কমপ্লায়েন্স রিপোর্টও দিতে বলা হয়েছে । BRTA গত ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে সকল মোটরসাইকেল এসেম্বলি প্রতিষ্ঠান উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিক্রয় প্রতিষ্ঠান সমূহকে এই মর্মে নোটিশ প্রদান করেছে । " BRTA এর রেজিস্টার্ড মোটরসাইকেল এবং লাইসেন্সধারী বাইকারদের মধ্যে একটি অনেক বড় গ্যাপ রয়েছে । আমরা এই গ্যাপটাকে কমিয়ে এনে রাস্তায় চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চত করতে চাচ্ছি ।" বলেছেন BRTA এর ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্ট্মেন্টের ডিরেক্টর লোকমান হোসেইন মোল্লা ।

ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে আরও যা জানতে পারেনঃ

মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং যারা বিক্রি করছেন ও কোম্পানির যারা ডিলার রয়েছেন তাদের কাছে এই নোটিশটি খুব শীঘ্রই পৌছে যাবে । এছাড়া BRTA এই বিষয়টি তাদের লোকাল অফিসের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করবে বা ফলো আপে রাখবে । তিনি আরও বলেন যে, "এই বিষয়টি যারা এডিয়ে যাবেন তাদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবেন" । গত মে মাস পর্যন্ত BRTA থেকে প্রায় ৪০.১৮ লাখ যানবাহন রেজিস্টার্ড হয়েছে । এদের মধ্যে প্রায় ২৬.২৩ লাখ হচ্ছে মোটরসাইকেল । যার মধ্যে আবার ১৪.৭১ লাখ গত চার বা মাসের মধ্যে রেজিস্টার্ড হয়েছে । 

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তি থেকে গত মার্চ মাস পর্যন্ত মাত্র ১০.৫৩ লাখ লাইসেন্স ইস্যু করা হয়েছে BRTA থেকে । বাংলাদেশে এখনও অনেক মোটরসাইকেল রয়েছে যে গুলোর কোন রেজিস্ট্রেশন নেই বা করা হয়নি, এ তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপোর্ট সেক্টর । BRTA এর তথ্য মতে এই বছরেরই প্রথম চার মাসে প্রায় ১.৭৭ লাখ মোটরসাইকেল রেজিস্টার্ড হয়েছে, এর মানে হচ্ছে এক দিনে ১,১৭৩টি বাইক । 

এত বেশি বাইকের কারনে ট্রাফিক জ্যাম, খারাপ পাবলিক ট্রান্সপোর্টের অব্যবস্থাপনা, এছাড়া রয়েছে ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট এবং সারা দেশ জুড়ে রাস্তার উন্নয়নের অব্যবস্থাপনা । অনেকেই মনে করেন বাইকের কারনে জ্যাম হয়, আবার বাইকের কারনের জ্যাম দ্রুত পার হয়ে গন্তব্যে পৌছানো যায় । যদিও পুলিশ ও ট্রান্সপোর্ট এক্সপার্টদের মত মোটরসাইকেলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে থাকে থ্রি-হুইলার বা ফোর-হুইলারের চেয়ে এবং তারাই সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক রুলস ভঙ্গ করে থাকে । বুয়েটের এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনিস্টিটিউট থেকে পাওয়া গিয়েছে যে, ঢাকা শহরে গত বছর ২৮০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে । 

যার মধ্যে মোটরসাইকেল রয়েছে শতকরা ২৪.৪৭ ভাগ । এছাড়া ২০১৭ সালের রিসার্চ অনুযায়ী ঢাকা শহরে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৬৩টি এবং তার মধ্যে রয়েছে শতকরা ১৮.২৫ ভাগ মোটরসাইকেল । তারা এই রিসার্চটি করেছে খবরের কাগজের তথ্য উপাত্তের উপর ভিত্তি করে । গত মাসে রোড ট্রান্সপোর্ট এবং হাইওয়ে ডিভিশন (RTHD) মত বিনিময় সভা করেছে বিভিন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এসেম্বলিং প্রতিষ্ঠান এবং যারা মোটরসাইকেল বিক্রিয়ের সাথে যুক্ত রয়েছে । 

