Shares 2

Bajaj Pulsar 150 বাজেট এর মধ্যে আমার পছন্দের বাইক - মুনাজ

Last updated on 30-Jul-2024 , By Shuvo Bangla

আমার নাম মোঃ ফেরদাঊস ইসলাম মুনাজ। আমি Bajaj Pulsar 150 বাইকটি ব্যবহার করি। বাইক চালানোর প্রতি আমার ছোট বেলা থেকেই আলাদা এক ভালোবাসা। যা অন্য কিছুতে আসেনা।

bajaj pulsar 150

আমি আমার লাইফের এই Bajaj Pulsar 150 বাইকটি আমার প্রথম এবং লাস্ট বাইক। এই বাইকটি আমি কিনি আমার শখ এবং ভালোবাসা পূর্ণ করার জন্য।বাইক আসলে একটি দরকারি যানবাহন এবং বাইক রাইডিং এর মত ফিলিংস অন্য কিছু দিয়ে মেটানো সম্ভব নয় তাই মূলত বাইক চালানো টা ভালোবাসি।

আমি যখন বাইক ক্রয় করার কথা চিন্তা করি -
যেহেতু আমরা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি তাই আমার বাজেট ও কম। মাত্র ২ লাখ টাকায় সব কিছু অর্থাৎ বাইক,লাইসেন্স, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এগুলা সব কিছু এর মধ্যে করতে হবে।


তাই আমি ২ লাখ টাকার মাঝে বাইক খুজতে লাগলাম। অনেক বাইকই আমার সামনে চলে আসে। যেহেতু আমি মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির সন্তান সেহেতু আমার বাইক কিছু দিন পর পর পাল্টানো সম্ভব নয় আর মাইলেজ,লুকিং,ভালো মানের বাইক এই সমস্ত জিনিস থাকতে হবে।

bajaj pulsar 150 bike price

তো আমি আমার দিক থেকে Bajaj Brand ব্রান্ড এর Pulsar 150 বাইকটি চয়েজ করি। কারণ এই বাইকটি দিয়ে ট্যুর দিয়ে মজা, লং লাস্টিং,মাইলেজ ভালো,লুকিং ও খুব সুন্দর আরো না না দিক দেখে আমি আমার এই শখের বাইকটি চয়েজ করি।

বাইকটি আমি ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা দিয়ে সাভার bajaj showroom থেকে ক্রয় করি। ভালোবাসা নিয়ে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে অন্য রকম এক অনুভুতি নিয়ে এই দিন টিতে আমি আমার বাবার সাথে বাইকটি কিনতে যাই।

অই দিন আমার মনের মাঝে অন্য রকম এক আনন্দ চলছিল যেই আনন্দের ফিলিংস অন্য কোনো কিছুতে আমার কখনো আসেনি। আমার বাসা থেকে আমার কলেজ মোটামোটি প্রায় ৯৫ কিলো দুরে তাই আমার এই বাইকটি নিয়ে আমি যাতায়াত করে থাকি এবং আমার শখ এবং আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করি।

আমি যখন প্রতি দিন বাইকটি চালাই তখন আমার মনের ভিতর এক অন্য রকম ফিলিংস চলে আসে। আমার এই বাইকটি চালিয়ে আমি সম্পুর্ন সেটিস্ফাই। আমি সাভার থেকেই আমার বাইকের সার্ভিস করাই এবং বাজাজের সার্ভিস সেন্টারের সার্ভিস ও খুব ভালো এবং সেই সাথে তাদের ব্যবহার।

ব্রেক ইন পিরিয়ড এর সময় অঅর্থাৎ ২৫০০ কিলোমিটার চালানোর পূর্বে আমি আমার বাইকে মাইলেজ পেতাম ৩৭-৩৮ আর এখন আমি প্রায় সিটিতে ৪২+ মাইলেজ পাই।

bajaj pulsar 150 bike

আমি খুব বেশি চালাইনি আর আমি আমার বাইকের যত্ন নেওয়ার প্রতি খুব কেয়ার ফুল। কারণ তা নাহলে আমি আমার বাইক থেকে বেস্ট পার্ফরমেন্স টা পাবো না। আমি আমার বাইক দিয়ে ১১৭ পর্যন্ত টপ স্পিড পেয়েছি । এর পর আর উঠানোর চেস্টা করিনি চেস্টা করলে হয়তো উঠতো।

আমি এখন আমার পছন্দের এই বাইকটির কিছু ভালো ও খারাপ দিক তুলে ধরছি যা আমি পেয়েছি।

Bajaj Pulsar 150 বাইকের ভালো দিক -

  • লুকিং
  • লো প্রাইজে বেস্ট কোয়ালিটি সম্পুর্ন বাইক
  • স্পিড
  • মাইলেজ
  • কম্ফোর্ট

Bajaj Pulsar 150 বাইকের খারাপ দিক -

  • বাইকের ইঞ্জিন সাউন্ড টা আরেকটু সুন্দর হলে ভালো লাগতো
  • কন্ট্রলিং টা ভালো বাট আরেক টু ভালো হলে চালিয়ে আরো বেশি মজা পাওয়া যেত
  • রাতের বেলা চালাতে একটু কষ্ট কারণ হেড লাইটের আলো আমাকে ভালো সাপোর্ট দেয় না
  • মাঝে মাঝে হাতে পেইন হয় বাট অন্যান্য বাইকের চাইতে অনেক কম।

bajaj pulsar 150 red black

এছাড়া আমার কাছে এই বাইকে আর খারাপ কিছু পাইনি। এই প্রাইজে আমার কাছে বেস্ট বাইক বলে আমার মনে হয়। যারা বাইকটি নিতে আগ্রহি তাদের জন্য আমি একটি কথাই বলব আপনার যদি চয়েজ হয় তাহলে কারো কথাতে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে নিতে পারেন । ধন্যবাদ ।

লিখেছেনঃ মোঃ ফেরদাঊস ইসলাম মুনাজ
 
আপনিও আমাদেরকে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠাতে পারেন। আমাদের ব্লগের মাধ্যেম আপনার বাইকের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা সকলের সাথে শেয়ার করুন! আপনি বাংলা বা ইংরেজি, যেকোন ভাষাতেই আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ লিখতে পারবেন। মালিকানা রিভিউ কিভাবে লিখবেন তা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং তারপরে আপনার বাইকের মালিকানা রিভিউ পাঠিয়ে দিন articles.bikebd@gmail.com – এই ইমেইল এড্রেসে।

Published by Shuvo Bangla