Shares 2
Bajaj Pulsar 150 বাইকের সাথে মালিকানা রিভিউ - নাহিদুর রহমান
Last updated on 29-Jul-2024 , By Shuvo Bangla
আমি নাহিদুর রহমান রুহান । আমার বাসা সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া। আপনাদের সাথে আমি আমার Bajaj Pulsar 150 বাইকের মালিকানা রিভিউ শেয়ার করবো । ১০০ সিসি স্পেলেন্ডার বাইক দিয়ে জীবনের প্রথম বাইক চালানো শিখেছি । বাইকটা হতে পারে 100cc কিন্তু এই 100cc মধ্যে কি আনন্দ এইটা বোঝানো সম্ভব নয় ।
আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে বাইক চালানো শিখি । তারপরে আস্তে আস্তে বাইকের প্রতি ভালোবাসা জন্মায় । আমি একজন ভ্রমণ প্রেমিক । ভ্রমন করতে খুবই ভালো লাগে আর তা যদি হয় বাইকে তাহলে তো আর কোন কথাই নেই । বাজাজ পালসার এর প্রতি আগে থেকে একটি ভালো লাগা কাজ করে । এছাড়া পালসার খুব একটা কমন বাইক যার ফলে যে কোন জায়গায় সার্ভিস বা স্পেয়ার পার্টস পাওয়া যায় । এইসব দিক চিন্তা করে আমি বাজাজ পালসার ১৫০ ডাবল ডিস্ক বাইকটি নিয়েছি ।
বাইকটির দাম ২,১০,০০০ টাকা এবং বাইকটি আমি মৌলভীবাজার বাজাজ এর শোরুম থেকে কিনেছিলাম । বাইক কিনতে যাবার দিন বাইক কেনার কোন চিন্তা ছিল না । আমি শোরুমে যাই বাইক দেখতে কিন্তু গিয়ে Bajaj Bike পছন্দ হয়ে যায় এবং ওই দিনে বাইক কিনে নিয়ে আসি ।
বাইকটি প্রথমবার চালানোর অনুভুতি মুখে বলা বা লিখে বোঝানো সম্ভব নয় । এটা শুধু একজন বাইকারই বুঝবে আমার বাইকটি চালাবার পেছনের মূল কারণ কলেজে যাওয়া এছাড়া পরিবারের বিভিন্ন কাজে এবং সময় পেলে মাঝে মাঝে ভ্রমণ করার জন্য তবে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কলেজ ।
বাইকের ফিচার -
- Engine Type 4-Stroke
- 2-Valve
- Twin Spark BSVI Compliant DTS-i FI Engine
- Max Power 14 PS @ 8500 rpm
- Max Torque 13.25 Nm @ 6500 rpm
প্রতিদিন বাইকটি চালানোর সময় আমার অনুভূতি বোঝানো সম্ভব নয় প্রতিদিন খুব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি বাইক চালিয়ে কলেজে যাওয়ার জন্য আজ পর্যন্ত কোনদিন বাইক চালিয়ে বোরিং ফিল করিনি ।
আমার বাইক ৫ বার সার্ভিস করিয়েছি বাজাজের শোরুম থেকে এখন পর্যন্ত যতটা সার্ভিস করিয়েছি সবগুলো অফিসিয়াল বাইকের সাথে ফ্রি সার্ভিস । ২৫০০ মিটার পূর্বে ও পরে বাইকের মাইলেজ ৩৩-৩৫ পেয়েছি । রেগুলার বাইক ওয়াস বাইকের চেইন লুব সহ অন্যান্য যে কাজগুলো থাকে সব রেগুলার করিয়ে থাকি ।
আমার বাইকে ব্যবহার করা ইঞ্জিন অয়েলের নাম BAJAJ DTSI 20W50 দাম 650 টাকা । ইঞ্জিন অয়েলটি খুবই ভালো, আমি অনেকদিন থেকে এটা ব্যবহার করছি । বাইকটি দিয়ে আমার তোলা সর্বোচ্চ স্পীড ১১৪ ।
বাইকের কিছু পার্টস পরিবর্তন করেছি , আমার বাইকের মডিফিকেশন তেমন একটা ভালো লাগে না । তাও মিরর, লিভার গার্ড , এইগুলা লাগিয়েছি । ভবিষ্যতে ইনশাল্লাহ আরো মোটিফিকেশন করব ।
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু ভালো দিক -
- ব্রেকিং সিস্টেম ভালো
- দেখতে সুন্দর
- টায়ারের গ্রিপ অনেক ভালো
- লং রাইড করে ভালো লাগে
- কম্ফোর্ট
Bajaj Pulsar 150 বাইকটির কিছু খারাপ দিক -
- কয়েকদিন পরপর চেইন লুজ হয়ে যায়
- এই বাইক একটু বেশি গরম হয়
- হেডলাইটের আলো কম
- লং রাইডে বাইকের সাউন্ড পরিবর্তন হয়ে যায়
- লং রাইডে পার্ফরমেন্স ড্রপ করে
বাইকটি নিয়ে আমি অনেক ট্যুর দিয়েছি । আমার বাইকটি নিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি ট্যুর দেওয়ার পর মাইলেজ এর ব্যাপার টাও খেয়াল করলাম ভালই মাইলেজ পেয়েছি । সব মিলিয়ে আমার খুব প্রিয় একটি বাইক । যত খারাপ দিক থাকুক না কেন । ওইগুলো আমার চোখে লাগে না । কারণ আমি তাকে ভালোবাসি ।
লিখেছেনঃ নাহিদুর রহমান রুহান
T
Published by Shuvo Bangla