মত বিনিময় সভায় ডিভিশন সেক্রেটারী জনাব নজরুল ইসলাম বলেছেন, "তিনি কয়েকটি ফোরামের সাথে কথা বলেছেন যে তারা বলেছে মোটরসাইকেল ক্রয়ের ক্ষেত্রে ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা জরুরী । কিন্তু কোম্পানি গুলো এই প্রস্তাবের সাথে অসম্মতি জানিয়েছে, তারা বলেছে এতে করে মোটরসাইকেলের মার্কেট গ্রোথ কমে যাবে ।" বর্তমানে একজন ব্যক্তিকে লাইসেন্স পেতে হলে প্রথমে তাকে লোকাল বিআরটিএ অফিস থেকে লার্নার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। 

এরপর বিআরটিএ তাকে সময় দেবে লিখিত, মৌখিক ও প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য । এই তিনটি পরীক্ষায় পাস করলেই কেবল তাকে লাইসেন্স প্রদান করা হবে ।

brta 

কিন্তু এই পদ্ধতিটি অনেক জটিল এবং সময় সাপেক্ষ । এটি সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় থেকে এক বছর লেগে যায় । আর এই কারনের ব্রোকারের একটি চক্র তৈরি হয়েছে ।  এই ব্রোকারদের সাথে যুক্ত হয়েছে বিআরটিএ এর কিছু অসৎ স্টাফ, যারা টাকা বা ঘুষ খেয়ে দ্রুত পেপার্স তৈরি করে দেয় । মোটরসাইকেল কোম্পানি গুলো এই দিকটায় লক্ষ্য রাখতে বলেছেন । 

যাতে করে লোকজন দ্রুত ও ঝামেলা মুক্ত ভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে পারে । মিটিংয়ে সব শেষে সিদ্ধান্ত হয় যে, যদি কেউ মোটরসাইকেল কিনতে চায় তবে তাকে অবশ্যই লার্নার কার্ড থাকতে হবে । মোটরসাইকেল কোম্পানি ও বিক্রয়কারীরা এও বলেছেন যে, কিভাবে মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং রোড সেফটির উপর বুক লেটস তৈরি করে বিতরন করতে । যাতে সবাই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারনা পায় । 

মোটরসাইকেল তৈরি ও আমদানী কারক এসোশিয়েশন এর প্রেসিডেন্ট মিস্টার হাফিজুর রহমান খান এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত হয়েছেন । তিনি বলেছেন, "আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল" । এছাড়া তিনি আরও বলেছেন যে, আসলে তাদের কাছ থেকে যারা মোটরসাইকেল কিনতে থাকেন বা কেনেন তারাই কি প্রকৃত ভাবে মোটরসাইকেল চালান কিনা । আসলে এটা বলা মুশকিল যে মোটরসাইকেল ক্রয়ের পর সেটা কে রাইড করেছেন সেটা নির্নয় করা । 

হাফিজুর রহমান খান হচ্ছেন রানার অটোমোবাইলস এর চেয়ারম্যান । তিনি বলেছেন যে তাদের ১৮টি জেলায় রাইডার ট্রেইনিং সুবিধা রয়েছে, যেখান ইতিমধ্যে রাইডারদের ট্রেইনিং দেয়া হচ্ছে ।   

তথ্যসূত্রঃ দি ডেইলি স্টার

Published by Ashik Mahmud Bangla

Best Bikes

Honda CB Hornet 160R

Honda CB Hornet 160R

Price: 169800.00

Honda CB Hornet 160R ABS

Honda CB Hornet 160R ABS

Price: 255000.00

Honda CB Hornet 160R CBS

Honda CB Hornet 160R CBS

Price: 212000.00

View all Best Bikes

Latest Bikes

Luyuan EH 01

Luyuan EH 01

Price: 0.00

Luyuan FB 01M

Luyuan FB 01M

Price: 0.00

Luyuan EM 03

Luyuan EM 03

Price: 0.00

View all Sports Bikes

Upcoming Bikes

Salida ZL 9

Salida ZL 9

Price: 0.00

Salida ZL 8

Salida ZL 8

Price: 0.00

Salida ZL 3

Salida ZL 3

Price: 0.00

View all Upcoming Bikes